সমুদ্রসৈকতে দ্রষ্টাচিহ্নের মত পরে আছে
হাওয়া-নাবিকের ভুলক্রমে ফেলে যাওয়া দুটি চোখ ,
তারই দৃষ্টিপথ অনুসরণ করে
আমি কি কোনদিন খুঁজে পাব -
অত্যুজ্জ্বল রোদের সিম্ফনি ;
ব্যর্থ হৃদয়ের বিপরীতে ছুঁতে পারব -
একান্নটি নিষ্পাপ গোলাপ ?
নীলাভ জলে শায়িত শঙ্খ ; মেলে ধরো
তোমার সূর্য-বিজ্ঞান । সমস্ত রাতকে -
মরুভূমি ভেবে , দ্যাখো -
আদি জ্ঞান নিয়ে ছুটে আসছে কিছু মুক্তোশিকারী দল !
জলতরঙ্গ থেকে জন্ম নিচ্ছে সাতাশটি অলীক ঘোড়া
ফিরে এসে কি কেবলই খুঁজে পাব –
অনিকেত অন্ধকার ; দিব্য-সংকেত ?
বকুলের ঘ্রাণরেখা ধরে চলে যাব দৃশ্যান্তর ।
নিঝুম দ্বীপের হে বিষণ্ণ সিগ্যাল -
আত্মস্থ করে নাও উড়াল মানচিত্র !
প্রত্নডানায় ফেলে যাব বিস্মৃতির বালিয়াড়ি
একটি সমুদ্রবীক্ষনযন্ত্র
অজস্র চুলের ফিতা ,
হাওয়ার নাকফুল , দোদুল্যমান !
নীলতমা নদীর তীরে দাড়িয়ে
আমি কি আর কোনদিন গাইতে পারব
একটি রোদন-রূপসী মায়াবী সংগীত ?
অন্ধকারের অতলে প্রবেশ করে -
আঁকতে পারব আশ্চর্য ফুলের নকশা ?
***