somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কল্পগল্পঃ জিরো পয়েন্ট

০১ লা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


“স্যার আপনার ড্রিংক!”
আমি ওয়েটারের হাত থেকে গ্লাসটা নিলাম। জিজ্ঞেস করলাম, “তুমি কি আমার বন্ধুটিকে দেখেছ?”
“আপনার বন্ধু? কি নাম তার?”
“সায়মন মাসরুর।”
“ও, ওনাকে তো একটু আগে এদিকেই দেখেছিলাম।”
“যদি আবার দেখো, বলবে আমার সাথে যেন একটু দেখা করে।”
“আপনার নাম স্যার?”
“বাপ্পী।”
ওয়েটার চলে গেল।
বন্ধুর মামার বিয়েতে এসেছি। বন্ধুটিকে দেখতে পাচ্ছি না কোথাও। এখন আর খোঁজার চেষ্টাও করলাম না। মদের গ্লাস হাতে পায়ের উপর পা তুলে বসে রইলাম আগের মতোই। ঠোঁট ছোঁয়ালাম গ্লাসে। পুরো ঘরে চোখ বোলালাম। চারিদিকে অনেক মানুষ দেখতে পাচ্ছি। সবাই নিজেরা নিজেরা কথা বলছে, সবার হাতের গ্লাসে লালচে মদ। আমিই শুধু একপাশে বসে আছি একা একা। এমনই হয়। কোন অনুষ্ঠানে গেলে আমি সাধারণত এক কোণায় বসে থাকি চুপচাপ। হৈ-হুল্লোড়, নাচানাচি এসব আমার কাজ নয়।
পাশে খুট করে শব্দ হলো। তাকালাম। চেয়ার টেনে একটি মেয়ে বসেছে সেখানে। বেশ সুন্দরী সে। টকটকে লাল লিপস্টিক ঠোঁটে, চোখে বড় লাল ফ্রেমের চশমা। বেশ সাজতে জানে মেয়েটা। সেও আমার মতো পায়ের উপর পা তুলে বসল। তখনই অবাক হলাম একটু। তার গায়ের পোশাকটা বেশ দামী। ফ্রকের মতো দেখতে, হাতা কাটা, লো কাট গলা। হাঁটুর একটু উপরে এসে থেমে গেছে জামার শেষভাগ। তবে অনাবৃত শরীর নিয়ে কোন ধরনের সংশয় নেই তার মধ্যে। নিঃসঙ্কোচে বসে আছে। খটকা লাগল! মেয়েটা কি বাঙালি? মধ্যবিত্ত বাঙালি মেয়ের হাবভাব, পোশাক-আশাক এমন হয় না। উচ্চবিত্তদের ব্যাপার আলাদা।
তখনই প্রশ্ন জাগল, মধ্যবিত্ত বাঙালি ছেলেরা কি বিয়ের অনুষ্ঠানে এসে প্রকাশ্যে এভাবে মদ খায়? নিজের হাতের গ্লাসের দিকে তাকালাম। কি আশ্চর্য! এতক্ষণ প্রশ্নটা জাগেনি কেন সেটাই বিস্ময়কর!!
আমি বসা থেকে উঠে দাড়ালাম। বাইরে তাকালাম জানালা দিয়ে। ভেবেছিলাম, অস্বাভাবিক কিছু দেখব। দেখলামও। বাইরে উন্মত্ত সাগর। সাগরের মাঝখানে লাইট হাউজের মতো একটি বাড়িতে রয়েছি আমরা। যতদূর চোখ যায়, দিগন্ত-জোড়া উন্মত্ত নীল সাগর শুধু। সাগরের বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে বাড়িটির গায়ে।
এর একটাই অর্থ হতে পারে। এসবের কোন কিছু বাস্তব নয়, আমি স্বপ্ন দেখছি!
বিষয়টা ধরতে পেরে শিহরিত হলাম আমি। এটাকে বলে লুসিড ড্রিম। যে স্বপ্ন দেখে, সে বুঝতে পারে যে সে স্বপ্ন দেখছে। তারপর নিজেই নিজের স্বপ্ন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
চারিদিকে তাকালাম, এত বড় বাড়ি, ঘর ভর্তি এত এত মানুষ, বাইরে দিগন্ত বিস্তৃত সাগর...সব কিছুই আমার স্বপ্ন মাত্র! কেবলই আমার কল্পনা!! বিষয়টা কত রোমাঞ্চকর!! রোমাঞ্চিত হবার আরও একটা কারণ হলো, যেহেতু এটা স্বপ্ন, আমি যা খুশী, তাই করতে পারি। আমি ভাবতে লাগলাম কি করা যায়। সামনে বসা মেয়েটার সঙ্গে প্রেম করব? নাকি মদের গ্লাসে আর এক পেগ মদ ঢেলে গলা ভেজাব? উদ্ভট কোন রক মিউজিক ছেড়ে নেচে বেড়াব ঘর জুড়ে? নাকি জানালা খুলে সাগরে লাফ দিয়ে পড়ব?
উহু! আমি একজন লেখক। আমার কল্পনাশক্তি হতে হবে অনেক শক্তিশালী। এসব ছোটখাটো আনন্দের কাজ যে কেউ করতে পারে। আমাকে করতে হবে অনেক ক্রিয়েটিভ আর ইন্টেলেকচুয়াল কিছু।
কতক্ষণ সময় আছে আমার হাতে? মানুষ স্বপ্ন দেখে দেড়-দুই মিনিট। বড়জোর তিন-চার মিনিট হতে পারে। তবে স্বপ্নে মস্তিষ্কের চিন্তা ভাবনা করার গতি অনেক বেড়ে যায় বলে সময়ও বাস্তবের চেয়ে অনেক গুণ দীর্ঘায়িত হয়। কয়েক মিনিটের স্বপ্নে কয়েক ঘণ্টাও পেরিয়ে যেতে পারে। কাজেই যদি ধরে নেই আমার হাতে ঘণ্টাখানেক সময় আছে, কি করা যাবে এই সময়ে?
একটু ভাবতেই মাথায় এলো। আমি এখন স্বপ্ন দেখছি। স্বপ্নের ভেতর ঘুমিয়ে গিয়ে আরেকটা স্বপ্ন দেখলে কেমন হয়? এলান পোয়ের ড্রিম উইদিন আ ড্রিম কবিতার মতো? তবে সেটা করা সম্ভব বলে মনে হয় না। স্বপ্নের ভেতর স্বপ্ন দেখার ঘটনা লুসিড ড্রিমে হয় না সম্ভবত। তাছাড়া আমার মোটেও ঘুম পাচ্ছে না। পাবে কি করে, আমার বস্তুগত শরীর আমার বিছানায় শুয়ে অকাতরে ঘুমোচ্ছে! শুধু মনটাই সজাগ। মনের তো আর ঘুমের প্রয়োজন হয় না!
সিমুলেশন? হ্যা সিমুলেশন করা যায়। সিমুলেশন মানে হলো বাস্তব জগতের একটি কাল্পনিক প্রতিরূপ; কম্পিউটারের তৈরি একটি কাল্পনিক জগৎ, যেখানে বাস্তব জগতের সব কিছু রয়েছে। আমি যেটা করব সেটা হবে এর ভাইস ভার্সা।
কম্পিউটার সিমুলেশনে বাস্তবের একটি মস্তিষ্ক (কম্পিউটার মস্তিষ্ক) বাস্তবের মতো একটি কাল্পনিক জগৎ তৈরি করে। আর আমি কাল্পনিক জগতে বসে বাস্তব জগতের সিমুলেশন করব। অর্থাৎ আমি স্বপ্নে বসে সিমুলেশনে গিয়ে দেখব যে আমি আমি নিজের কামরায় নিজের বিছানায় শুয়ে আছি, ঘুম থেকে উঠে দৈনন্দিন কাজগুলো করব, তারপর সিমুলেশন শেষ হলে স্বপ্নে ফিরে আসব, স্বপ্ন থেকে উঠে আবার আসল বাস্তবে ফিরে যাব, নিজের ঘরের নিজের বিছানায়।
পাশ থেকে হাসির শব্দ পেলাম।
“হে হে হে হে হে...হো হো হো হো...হা হা হা হা!”
হুইল চেয়ারে বসে আছে একটা লোক। কোট টাই পরা, চোখে চিকন ফ্রেমের চশমা। হাসছে সে।
স্টিফেন হকিং!!!
কিছু যায় আসে না। আমার স্বপ্নে যাকে খুশী তাকে আসতে দিতে পারি। স্টিফেন হকিং হোক কিংবা ডোনাল্ড ট্রাম্প!
“স্যার হকিং, আপনি হাসছেন কেন?”
“তুমি কি ভাবছ, এতগুলো রিয়েলিটি তৈরি করে ঠিকঠাক সত্যিকারের রিয়েলিটিতে ফিরে যেতে পারবে?”
“কেন নয়? আমি কল্পনায় যাই করি না কেন, রিয়েলিটি তো আর বদলাবে না তাতে।”
স্টিফেন হকিং যেন রেগে গেল হঠাৎ করে। চেয়ার ছেড়ে উঠে দাড়াল লাফ দিয়ে। তারপর দাঁত কিড়মিড় করে বলল, “দুই পাতার সায়েন্স ফিকশান লিখে কি নিজেকে বিজ্ঞানী ভাবা শুরু করেছ তুমি? বিজ্ঞান এত সহজ নয়। আমি জানি বিজ্ঞান কি। হুইল চেয়ারে কয়েকটা বছর কাটিয়ে দেখো, বুঝবে বিজ্ঞান কি জিনিস!!”
আমি অবাক হয়ে বললাম, “আপনি এত রেগে যাচ্ছেন কেন? আপনি তো আর আসল স্টিফেন হকিং নন। আমার কল্পনামাত্র। এটা তো আর রিয়েলিটি নয়। একটা ড্রিম, লুসিড ড্রিম।”
“রিয়েলিটির সংজ্ঞা দিতে বলি যদি তোমাকে, পারবে? রিয়েলিটির ডেফিনেশন দেয়া এত সহজ নয়। তুমি যা অনুভব কর, তাই রিয়েলিটি। এখন তুমি স্বপ্ন দেখছ, সেটাও তো এক ধরনের অনুভূতি বই কিছু নয়।”
“আমি যা অনুভব করি তা রিয়েলিটি নাকি বাস্তবে যা ঘটে সেটা রিয়েলিটি?”
“বাস্তবে ঘটে বলতে কি বোঝায়, বাস্তব, বাস্তবতা, রিয়েলিটি, কোনটারই কিন্তু স্বয়ংসম্পূর্ণ সংজ্ঞা নেই। বাস্তব কি সেটা বুঝতে হলে রিয়েলিটির ডেফিনিশন জানতে হবে তোমাকে, আবার রিয়েলিটির সংজ্ঞা দিতে হলে বাস্তবকে টেনে আনতে হবে। সে হিসেবে রিয়েলিটি একটা প্যারাডক্স। একটা বিষয় কি জানো, মানুষের মস্তিষ্ক যদি স্ক্যান করা হয় তাহলে যে কেউ যে কোন সিদ্ধান্ত নেবার ৫ সেকেন্ড আগে সেটা জানা সম্ভব। অর্থাৎ তুমি এখন যে সিদ্ধান্ত নিলে, সেটা তোমার মস্তিষ্ক স্ক্যান করতে থাকা কম্পিউটার ৫ সেকেন্ড আগে বলে দিতে পারবে। তাহলে এখন বলো, রিয়েলিটি আসলে কি? মানুষের মস্তিষ্কের বাইরে রিয়েলিটির অস্তিত্ব কতটা সত্য?”
“এটা তো সহজ ব্যাপার। আমরা যে সিদ্ধান্ত নেই, সেটা অবচেতন মনে আগেই চলে আসে বলে হয়তো ৫ সেকেন্ড আগে বিষয়টা ধরা পড়ে।”
“হতে পারে। সেক্ষেত্রে কামনা করো যেন কখনো অবচেতন মনের সব তথ্য মানুষ না জানে। কারণ রিয়েলিটি কি, সেটা কেউ জেনে থাকলে কেবল আমাদের অবচেতন মনই জানে।”
“স্টিফেন সাহেব, আমার মনে হয় আপনি নিক ব্রস্টমের সিমুলেশন হাইপোথেসিস অনেক সিরিয়াসলি নিয়েছেন যেটা বলছে জীবনটা হলো একটা কম্পিউটারের কল্পনা। যা কিছুর স্বয়ংসম্পূর্ণ ডেফিনিশন নেই, তা কিছু যদি রহস্যময় হতো, তাহলে সবচেয়ে রহস্যময় হবে সময়। কারণ সময়েরও কোন ভিভিড ডেফিনিশন নেই। সময়কে ‘সময়’ শব্দটা ছাড়া সংজ্ঞায়িত করা যায় না।”
“এই তো, এতক্ষণে বুঝেছ। তুমি না সিমুলেশনের মাধ্যমে বাস্তব জগতে যেতে চেয়েছিলে?”
“হ্যা।”
“আমার হাতটা ধরো।”
“আপনার হাত ধরলে আমি সিমুলেশনে চলে যাব?”
“এটা তোমার স্বপ্ন মাত্র। এখানে নিশ্চয়ই সিমুলেশন করার জন্য সুপার কম্পিউটার দরকার হবে না তোমার।”
আমি তার হাত ধরলাম। অমনি বদলে গেল পরিচিত জগৎ। বুঝলাম সিমুলেশন শুরু হয়েছে। এখনই হয়তো নিজের পরিচিত বিছানাটা দেখতে পাব চোখ খুলে।
কিছুক্ষণ কেটে গেল। নিশ্ছিদ্র অন্ধকার চারিদিকে। স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ। তারপর কোথায় যেন একটা গমগমে আওয়াজ হলো। কেউ একজন বলে উঠল-“ওয়েলকাম টু রিয়েলিটি!”
“কে? কে কথা বলে?”
“ভয় পাবেন না, আমি আপনার নিদ্রা-জাগরক। চতুর্মাত্রিক থেকে পঞ্চমাত্রিক জগতে এলে একজন নিদ্রা জাগরকের প্রয়োজন হয়। আমিই সে!”
“মানে? পৃথিবী হলো ত্রিমাত্রিক, আমি পঞ্চমাত্রিক জগতে যাব কি করে?”
“একটু ধৈর্য ধরুন। কিছুক্ষণ পরেই সব মনে পড়বে আপনার। ঘুম থেকে ওঠার পর কিছুক্ষণ বিস্মৃতি চেপে বসে। তবে পৃথিবী কিন্তু ত্রিমাত্রিক নয়, চতুর্মাত্রিক। যদিও আপনি আর পৃথিবীতে নেই এই মুহূর্তে। আপনার ঘুম ভেঙে গিয়েছে।”
“পৃথিবী ত্রিমাত্রিক নয় কেন?”
“দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতার পাশাপাশি সময় কিন্তু একটি মাত্রা। পৃথিবীর বিজ্ঞানীরাও অস্বীকার করে না সেটা। মানুষ স্বপ্ন দেখে কেন জানেন? কারণ স্বপ্নে সময় বলে কিছু থাকে না। মানুষ দৈর্ঘ্য-প্রস্থ অনুভব করে, উচ্চতা অনুভব করে, কিন্তু সময় অনুভব করে না স্বপ্নে। অথচ বাস্তবে করে। সেটাই স্বাভাবিক। যে যে রিয়েলিটিতে বসবাস করে, তার স্বপ্নে সেই রিয়েলিটির চেয়ে সময়ের একটি মাত্রা কম থাকে। পৃথিবীর সময় একমাত্রিক, তাই পৃথিবীর মানুষের স্বপ্নে সময় হলো শূন্যমাত্রিক। আমাদের, পঞ্চমাত্রিক প্রাণীদের কাছে সময় হলো দ্বিমাত্রিক, তাই আমাদের স্বপ্নে, অর্থাৎ পৃথিবীতে সময় হলো একমাত্রিক। এভাবে আমরাও কিন্তু ষষ্ঠমাত্রিক প্রাণীদের স্বপ্ন।”
“তাহলে রিয়েলিটিতে কারা থাকে? কত-মাত্রিক প্রাণী?”
“সময়ের মাত্রা অসীম। তাই রিয়েলিটির সংখ্যাও অসীম। আদৌ কোথাও এই মাত্রা শেষ হয়েছে কিনা , আমরা জানি না। যদি হয়ে থাকে তাহলে সেটা হবে আসল রিয়েলিটি।”
“আর না হলে? রিয়েলিটি বলতে কিছু নেই?”
“আছে, আবার নেই। অসংখ্য স্বপ্নকে অসংখ্য রিয়েলিটি ধরে না নিলে রিয়েলিটি বলতে হয়তো কিছু নেই। তবে, আপনি যদি আমাকে জিজ্ঞেস করেন, আমি বলব, রিয়েলিটি একটি গাণিতিক রাশি এবং সেটার মান অসীম।”
সিমুলেশন শেষ হতেই আমি আবার সেই ঘরটিতে উপস্থিত হলাম, স্টিফেন হকিং যেখানে আমার হাত ধরে ছিল। আমার রক্তশূন্য চেহারা দেখেই সে বলল-“অবাক হবার কিছু নেই। বরং আনন্দিত হও।”
“আনন্দিত হবো, কেন?”
“কারণ রিয়েলিটি যেহেতু অসীম, তুমি কিন্তু এই অসীম রিয়েলিটির একদম শুরুতে বসে আছেন, জিরো রিয়েলিটি স্টেশনে। এখানে রিয়েলিটির মান জিরো।”
আমি স্বপ্নের ভেতরও ঘামতে লাগলাম। বললাম, “এটাই যদি সত্য হয়ে থাকে, তাহলে ঘুম ভেঙে ওঠার পর আমি কি করে বেঁচে থাকব এই সত্য নিয়ে?”
“সেটা কোন সমস্যা নয়। বেশিরভাগ স্বপ্নই মানুষ ঘুম থেকে ওঠার পর ভুলে যায়। আর মনে থাকলেও খুব বেশিদিন মনে থাকে না। একটা সময় তুমি হয়তো ভাববে, আজকের স্বপ্নের পুরো ব্যাপারটাই তোমার উত্তপ্ত অবচেতন মনের কল্পনা মাত্র।”
আমি চুপ করে রইলাম, কিছু বললাম না। ঠিক তখনই হঠাৎ কেঁপে উঠল পুরো বাড়িটা। সাগরের একটি মস্ত ঢেউ এসে ধাক্কা দিয়েছে বাড়িটিকে। পানি ঢুকে পড়েছে হরহর করে। মানুষজন আতঙ্কে ছোটাছুটি করছে।
হকিং হেসে বলল-“তোমার ঘুম ভাঙার সময় হয়েছে। জিরো রিয়েলিটি থেকে ওয়ান রিয়েলিটিতে যাচ্ছ তুমি...তবে মনে রেখো, প্রতি রাতে তোমাকে আসতে হবে রিয়েলিটির এই জিরো পয়েন্টে।”
একটা দানবীয় ঢেউ এসে আছড়ে পড়ল আমার উপর।
(সমাপ্ত)
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৪২
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাসান মাহমুদ গর্ত থেকে বের হয়েছে

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১২


যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল হাসান মাহমুদের সাক্ষাৎকার প্রচার করেছে। আমি ভাবতেও পারি নাই উনি এতো তারাতারি গর্ত থেকে বের হয়ে আসবে। এই লোকের কথা শুনলে আমার গায়ের লোম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দারিদ্রতা দূরীকরণে যাকাতের তাৎপর্য কতটুকু?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১৮



দরিদ্র দূরীকরণে যাকাতের কোনো ভূমিকা নেই।
যাকাত দিয়ে দারিদ্রতা দূর করা যায় না। যাকাত বহু বছর আগের সিস্টেম। এই সিস্টেম আজকের আধুনিক যুগে কাজ করবে না। বিশ্ব অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখস্তান.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫

শেখস্তান.....

বহু বছর পর সম্প্রতি ঢাকা-পিরোজপু সড়ক পথে যাতায়াত করেছিলাম। গোপালগঞ্জ- টুংগীপাড়া এবং সংলগ্ন উপজেলা/ থানা- কোটালিপাড়া, কাশিয়ানী, মকসুদপুর অতিক্রম করার সময় সড়কের দুইপাশে শুধু শেখ পরিবারের নামে বিভিন্ন স্থাপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের বিয়ের খাওয়া

লিখেছেন প্রামানিক, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৮


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

১৯৬৮ সালের ঘটনা। বর আমার দূর সম্পর্কের ফুফাতো ভাই। নাম মোঃ মোফাত আলী। তার বিয়েটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। বাবা ছিলেন সেই বিয়ের মাতব্বর।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যে মৈত্রী হতে পারে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০০


২০০১ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত আওয়ামী লীগের ওপর যে নির্যাতন চালিয়েছে, গত ১৫ বছরে (২০০৯-২০২৪) আওয়ামী লীগ সুদে-আসলে সব উসুল করে নিয়েছে। গত ৫ আগস্ট পতন হয়েছে আওয়ামী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×