
আমি যে কেনো কাঁদি , জন্মাবধি ! বৃষ্টি-দগ্ধ হয়ে ডুবে থাকি কারো তন্দ্রাহত দৃষ্টির গভীরে । কুয়াশার ওপার থেকে ভেসে আসে শতাব্দী-প্রাচীন মৃতদের ডাক ; অনুজ্জ্বল আলোক বর্ণালী , অথচ তোমার উঠোন-জুড়ে প্রগাঢ় অন্ধকার এবং অজস্র মায়াবী ঘোড়া যুগপৎ ঘুমিয়ে থাকে । ঘোড়ার রূপালী চোখে দৃশ্যমান যে অশুভ পথ - আমি তো সে পথেই যেতে চেয়েছি এতটাকাল ধরে ।
মহাকাল নিদ্রিত হে হিমায়িত গাঙচিল ; উড়ে এসো রজনীগন্ধার ঝোপ ছেড়ে বিস্মৃত আঙুর বাগানে ! যে মেঘে রেখে এসেছি অনন্ত তৃষ্ণার প্রজাপতি , তার ডানাভাঙা রঙ , কারো চোখের কাজলদানী - সেই মেঘ ঘুরে ফিরে আসে এই কুয়াশার বনে । বৃক্ষশাখায় লিখে রেখে গোপন দুঃখগুলো , কেন যে হারিয়ে যাই নির্ঘুম গোধূলির ওপারে ?
সেই কবে আমাদের গ্রামের পুকুরে ফেলে এসেছি হৃৎস্পন্দন , চারটি রক্তজবা ! ঘরে ফিরে বুকে টেনে নিয়েছি ম্রিয়মাণ লেবু-পাতার ঘ্রাণ ! অতঃপর ঘুমের ভেতর করেছি একান্ত আত্মহত্যা , কেউ জানেনা !
বন্ধ কপাটের ওপাশে আছে এক অদৃশ্য সুরঙ্গ - আমাকে ডাকে কোন এক সন্ধ্যায় , নিঃশব্দ-নিঝুম অরণ্যে ...
আমার মৃত্যুর খবর জেনে গ্যাছে শহরের সমস্ত হরিণ ; তাই ঘরের উপর আজ অজস্র পাখিদের ভিড় ...
***
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:২৯