এ মাটি বড় উর্বর মাটি-
বর্ষণে, কর্ষণে নিত্যই সোনা ফলে।
এ মাটি কবি আর কবিতার জন্যও উর্বর।
এখানে কবিদের মাথায় কাব্য ফলে;
নর্দমার ব্যঙ্গাচীর মত-
মৌচাকের মৌমাছির মত-
পদ্মার ইলিশের ঝাঁকের মত-
বন হরিনের পালের মত-
নদীর স্রোতের মত-
আকাশের তারার মত, বেশুমার।
এখানে সবাই কবি।
বাবরী চূল ঝাঁকিয়ে-
সূরা সিক্ত গলা খেঁকিয়ে-
অদ্ভুতোচ্চারণে মুখ বেঁকিয়ে-
নিরানন্দ জীবনের ছন্দহীন সংলাপে;
এখানে সবাই কবি।
এখানে প্রেম না জানা যুবকও কবি;
পথহারা পথিকও কবি;
গঞ্জিকাসেবীও কবি,
পঞ্জিকাপাঠকও কবি-
সিন্দুক আগলে রাখে যে জন, সেও কবি-
বন্দুক বহে যে জন, সেও কবি-
এখানে সিংহাসনে বসেও কবিতা লেখা যায়।
এখানে বিশ্ববেহায়াও কেবলমাত্র মাটির গুণেই,
হ্যাঁ, উর্বর এ মাটির গুণেই কবি বনে যায়!
এ কেবল উর্বর মাটিরই গুণ।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:৪৫