
একদিন শব্দছিঁড়ে ঘুমাব অশ্বের পৃষ্ঠায় ;
দূরতম বাতিঘরের সংকেতের মত বহুকাল -
মেঘে মেঘে করেছি ভ্রমণ ; জেনেছি -
মৃতদের চোখে কতটা স্মৃতি স্ফুলিঙ্গ ওড়ে ।
একদিন সব ফেলে চলে যাব ; হারিয়ে যাব দৃশ্যত -
এইসব রঙ মুখোশের অন্তরালে ,
তোমাদের মায়াবী সরাইখানায়
প্রকাশিত স্বপ্নের মত ছুটে আসবে
ছায়া-মুগ্ধ সিগ্যালের ঝাঁক । তবুও -
রাত্রিরহিত নিদ্রিত হয়ে ছিলাম ,
হয়ে ছিলাম এলোকেশী রোদের কার্নিশ
হয়ে ছিলাম উত্তর অরণ্যের জলশূন্য শুষ্ক পাতা -
আমি উড়ে যেতে চেয়েছিলাম -
তুমি মেঘ হয়ে এলে
আমি হলাম শতবর্ষী পুষ্প-দগ্ধ ছাই
তারপর আমি ক্রমশ দূরে সরে যাই …
দূরে সরে যাই - ম্যাপলের পত্ররেখায় ,
প্রলম্বিত চোখ তার ধরে রাখে বিস্ময় –
আমিই সেই স্বর্গ-চ্যুত দেবদূত ,
হাহাকারের তৃতীয় পৃষ্ঠায় লিখে এসেছি নির্বাসনের গান -
ঈশ্বর - এক দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির ডাকনাম !
আমি তার খুলিতে বেধে দিলাম রক্ত রূমাল
তার চোখে একে দিলাম বিষণ্ণতা
তার মুঠোয় ছিটিয়ে দিলাম ঝর্নাবন্দী জল !
আমাদের নির্ঘুম নদী থাক স্মৃতিতে অতল ...
***
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১৯