Click This Link
আপনি অব্যবস্থাপনা দূর করতে বলতে পারেন, বিদেশী কোম্পানীর উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে দেশেই হাইব্রিড উৎপাদনের কথা বলতে পারেন তা না করে মাথা কেটে মানুষকে না খাইয়ে মারতে চাইলেতো মানুষ তা মানবে না! BRRI এর কি হাইব্রিড ধান নেই? Click This Link
আপনি ঢাকায় বসে পত্রিকার কলাম দেখে মেনে নিলেও যে কৃষক মাঠে ফসল ফলাবে সে কিন্তু ঠিকই নিজের অস্তিত্ত্ব রক্ষার কথাই চিন্তা করবে, যদি তাদের কে কোনো কোনো বুদ্ধিজীবি বিশেষ স্বার্থে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা না করে।
শুধু পত্রিকা পড়েই বিশাল এক কলাম না লিখে ফেলে হাতের কাছেই থাকা গুগুল টা একটু নেড়েচেড়ে দেখলে বরং খামোকা ভুল তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার আগে দুইবার চিন্তা করতেন।http://www.fao.org/rice2004/en/f-sheet/factsheet6.pdf
কৃষিবিজ্ঞানী কুলাদা রায় কে ধন্যবাদ আমার হাইব্রিড সংক্রান্ত এক লেখায় বিস্তারিত শেয়ার করেছিলেন-
আপনাদের জানিয়ে রাখা ভালো ফরহাদ মজহার নয়া কৃষি প্রেসক্রিপশান তাঁর এন জি ও'র নয়া প্রজেক্টের স্বার্থেই তিনি অন্ধভাবে হাইব্রিড বিরোধীতা করছেন।আসুন হাইব্রিড সম্পর্কে ভ্রান্ত মৌলবাদী- হিজবুত তাহরির থিংক ট্যাংক ফরহাদ মজহার এর উদ্দেশ্যপূর্ণ বুদ্ধি পরামর্শ না শুনে একজন কৃষি বিজ্ঞানীর কথাগুলোই আমরা শুনি-
"হাইব্রিডাইজেশন বা সংকরায়ন প্রকৃতির স্বাভাবিক ঘটনা। সাধারণত পরপরাগয়ন হয় এটার মধ্যে দিয়ে। একটি ফুলের রেণু আরেকটি ফুলের স্ত্রী ফূলের সঙ্গে মিলিত হয়। এই যে পরাগায়ন এর মধ্যে মধ্যে দিয়ে দুইটি জাতের মধ্যে বিশিষ্ট্য বিনিময় হয়। প্রকট বৈশিষ্ট্যগুলি এসে পড়ে। যদি একটু ভাল বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন গাছ নির্বাচন করে তার সঙ্গে পরাগায়ন করা হয় তবে এটা হয়ে হাইব্রিডাইজেশন বা সংকরায়ন। মানুষের সমাজে এটা খুব পরিচিতি ঘটনা। সাধারণত ছেলে বা মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার জন্য পাত্রপাত্রী দেখা হয়। তাদের বংশের খোজ খবর নেওয়া হয়। খাটো ছেলের জন্য লম্বা মেয়ে খোঁজা হয়। সৎ বংশ খোঁজা হয়। যাতে খাটো ছেলের বংশে পরবর্তী প্রজন্ম লম্ব হয় অথবা অন্য ক্ষেত্রে সৎ প্রজন্ম পাওয়া যায়। এটা তো কোনো অন্যায় নয় বা ক্ষতিকর নয়। তাহলে গাছপালার জন্য ক্ষতিকর কেন হবে?
গাছপালা হেটে যেতে পারে না। তার জন্য এই পাত্র/পাত্রীর মিলন ঘটিয়ে দেয় পোকা মাকড়, পাখি, হাওয়া। উন্নত বৈশিষ্ট্য প্রযুক্ত করা বীজই হাইব্রিডবীজ। তার থেকে উৎপাদিত ফসল হাইব্রিড ফসল।
আমাদের দেশে অনেক আগে থেকেই হাইব্রিড বীজ এসেছে। বিশেষ করে তরমুজ, কপিজাতীয় ফসল। এখন অন্যান্য বীজও আসছে।
হাইব্রিড বীজের প্রধান উদ্দেশ্য থাকে উচ্চ ফলন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দশগুণ বেশি ফলনও পাওয়া যায়। এভাবে কিন্তু খাদ্য চাহিদা মেটানো হচ্ছে।
ফুল দুধরনের । স্বপরাগায়ী ফুল। আর পরপরাগায়ী ফুল। পরপরাগায়ী ফুলের জন্য সংকরাগায়ন তেমন কঠিন নয়। কিন্তু স্বপরাগায়ী ফুলের জন্য সংকরায়ন কঠিন কাজ। যেমন ধান স্বপরাগায়ী। ধানের ফুলের মধ্যে স্ত্রী কেশরচক্র আর পুকেশরচক্র একই সঙ্গে থাকে। একটি গর্ভাশয় আর সঙ্গে দুটি স্টংগমা, ছয়টি পুদণ্ড। এরা একই সঙ্গে বালেগ বা পরিণত হয়ে ওঠে। সেদিন ভোর বেলা সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে গর্ভাশয়ের নীচে দুপাশের শুকনো কিসমিসের মতো দুটো থলি 'লডিকুল' পানি সংগ্রহ করে ফুলে ফেপে ওঠে ধানের খোসা দুটি খুলে যায়। এই খোসা দুটির নাম--লেমা আর পেলিয়া। এ সময়ে ছয়টি পুদণ্ড শক্তি পেয়ে উঠে দাড়ায়। তার মাথার উপরে থাকা পরাগধানীতে থাকা পরাগরেণুগুলি এই সময় গর্ভাশয়ের স্টিগমার উপর পড়ে। আঠার উপরে আটকে যায়। এবং পরাগায়নটি ঘটে। পরাগায়ন ঘটার পর পরই ধানের খোসা দুটি বন্ধ হয়ে যায়। বাইরে শুকিয়ে ঝুলতে থাকে পরাগধানী বা পুদণ্ড চয়টি। এখানে পরপরাগায়ন ঘটার সম্ভাবনা খুবই কম। যদি কোনো কারণে পুদণ্ডটি দুর্বল হয় বা একই সময়ে পরিণত না হয় সেক্ষেত্রে পরপরাগয়ন হতে পারে। সাধারণত এই স্বপরাগায়ন যদি চলতেই থাকে-- তবে প্রকট বৈশিষ্ট্যগুলো এক সময় দুর্বল হয়ে যায়। প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্টগুলো প্রকটে পরিণত হয়। তখন পূর্বের গুণাবলী বা বৈশিষ্ট্য আর থাকে না। এই কারণে উচ্চফলনশীল ফসলের বীজ বারবার উদ্ভাবন করতে হয়।
একবার চিনের এক বিজ্ঞানী ধানক্ষেতে খুঁজে পেলেন অদ্ভুত কিছু ধানের ফুল। দেখলেন এইসব ধানের পুরুষ অঙ্গটি নেই। তিনি এটাকে নাম দিলেন মেল-স্টেরাইল। এটা তো হওয়ার কথা নয়। তিনি কৌতুহল বশত ঐ ফুলের গর্ভমুণ্ডে (স্টিগমা) অন্য ধান গাছের ফুল থেকে পরাগরেণু সংগ্রহ করে মিলন ঘটিয়ে দিলেন। দেখলেন, এই মিলনটি সফল হয়েছে। এই পুরুষ অঙ্গ না থাকায় এখানে পরপরাগায়ন ১০০% নিশ্চিত করা সম্ভব। প্রকৃতি থেকে এই কৌশলটি পেয়ে এই বিজ্ঞানী হাইব্রিড ধান বীজ উৎপাদন কৌশলটি ব্যবহার করলেন। এর জন্য মেল-স্টেরাইল ধানগাছের চাষ করতে হয় মূল ক্ষেতে। তার চারিদিকে আকাঙিক্ষত বৈশিষ্ট্যের পুরুষ ধান গাছ লাগানো হয। তবে দু জাতটিকে এমন সময়ে লাগানো হয় যে পুরুষ ফুল আর স্ত্রী ফুল একই সময়ে পুরণত বা বালেগ হয়ে ওঠে। তারপর পুরুষ ফুলের রেণু স্ত্রী ফুলে এসে পড়ে। পরাগায়ন ঘটে এবং উন্নত ফলনশীল বীজ পাওয়া যায়। এর মধ্যে অশুভ কোনটি? এটা তো একটি প্রাকৃতিক কৌশল--এ কৌশলটিকে বিজ্ঞানীরা আয়ত্ব করে ব্যবহার করছেন মাত্র।
হাইব্রিড বীজ খুব কম লাগে। সাধারণত এক একর জমির জন্য ২০ কেজি বীজ ব্যবহার করে থাকেন কৃষকগণ। আর হাইব্রিড বীজ প্রয়োজন মাত্র ৫ কেজি। দেশী চারা এক গোছায় ১৫-২০টি করে লাগানো হয়। হাইব্রিড চারা মাত্র একটি লাগালেই চলে। একটি চারা থেকেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক কার্যকরী কুশি বের হয়। সুতরাং কম বীজ লাগে বলে গড় বীজের দামের বেশি হেরফের হয় না।
হাইব্রিড ধানগাছের জন্য সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করা হয়। ফলে পরিবেশকে কম ক্ষতি করে সবোর্চ্চ উৎপাদন নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।
সাধারণ জমিতে একই ফসল বারবার চাষ করলে মাটি থেকে একই ধরনের পুষ্টি উপাদান (সার) কমে যায়। সে জন্য শস্যক্রম অনুসরণ করার দরকার। ধরা যাক আমন মৌসুমে ধান করা হল। তার বোরো মৌসুমে ডাল করা গেল। আউশ মৌসুমে ধৈঞ্চা। এভাবে যদি করা যায় তাহলে মাটির স্বাস্থ্য ভাল থাকে। আর সুষম মাত্রায় রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা হলেও মাটির স্বাস্থ্য স্বাভাবিক থাকে। সমন্তিত বালাই দমনের মধ্যে কি আছে দেখুন--
১) রোগ বালাই সহনশীল জাত ব্যবহার।
২) উপকারী পোকা মাকড় ও প্রাণী সংরক্ষণ।
৩) আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি
* সুস্থ বীজ ব্যবহার।
*সুষম মাত্রায় সার ব্যবহার।
*পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও আধুনিক চাষাবাদ অনুসরণ।
*পানি ব্যবস্থাপনা।
*সঠিক দূরত্বে চারা রোপণ।
৪) যান্ত্রিক দমন--আক্রান্ত পাতা কেটে ফেলা, হাতজাল ব্যবহার করা, ক্ষেতে ডাল পুঁতে দেওয়া, ইঁদুরের ফাদ ব্যবহার করা।
৫) সর্বশেষ ব্যবস্থা হিসাবে সঠিক বালাইনাশক ওষধ, সঠিক মাত্রায়, সঠিক পদ্ধতিতে ও সঠিক সঠিত সময়ে ব্যবহার কর।
এই সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা বা আইপিএম অনুসরণ করলে পরিবেশের সুরক্ষা ১০০% নিশ্চিত এবং কম খরচে অধিক ফলন পাওয়া যায়। ভিয়েতনামে, চিনে কিন্তু এই পদ্ধতিই চাষাবাদ চলছে এবং হাইব্রিড বীজ ব্যবহার করে ধান ফসলের উৎপাদনের ক্ষেত্রে রীতিমত একটি বিপ্লব ঘটিয়ে দিয়েছেন।
এখন প্রশ্ন হল, ফরহাদ মজহার এই হাইব্রিড বা উন্নত ফসল চাষের বিরোধীরা করে ওনার যে চাষ পদ্ধতির কল্পকাহিনী শোনাচ্ছেন তা কি এর চেয়ে উন্নত? জাপান ও চীনে তো ধানক্ষেতের পাশে কনসার্ট বাজানো হয় ধান গাছের মন ভাল করার জন্য। বাংলাদেশে না হয় লালনগীতি শোনালাম। সমস্যা কোথায়?
বিজ্ঞানতো স্থবির কিছু নয় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে , প্রয়োজনের সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞান পরিবর্তন করে ভাবনায়, কর্মে--প্রযুক্তিতে। প্রযুক্তিগুলোও সহজসাধ্য হয়ে ওঠে। সহজেই ব্যবহারকারী এবং ভোক্তারা আয়ত্ব করে ফেলে। সুতরাং প্রথম প্রথম চিন দেশেই হাইব্রিড বীজের উৎপাদন সীমাবদ্ধ হলেও তা এখন অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের দেশেও হচ্ছে। একটি দুটি কোম্পানী নয়--অসংখ্য কোম্পানীও নেমে পড়েছে এর উৎপাদনে। অচিরেই কুষক পর্যায়েও এসে যাবে।
ফরহাদ মজহারের সাক্ষাৎকার পড়ে হাসি এল। মনে পড়ল, জাপানী রবীন্দ্রপ্রেমী কৃষিবিজ্ঞানী মাসানবু ফুকুয়োকার কথা। তিনি একটি বই লিখেছিলেন--নাম, এক খড়ে বিপ্লব--One straw Revolution. তিনি একপ্রকার চাষাবাদের প্রচলন করেছিলেন তার দেশে--তিনি মিশ্র বীজ ছড়িয়ে দিতেন ঘাসের মধ্যে। জমিতে লাঙ্গল দেওয়ার কথা বলেন নাই। বীজগুলো ক্লোভার ঘাসের মধ্যে পর্যায়ক্রমে জন্মাত। যে ফসলটি জন্মাত তার ফসল কেটে নিতেন, তার পরেই আরেকটি ফসল হত। এর গাছগুলো পচে সার হত। তিনি কোন রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে না। ওষূধ ব্যবহার করতেন না। এই পদ্ধতিটিই ফরহাদ মজহার একটু এদিক সেদিক করে তার এনজিওতে ব্যবহার করছেন এবং মুলত বিদেশী ফান্ড আনার জন্য এই ডিসপ্লে কর্মটি করছেন। একে সোজা কথা কথায় চুরি এবং ধাপ্পাবাজি বলা যেতে পারে। চুরিটা হল--ফুকুওয়ার কৌশলটা নিয়েছেন--কিন্তু তার ঋণ স্বীকার করছেন না। ওটা তার ভাবান্দোলনের মত একটি ফরহাদীয় চলচ্চিত্র মার্কা মতো ঘটনা। আর ধাপ্পাবাজিটা হল--তিনি যে উপাত্ত টুপাত্ত দিয়েছেন--তাতো বিস্তারিতভাবে দেন নি, আর কোনো বিজ্ঞান বিষয় বিষয়ক জার্নালেও তা প্রকাশিত হয়নি, পরীক্ষিত সত্য বলে প্রমাণিতও হয়নি, কারণ তার মতে বিজ্ঞানীরা হল কুফরী, তিনি আমাদের মতো নাদান পাবলিককে বোঝাচ্ছেন তিনি শুধু নবি-কবি-সুফি-দার্শনিকই নন বটে মহাজ্ঞানী কৃষি বিশেষজ্ঞও বটে। প্রযুক্তি স্থান কাল প্রয়োজন ভিত্তিক। ধরা যাক--আমাদের দেশের বিল অঞ্চলের কথা। সেখানে মাসানবুর এক খড়ে বিপ।ব করে ফসল চাষ করা সম্ভব? সেখানে জলের মধ্যে বীজ ফেলেই দেখুন না, কি হয়? আর সৌখিনভাবে টবে তা ছাদে চাষ করার পদ্ধতি কৃষকের জমিতে চাষ এক কথা নয়। সুতরাং মাসানবু চরাঞ্চলের জন্য যে প্রযুক্তি বের করেছিলেন, তার মাঝারি উচু জমিতে অচল। সবোর্পরি মাসানবু দাবী করেন নি যে তার এই চাষ পদ্ধতিই সর্বোত্তম এবং সবোর্চ্চ ফলন নিশ্চিত করে। ওটা একটা ধনী কৃষকের জন্য হতে পারে, কিন্তু যে দেশের কৃষকদের হাতে হেরিকেন অবস্থা, তারা কেন এই সব বিলাসী কম উৎপাদনশীল প্রযুক্তি গ্রহণ করবে? ধাপ্পাটা হল--মিথ্যে তথ্যকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে প্রচারের আলোতে নিয়ে আসা। তিনি স্রেফ একটা ঠক, প্রতারক এবং ধাপ্পাবাজ।
এবার একটু এনজিও অভিজ্ঞতা বলি। আমি দীর্ঘদিন বরিশালে কৃষি বিষয়ে কাজ করেছি। বরিশালে সুপারি একটি অর্থকরী ফসল। কিন্তু গত ১৫-২০ বছর সুপারির উৎপাদন করে গেছে। কারণ, সুপারি গাছের পরিচর্চা হয় না, শুকনো মৌসুমে পানির স্তর নেমে যাওয়া, সময়মত বৃষ্টিপাত না হওয়া এবং সারের ঘাটতি। সুপারি গাছে গোড়ায় নালার মাটি তুলে দিয়ে, সপ্তাহে একবার পানি দিয়েও এই অবস্থার উন্নতি করা যায়। এই জন্য একটি প্রজেক্ট তৈরি করলাম। 'সুপারি গাছের পরিচর্যা'।
প্রজেক্টটি পাশ হল। প্রকল্পের শর্তানুসারী একটি স্থানীয় এনজিওকে নিতে হবে। ফরহাদ মজহারের এক শিষ্য উবিনিগ থেকে এসে একটি স্থানীয় এনজিও করেছেন। তাকে নিলাম। তিনি খুব বড়ো বড়ো কথা বললেন। এবং প্রজেক্টটির পুরো টাকাগুলো মেরে দিলেন। আর একটি ভালো দেখে বাগানের গাছগুলোর গোড়াটোড়া পরিস্কার টরিস্কার করে কয়েকটি ছবিটবি তুললেন। একটি সুন্দর রিপোর্ট বই বানালেন। আর প্রকল্পের মনিটরদের অই একটি বাগান দেখালেন। খাওয়া-দিলেন। ফিনিস। দক্ষিণাঞ্চলের সুপারিগাছের ফলন বেড়ে গেল। কদিন আমাকেও খাওয়া দাওয়ার কোসেস করলেন। ফেইল হলে পরে ধাওয়াও দিলেন। পরে শুনি উনি এই অত্যন্ত ফলপ্রসু প্রকল্পটি দেখিয়ে বিদেশ থেকে আরও অনেক ফান্ড টান্ড যোগাড় করে ফেলেছেন। তিনি তার টিনের ঘরটি ভেঙে এখন পাঁচতলা বিলিাডং হাকিয়েঁছেন। তিনি একবার ফরহাদ মজহারকে নিয়ে এসেছিলেন পিরোজপুরে। ফরহাদ মজহার সেখানে গানটান গেয়ে নয়াকৃষির বানী প্রচার করেছিলের এইসব চোর বাটপাড়দের সামনে। এই তো ঘটনা এনজিওদের।
এই ফরহাদ মজহার কিন্তু সারা দেশে শয়নে স্বপনে ঘুমে জাগরণে সাম্রাজ্যাবাদের আছর আবষ্কিার করছেন-- শ্যামরী সুরক্ষিত প্রাসাদে বসে, প্রাজরো গাড়িতে ঘুরে, এনজির নামে কোটি কোটি ডলার মেরে দিয়ে কিন্তু তার সহাগামী একটি এনজিওর বিরুদ্ধে টু শব্দ করেন না। এই তার সাম্রাজ্যবাদিবিরোদী বিপ্লাবীপনা?
আমাদের দেশে সত্যিকারের বিপ্লব যদি কোনো সেকটরে হয়ে থাকে তা হল, কৃষি সেকটরটি। ক্রমবর্ধমান বিপুল মানুষের জন্য কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর জন্য আমাদের বিজ্ঞানীরা অসংখ্য উন্নত জানের ফসলের বিশেষ করে ধান ফসলের বীজ উদ্ভাবন করেছেন। বিভিন্ন এলাকা উপযোগী ফসল উৎাপাদন প্রযুক্তি বের করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ কর্মীরা তা কৃষকদের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। কৃষক সেখান থেকে তার জন্য উপযোগী এবং লাভজনক প্রযুক্তিটি বেছে নিচ্ছেন। দেশের রাজনীতির হাল না ফিরলেও কৃষি ব্যবস্থার হাল ফিরছে। ফরহাদ মজহার এই নিবেদিত প্রাণ কৃষি বিজ্ঞানীদের এই অবদানকে স্বীকার করেন না। তাদের নামে গীবত করেন। উদ্দেশ্য কি? তিনি দেশকে কৃষি প্রযুক্তিতে প্রাগ্রসর দেখতে চান না। যেমন দেখতে চান না দেশের সকল মানুষের সম্প্রীতি। রাজনীতে-দর্শনে যেমন তিনি মৌলবাদি পেছনের স্থবির ধারার দিকে যাওয়ার কথা প্রচার করছেন, জঙ্গীদের তাত্ত্বিক নেতার ভূমিকায় নেমে পড়েছেন, যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষক হয়ে যাচ্ছেন--দেশকে পাকিস্তানীদের, তালেবানী জঙ্গীদের উপনিবেশের ধারায় নিয়ে যেতে চাইছেন--ঠিক কৃষির ক্ষেত্রেও যে কথাবার্তা বলছেন-- নয়াকৃষির নামে যে সব আষাড়ে গল্প বলছেন, তা কিন্তু দেশকে কৃষিক্ষেত্রে মৌলবাদী হওয়ার কথাই বলে। তার কথা শুনলে এদেশের কৃষকের বারোটা নয়--তেরটা বেজে যাবে। দেশটিতে ফসলে চৌদ্দটা বেজে যাবে। অনাহারে অর্ধাহারে যে কজন লোক জীবিত থাকবে, তারা ভাই পরাশ্রয়ী হয়েই বেঁচে থাকবে। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর যোগ্যতা হারাবে। এটাও কিন্তু একটা সাম্রাজ্যবাদি কৌশলল। এই অপকৌশলেরই প্রচারক জনাব ফরহাদ মজহার। তিনি আমাদের দেশের জন্য একজন বিপদজনক ব্যক্তি।"
কৃষি বিজ্ঞানী কুলাদা রায় কে ধন্যবাদ তাঁর ভাবনাগুলো শেয়ার করার জন্য। এ সম্পর্কিত আরো আলোচনা দেখতে চাইলে-
Click This Link
Click This Link
(মন্তব্য অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে বলে আলাদা পোস্ট দিতে হলো- ক্ষমা করবেন)
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:২১