সম্প্রতি জাঁদরেল সাহিত্যিক জনাব হুমায়ুন আহমেদের মৃত্যু নিয়ে পূরো দেশবাসী এতটাই শোকাভিভুত যে, দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু তাদের দৃষ্টিসীমার আড়ালে রয়ে গেল। অথবা বলা চলে হুমায়ন আহমেদের মৃত্যুর এই ডামাডোলে জনগণকে ব্যস্ত রেখে বাংলাদেশ সরকার কৌশলে নিজেদের গা বাঁচিয়ে নিল। আর সেটা হলো, পদ্মা সেতু কেলেংকারি আর আমাদের ‘বেগুনাহ’ ‘মাসুম’ মন্ত্রী আবুলের আত্বত্যাগ, দেশের জন্য কোরবানীর উজ্জল নমূনা! জ্বি, সুধী পাঠক, আমাদের আবুল দেশের স্বার্থে(!) নিজের পদ কোরবানী করেছেন। তিনি পদত্যাগ করেছেন।
জনাব আবুল হাসেনের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারকে বিশ্বব্যংক দীর্ঘদিন বলে আসছে, এই লোকটা দূর্ণীতিবাজ, তাকে পদ্মা সেতুর যে কোন কার্যক্রম থেকে দূরে রাখতে হবে, তার দূর্ণীতির তদন্ত করতে হবে এবং শাস্তি দিতে হবে। কিন্তু আবুল বরাবরই বলেন, তিনি একোবারে ‘নির্দোষ’ ‘বেগুনাহ’ ‘মাসুম’। সকালের শ্বেতশুভ্র কলির মত পবিত্র তার চরিত্র! তিনি বরং বিশ্বব্যংকের যোগ্যতা ও নিরপেক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন। চীনে বেড়াতে গিয়ে রসিকতাচ্ছলে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে জিতে গিয়ে তিিন নাকি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেওকে মন্ত্রীত্বেও ওয়াদা আদায় কওে নিয়েছিলেন। কপালটাই খারাপ আবুলের। মন্ত্রীত্ব পেলেও তার দৌড় কিন্তু কখনই থামেনি। যোগযাযোগ মন্ত্রী থাকাবস্থায় েেদশের রাস্তাঘাটের করুণ দশা পূরো দেশের সমালোচনার মুখে পড়নে তিনি। আবুল নামটিই এক হাস্যকর লকবে পরিণত হয়। মন্ত্রী হয়েও তিনি দৌড়ের উপরেই থাকেন। সেই দৗড়ের উপরে থাকতে থাকতেই দাবড়ানী দেয় বিশ্বব্যংক। দূর্ণীতির অভিযোগ তোলে। রহস্যজনকভাবে প্রধানমন্ত্রীর আশির্বাদ ধরে রাখতে পারলেও আওয়ামি লীগের নেতাকর্মীদের দাবড়ানী খেয়ে শেষ পর্যন্ত যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে দৌড় দিতে হলো অন্য এক মন্ত্রণালয়ে। কিন্তু সেখানেও কি আরামে থাকতে পারলেন আমাদের আবুল? বিশ্বব্যংকের দাবড়ানী খেয়ে সেখান থেকেও তাকে সরতে হলো শেষ পর্যন্ত। দৌড় দিয়ে তার শুরু, দৌড়ের উপরেই ছিলেন তিনি, দৌড়ের মধ্যেই মন্ত্রীত্ব শেষ হলো এই বিশিষ্ঠ দৌড়বীদ আবুলের