"Time Travel" বা "সময় ভ্রমন" এই শব্দটার সাথে আপনাদের সকলের বেশ পরিচিত। মূলত সিনেমার মাধ্যমে আপনারা অনেকেই পরিচিত এই সময় ভ্রমনকারি মেশিনের সাথে। কিন্তু সত্যি কি এই সময় ভ্রমন আদৌ সম্ভব? এখন পর্যন্ত কেউ দাবি করে নাই যে তারা এই সময় ভ্রমন করেছেন বা সময় ভ্রমন করার মেশিন আবিস্কার করেছেন! সত্যি কি তাই? না মোটেও না এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজন দাবি করেছেন তারা সময় ভ্রমন করেছেন বা তাদের সাথে অভিষ্যত থেকে দেখা করতে এসেছিল সে নিজেই। আজ আপনাদের এরকম ৫ জন ব্যাক্তির সাথে পরিচয় করিয়ে দিব যারা আপনার মনে প্রশ্ন জাগাতে বাধ্য হবে সত্যি কি তাহলে মানুষ সময় ভ্রমন করতে সক্ষম? আসুন তাহলে পরিচিত হয়ে নেই সেই ৫ জন ব্যাক্তির সাথে।
এন্ড্রু কার্লসেনঃ
শেয়ার বাজার সম্পর্কে যাদের ধারনা আছে তার নিশ্চই খুব ভাল মত জানেন যে কোন শেয়ারের দাম কখন বাড়বে আর কখন কমবে তা জানা থাকলে খুব তাড়াতাড়ি বিত্তবান হয়ে যাওয়া কোন ব্যাপার না। আজ আপনাদের এরকম একজনার সাথে পরিচয় করিয়ে দিব যার নাম এন্ড্রু কার্লসেন (Andrew Carlssin)। এই এন্ড্রু কার্লসেন মাত্র ৮০০ ডলার দিয়ে বিনিয়োগ করে আমেরিকার শেয়ার বাজার Wall Street এ, আর কয়েক মাসের মধ্যে তার অর্থের পরিমান দাঁড়ায় ৩৫০,০০০,০০০ মার্কিন ডলার। হঠাত করে আয় হওয়া অর্থ দৃষ্টি আকর্ষন করে আইন শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর। তারা আটক করে এন্ড্রু কার্লসেনকে। আর তাদের জেরার মুখে এন্ড্রু কার্লসেন স্বীকার করেন যে তিনি এসেছেন ২২৫৬ সাল থেকে। আর তিনি জানেন যে কোন শেয়ারের দাম বাড়বে আর কোন শেয়ারের দাম কমবে। এই কারনেই তিনি সব লাভের শেয়ার কিনে ফেলেন। সব থেকে অবাক করার বিষয় কোন কথা নেই বলা নেই একদিন তিনি উধাও হয়ে যান। কেউ আর কোন দিন তার কোন খোঁজ পায়নি। উপরের ছবিটি সে সময়ের প্রত্রিকার।
১৯৪১ সালের সেতু উদ্ভোদনঃ
এই ছবি নিয়ে পূর্বে "অব্যাখ্যায়িত ১৩টি ছবি" লেখায় বিস্তারিত আলোচনা করেছিলাম। তাই এখানে কিছু লিখলাম না।
ভন হেল্টনঃ
উপরে পাশাপাশি যে চারটি ছবি দেখছেন বাম দিক থেকে তার প্রথমটি তোলা হয় ইংল্যান্ডে ১৮৫৭ সালে, ২য়টি ১৯১৬ সালে ফ্রান্সে, ৩য়টি ১৯৪৫ সালে বার্লিনে আর সব শেষের ছবিটি তোলা হয় তৎকালীন সময়ে। চারটি ছবিতে সম্ভাব্য ব্যাক্তির নাম ভন হেল্টন (Von Helton)। তিনি নিজেই এই চারটি ছবি দিয়ে প্রমান করেন যে তিনি সত্যিকার অর্থেই একজন সময় ভ্রমণকারী। অবশ্য অনেকের ধারনা ভন হেল্টন আসলে একজন ভ্যাম্পায়ার। আর এ কারনেই তার উপর সময়ের করে প্রভাব পরে নাই। আর যদি তিনি ভ্যাম্পায়ার না হয়ে থাকেন তাহলে সত্যিকার অর্থেই তিনি একজন সময় ভ্রমণকারী।
হ্যাকান নোকোভিষ্টঃ
হ্যাকান নোকোভিষ্ট (Hakan Nordqvist) একজন সাধারন ব্যাক্তি কিন্তু রাতারাতি বনে যান একজন বিখ্যাত ব্যাক্তি। তিনি কিন্তু এখন পর্যন্ত সময় ভ্রমন করেনি, কিন্তু তিনি দাবি করে বসেন যে ভবিষ্যত থেকে ৭০ বছর বয়সের তিনি নিজেই এসেছিলেন তার সাথে দেখা করতে। অনেকেই বলবেন নির্ঘাত মিথ্যা বলছে। হ্যাঁ তা বলা যেত যদি না হ্যাকান নোকোভিষ্ট বুদ্ধিমানের মত একটা কাজ না করতেন। তিনি তার ফোনে দিয়ে ৭০ বছর বয়স্ক হ্যাকান নোকোভিষ্ট এর সাথে ভিডিও তোলেন, আর ভিডিওর মধ্যে তাদের দুজনার হাতেই একই ট্যাটু। এখন পর্যন্ত কেউ তার এই ভিডিওকে মিথ্যা প্রমান করতে পারেনি, আর তার সাথের ব্যাক্তিকেও খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়নি। তাহলে কি সত্যি সত্যি এসেছিলেন ৭০ বছর বয়স্ক হ্যাকান নোকোভিষ্ট তার অতীতের হ্যাকান নোকোভিষ্ট এর সাথে দেখা করতে?!
এবার চলুন দেখে নেই হ্যাকান নোকোভিষ্ট এর তোলা সেই ভিডিওটি।
অতীতের মোবাইল ব্যাবহারকারীঃ
সালটা ১৯২৮, এ সময়ের বিখ্যাত অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিনের সিনেমা "The Circus" এর প্রিমিয়ার চলছে। এসময় সিনেমার সামনের গেটের সামনে বানানো জিরাফের ভিডিও চিত্র তোলার সময় ধরা পরল এক বৃদ্ধা মহিলা। যিনি কিনা কানে হার দিয়ে কথা বলছেন। দেখলে সকলেই এক বাক্যে বলবেন, "বৃদ্ধা মহিলা মোবাইলে কথা বলছেন"। একটু দাড়ান সালটা যে ১৯২৮, তখন কিন্তু মোবাইল আবিস্কার হয়নি। তাহলে কি এই বৃদ্ধা মহিলা তার সাথে ঘুড়তে আসা অন্যান্ন সময় ভ্রমনকারীর সাথে কথা বলছেন?
এবার আপনাদের ১৯২৮ সালে ধারনকৃত ভিডিওটি দেখাবো, দেখে নিজেই সিদ্ধান্ত নিন।