নোয়াব ছাবের ডাইরি কত কথাই না কয় :
নবাব স্যার খাজা আহসান উল্লাহর লিখিত ডায়েরির সন্ধান পাওয়া যায় বিভিন্ন লেখক ও গবেষক সূত্রে। জানা যায়, তিনি ১৮৭১ থেকে ১৯০১ সাল পর্যন্ত ডায়েরি লিখেছেন। এসব ডায়েরি আহসান মঞ্জিল জাদুঘর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠাগার এবং খাজা পরিবারের বিভিন্নজনের কাছ থেকে পাওয়া গেছে, যা রক্ষিত আছে। ডায়েরিগুলো মূলত উর্দু ভাষায় লেখা হলেও মাঝেমধ্যে ইংরেজিতেও লেখা রয়েছে।
১৮৮৩ সালের ৯ জানুয়ারি তিনি লিখেছেন, ‘এ দিন দুপুরে মেমগণ এসেছেন এবং তাঁরা বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোজের টেবিল সাজিয়েছেন। রাতে ভোজ ও নাচ হয়েছে।’ তিনি লিখেছেন:
‘আমি প্রথমবার মিসেস আলেকজান্ডারের সঙ্গে, দ্বিতীয়বার মিসেস স্টিভেন্সের সঙ্গে ও তৃতীয়বার মিসেস জুজুবীরের সঙ্গে নেচেছি। ভোজের টেবিলে মিসেস আলেকজান্ডারকে নিয়ে গেছি।’
দুই দিন পর তাঁর ডায়েরিতে আরও একটি নৈশ-নৃত্যানুষ্ঠানের খবর পাওয়া যায়। ১১ জানুয়ারি রাতেও নবাব আহসান উল্লাহ একের পর এক তিনজন লেডির সঙ্গে নেচেছেন! রাত আড়াইটায় নাচ বন্ধ হয়। ১৩ জানুয়ারির ডায়েরিতেও তিনজন বিদেশিনীর সঙ্গে নৈশ-নৃত্যের কথা আছে। লিখেছেন তিনি:
‘রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত নাচ চলল। সকলেই খুশি ও আনন্দমুখর ছিল। আমি তিনজন লেডির সঙ্গে বল-নাচ নেচেছি ও একজনকে খাওয়ার টেবিলে নিয়ে গেছি।’
নাচের আরও খবর পাওয়া যায় বিভিন্ন সালের ডায়েরিতে। ১৮৮৩ সালের ২০ জানুয়ারি রাতে তিনি ঢাকার জমিদার রূপলাল দাসের বাড়িতে আমন্ত্রিত হয়ে নাচ-গান উপভোগ করেছেন। ১৮৯৭ সালের ২৪ মে রাত তিনটা পর্যন্ত আহসান মঞ্জিলে তামাশা এবং নাচ চলে।
এই পোস্টের উদ্দেশ্য মোটেও ইসলামরে হেয় করা না। বরং ধর্মব্যবসায়ী মুসলীম লীগরে হেয় করা।