গুগল (কোম্পানি)
শিল্প
ইন্টারনেট, কম্পিউটার সফটওয়্যার
প্রতিষ্ঠাকাল
মেনলো পার্ক, ক্যালিফোর্নিয়া (৪ই সেপ্টেম্বর, ১৯৯৮)
সদর দপ্তর
মাউন্টেন ভিউ, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
প্রধান ব্যক্তি
এরিক শ্মিট, পরিচালক
সের্গেই ব্রিন, সহ-প্রতিষ্ঠাতা
ল্যারি পেইজ, সহ-প্রতিষ্ঠাতা, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা
জর্জ রেয়েস, সিএফও
পণ্য
গুগলের পণ্যতালিকা দেখুন
আয়
বৃদ্ধি ৩২.৯০৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (২০১১)
বিক্রয় আয়
বৃদ্ধি ১১.৬৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (২০১১)
নীট আয়
বৃদ্ধি ৯.৭৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (২০১১)
মোট সম্পদ
১৮.৪৭৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (২০০৬)২[]
মোট ইকুইটি
১৭.০৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (২০০৬)
কর্মীসংখ্যা
৩২,৪৬৭ (২০১১)
অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান
AdMob, DoubleClick, On2 Technologies, Picnik, Zagat, YouTube
ওয়েবসাইট
http://www.google.com
গুগল ইনকর্পোরেটেড (ইংরেজি: Google Incorporated) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বহুজাতিক ইন্টারনেট এবং সফটওয়্যার কোম্পানী এবং বিশেষভাবে তাদের গুগল সার্চ ইঞ্জিনের, অনলাইন বিজ্ঞাপন সেবা এবং ক্লাউড কম্পিউটিং'র জন্য বিশ্বখ্যাত। এটি ইন্টারনেট ভিত্তিক বেশকিছু সেবা ও পন্য উন্নয়ন এবং হোস্ট করে। প্রাথমিকভাবে এটি "এডওয়ার্ডস।
প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে অর্থ আয় করে। এর প্রধান কার্যালয় ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্টেইন ভিউ শহরে অবস্থিত। গুগলের মূলমন্ত্র হল "বিশ্বের তথ্য সন্নিবেশিত করে তাকে সবার জন্য সহজলভ্য করে দেয়া" । গুগলের অপ্রাতিষ্ঠানিক মূলমন্ত্র হল "Don't be evil"। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন পিএইচডি ছাত্র ল্যারি পেইজ ও সের্গেই ব্রিন গুগলের প্রতিষ্ঠাতা।
গুগল প্রথম ইনকর্পোরেট হয় প্রাইভেট কোম্পানী হিসেবে ১৯৯৮ সনের ৪ই সেপ্টেম্বর এবং এর প্রাথমিক শেয়ার (আইপিও) ছাড়া হয় ২০০৪ সনের ১৯শে আগস্ট। সেই সময় ল্যারি পেইজ, সের্গেই ব্রিন এবং এরিক স্কমিট গুগলে ২০ (২০২৪ সাল পর্যন্ত) বছেরর জন্য একসাথে কাজ করতে একমত হন। ২০০৬ সালে, কোম্পানিটি মাউন্ট ভিউতে স্থানান্তরিত হয়।
যখন থেকে এটি ইনকর্পোরেশনে পরিবর্তিত হয় তখন থেকেই এটি সবদিকে বাড়তে শুরু করে, শুধুমাত্র সার্চ ইন্জিনেই নয়। কোম্পানিটি অনলাইন সেবা যেমন জিমেইল - ইমেইল সেবা, গুগল ডকস - অফিস সুইট এবং গুগল+ - সামাজিক নেটওয়ার্কিং সেবা প্রভৃতি প্রদান করে থাকে। গুগলের পন্য ইন্টারনেট ছাড়াও ডেস্কটপেও ব্যবহার হয় যেমন গুগল ক্রোম - ওয়েব ব্রাউজার, পিকাসা - ছবি সংগঠিত এবং সম্পাদন করার সফটওয়্যার এবং গুগল টক - ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেজিং এপ্লিকেশন প্রভৃতি। গুগল মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম এন্ড্রয়েড এবং গুগল ক্রোম অপারেটিং সিস্টেম যা শুধু ব্রাউজার অপারেটিং সিস্টেম (পাওয়া যায় বিশেষ ল্যাপটপ ক্রোমবুকে) পরিচালনা করে।
গুগল সারা পৃথিবীতে বিভিন্ন ডেটা সেন্টারে প্রায় এক মিলিয়ন সার্ভার চালায় । ও এক বিলিয়নের উপর সার্চের অনুরোধ এবং প্রায় ২৪ পেটাবাইট ব্যবহারকারী কতৃক তেরী ডেটা প্রক্রিয়াকরণ করে প্রতিদিন।
২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর অনুযায়ী এলেক্সা আমেরিকার সবচেয়ে বেশী ব্যবহার করা ওয়েবসাইটের তালিকায় স্থান দেয় গুগলকে। এছাড়াও গুগলের অন্যান্য আর্ন্তজাতিক সাইট যেমন ইউটিউব, ব্লগার এবং অরকুট সেরা একশটি সাইটে স্থান পায়। ব্রান্ডয্ তাদের ব্রান্ড ইকুইটি ডাটাবেজে গুগলকে ২য় স্থান দেয় । গুগলের আধিপত্য বিভিন্ন সমালোচনার জন্ম দিয়েছে যেমন কপিরাইট, গোপনীয়তা এবং সেন্সরশিপ প্রভৃতি ।
পরিচ্ছেদসমূহ
১ ইতিহাস
২ পন্য এবং সেবা ২.১ বিজ্ঞাপন
২.২ সার্চ ইন্জিন
৩ অন্যান্য পণ্য ৩.১ মটো এক্স
৪ যৌথ কার্যক্রম এবং সংস্কৃতি
৫ তথ্যসূত্র
ইতিহাস
১৯৯৬ সালে গবেষণা প্রকল্প হিসাবে ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন পিএইচডি কোর্সের ছাত্র ল্যারি পেইজ ও সের্গেই ব্রিন এর কাজ শুরু করেন। তাদের তত্ত্ব ছিল তখনকার কৌশলগুলোর চেয়ে নতুন কৌশলে কোন একটা সার্চ ইঞ্জিন যদি বানানো হয়, যেটি ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যেকার পারস্পরিক সম্পর্ক থেকে যদি ফলাফল বের করা যায় তাহলে আরো ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে।
১৯৯৮ সালের ৭ই সেপ্টেম্বর ল্যারি পেইজ ও সের্গেই ব্রিন একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে গুগল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৪ সালের ১৯শে আগস্ট এটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত হয়। সময়ের সাথে নিত্যনতুন পণ্য ও সেবা যোগ করে গুগল প্রতিনিয়ত নিজেদের আকার ও উপযোগিতা বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। একই সাথে নতুন কোম্পানি কিনে নিজেদের সাথে একীভূতকরণ, ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদারিত্ব ও বিজ্ঞাপন জগতে নিজেদের অবস্থানকে সুদৃঢ়ীকরণের মাধ্যমে নিজেদের বহুমুখিতাকে সমৃদ্ধ করেছে। ফলে তথ্য খোঁজার পাশাপাশি বর্তমানে ইমেইল, সামাজিক নেটওয়ার্কিং, ভিডিও শেয়ারিং, অফিস প্রোডাক্টিভিটি, প্রভৃতি বিষয়ে গুগলের সেবা রয়েছে।
পন্য এবং সেবা
আরও দেখুন: গুগল পন্যের তালিকা
বিজ্ঞাপন
গুগলের ৯৯% আয় আসে বিজ্ঞাপন খাত থেকে । ২০০৬ অর্থবছরে, কোম্পানী জানায় ১০.৪৯২ বিলিয়ন বিজ্ঞাপন থেকে এবং লাইসেন্স ও অন্যান্য খাত থেকে ১১২ মিলিয়ন আয় হয় । গুগল অনলাইন বিজ্ঞাপন বাজারে বিভিন্ন নতুন মাত্রা যোগ করে এবং অন্যান্যদের তুলনায় এগিয়ে থাকে। ডাবলক্লিক কোম্পানীর প্রযুক্তি ব্যবহার করে গুগল ব্যবহারকারীদের আগ্রহ অনুযায়ী বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে । গুগল এন্যালিটিকস এমন একটি প্রযুক্তি যা ওয়েব সাইটের মালিকগন ব্যবহার করে থাকেন কোথায় এবং কিভাবে মানুষ তাদের ওয়েব সাইট ব্যবহার করে থাকেন, উদাহরণ সরূপ বলা যায়, কোন পৃষ্ঠার সকল লিংকের মধ্যে কোনগুলোতে ক্লিক বেশি পড়েছে তা জানা যায় ক্লিক রেটের মাধ্যমে । গুগল দুটি পদ্ধতিতে তাদের বিজ্ঞাপনগুলো বিভিন্ন থার্ড-পার্টি ওয়েব সাইটে রাখার সুযোগ দেয়। গুগলের এ্যডওয়ার্ডস এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রদানকারীরা কস্ট পার ক্লিক অথবা কস্ট পার ভিউ দুটির একটি ব্যবহার করে গুগল নেটওর্য়াকে বিজ্ঞাপন দিতে পারে। আরেকটি পদ্ধতিতে, যা গুগল এ্যাডসেন্স । নামে পরিচিত, ওয়েব সাইট মালিকরা তাদের ওয়েব সাইটে বিজ্ঞাপনগুলো দেখাতে পারেন এবং তা থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন (প্রতিবার বিজ্ঞাপনে ক্লিক পড়লে)।
এই প্রোগ্রামের একটি বড় অসুবিধা সেই সাথে সমালোচনার বিষয় হল গুগলের ক্লিক ধোঁকাবাজি ধরতে না পারা যেমন যখন কোন ব্যক্তি বা কোন স্বয়ংক্রিয় স্ক্রীপ্ট বিজ্ঞাপনে আগ্রহ ব্যতিত ক্লিক করবে এবং গুগল তার জন্য বিজ্ঞাপন প্রদানকারীকে অর্থ দিবে। ২০০৬ সালের শিল্প সংবাদে দাবি করা হয় ক্লিকের প্রায় ১৪-২০ ভাগই অবৈধ । অধিকন্তু, গুগলের সার্চ এর মধ্যে সার্চ বাদানুবাদের কারণ হয়, যার কারন গুগলের সার্চ বক্স কোন ওয়েব সাইটের বিষয়াদি খুজতে ব্যবহার করা হয়। খুব দ্রুতই খবর প্রকাশ হয় যে যখন এই ধরনের সার্চ চালানো হয় তখন ফলাফল পৃষ্ঠায় প্রতিযোগী কোম্পানীগুলোর বিজ্ঞাপন ভেসে ওঠে যা ব্যবহারকারীদের তাদের ওয়েব সাইটে আকৃষ্ট করে । ২০০৮ সালের জুনে গুগল ইয়াহুর সাথে বিজ্ঞাপন চুক্তি স্বাক্ষর করে যার মাধ্যমে ইয়াহু গুগলের বিজ্ঞাপন গঠন করবে তার ওয়েব সাইটে। দুটি কোম্পানীর মধ্যে মৈত্রী স্থাপন সম্ভব হয়নি মার্কিন বিচার বিভাগের এন্টিট্রাস্ট আইনের কারনে। ফলে ২০০৮ সালে গুগল তার চুক্তি থেকে সরে আসে।
গুগল তাদের নিজেদের পন্যের বিজ্ঞাপন করতে একটি ওয়েব সাইট ছাড়ে যার নাম ডেমো স্লাম, এটি তৈরী করা হয় গুগলের বিভিন্ন পন্যের ।প্রযুক্তি ডেমো বা সাময়িকভাবে দেখানোর জন্য। প্রতি সপ্তাহে দুটি দল প্রতিযোগীতা করে গুগলের প্রযুক্তিকে নতুনভাবে দেখানোর জন্য।
সার্চ ইন্জিন
মূল নিবন্ধ: গুগল অনুসন্ধান
গুগলের নতুন হোমপেজ। ২০১১ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি, গুগল তাদের হোমপেজ আপডেট করে
"গুগল সার্চ" একটি ওয়েব ভিত্তিক সার্চ ইন্জিন, কোম্পানীর সবচেয়ে জনপ্রিয় সেবা। ২০০৯ সালের নভেম্বরে কমস্কোরের প্রকাশ করা একটি বাজার জরিপে বলা হয় গুগল আমেরিকার বাজারে প্রধান সার্চ ইন্জিন যার বাজার অংশীদারী ছিল ৬৫.৬ শতাংশ। গুগল বিলিয়নেরও বেশি ওয়েব পাতার সূচি রাখে যাতে ব্যবহারকারীরা যে তথ্য খুজছে তা পায়। এর জনপ্রিয়তা থাকা স্বত্তেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এর সমালোচনা করে। ২০০৩ সালে, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস গুগলের সূচির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে যে তারা ওয়েব পাতা এবং বিষয়বস্তু ক্যাশ করে রাখায় তা কপিরাইট লঙ্গন করার সামিল । এই ঘটনায় (ফিল্ড বনাম গুগল এবং পার্কার বনাম গুগল ), আমেরিকার নেভাদা জেলা আদালত গুগলের পক্ষে রায় দেয়। অধিকন্তু, ২৬০০: দ্য হ্যাকার কোয়ার্টালী একটি শব্দের তালিকা এনে অভিযোগ করে যে গুগল ইনস্টান্ট সেবা সেগুলো সার্চ করে না । গুগল ওয়াচ গুগলের পেজ র্যাংকিং এ্যালগরিদমের সমালোচনা করে বলেছে এগুলো নতুন ওয়েব সাইটগুলোর সহায়ক নয় বরং পুরনো প্রতিষ্ঠিত ওয়েব সাইটকেই গুরুত্ব দেয় । এবং জোর দাবি করে যে গুগলের সাথে এনএসএ এবং সিআইএর যোগাযোগ রয়েছে। সমালোচনা স্বত্তেও গুগল তার সেবা বাড়িয়ে চলে যেমন ছবি সার্চ ইন্জিন, গুগল নিউজ সার্চ, গুগল ম্যাপস এবং আরো অনেক। ২০০৬ সালের শুরুর দিকে গুগল নতুন সেবা গুগল ভিডিও শুরু করে যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ভিডিও আপলোড, দেখতে এবং খুজঁতে পারবে। ২০০৯ সালে, গুগল ভিডিওতে আপলোড কমে আসে কারণ তারা সার্চের প্রতি জোর দেয় । এমনকি গুগল ডেস্কটপের জন্য গুগল ডেস্কটপ তৈরী করে যা দিয়ে যে কেউ তার নিজের ডেস্কটপে সার্চ চালাতে পারবেন। গুগল সার্চে সম্প্রতি যে বিষয়টি যোগ হয়েছে তা হল ফ্রি প্যাটেন্ট এবং ট্রেডমার্ক সার্চ। গুগল এবং ইউনাইটেড স্টেটস প্যাটেন্ট এ্যন্ড ট্রেডমার্ক অফিস অংশীদারিত্বের ফলে এই সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে।
অন্য একটি বির্তকমূলক সার্চ সেবা হল গুগল বুকস সেবা। কোম্পানীটি বিভিন্ন বইয়ের পাতা স্ক্যান করে আপলোড করে। এতে কিছু কিছু বইয়ের পাতা সীমাবদ্ধ আকারে দেখানো হয় এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুরোটাই। ২০০৫ সালে, লেখক সমিতি যারা ৮০০০ আমেরিকান লেখকের হয়ে কাজ করেন, একটি মামলা নিউ ইয়র্ক সিটি আদালতে গুগলের বিরুদ্ধে করেন। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে গুগল পুনসম্পাদন করে এই সেবায় এতে আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডার লেখকদের বই খুবই সীমিত আকারে স্ক্যান করে প্রকাশ করা হয় । অধিকন্তু, প্যারিস আদালত ২০০৯ সালের শেষের দিকে "লা মার্টিনিয়ার" সম্পাদন করা কাজ গুগলের ডেটাবেস থেকে মুছে ফেলতে আদেশ জারি করে । আমাজন.কমের সাথে প্রতিযোগীতা করতে গুগল নতুন বইগুলোর ডিজিটাল ভার্সন ছাড়ার পরিকল্পনা নেয় । ২০১০ সালের ২১ জুলাই, বিং সার্চ ইন্জিনকে টেক্কা দিতে, ছবির থাম্বনেইলে মাউস পয়েন্টার রাখলে বড় হয় এমন একটি বৈশিষ্ট্য যোগ করে। ২০১০ সালেরই ২৩ জুলাই আরেকটি বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা হয়, বিভিন্ন ইংরেজি শব্দের সংজ্ঞা সংবলিত পাতা যা সার্চ দিলে লিঙ্কগুলো উপরে দেখা যায় । সেবার মান আরো বাড়াতে, ২০১১ সালের মার্চে গুগল এ্যলগরিদম পরির্বতন করা হয় ।