
আমৃত্যু দেখে যাব- এক অন্ধ দোয়েল পাখি
কেঁদে যাবে উপগত দৃশ্যের অভ্যন্তরে ; তবু -
কেউ এসে যায়নি বলে অন্ধপাখির দুঃখ-গাঁথা !
অরব অপেক্ষায় শুনেছি
মাথার ভেতর কেবলই বৃষ্টির শব্দ ঝিরঝির ... ঝিরঝির !
একটি ছিন্নসুতোর ঘুড়ি
পলাতক মেঘেদের পিছু নিয়ে
পেরিয়ে যায় মহুয়া-বন , সেই মেঘ ছুঁতেই -
আমাকে টেনে নিয়েছিলো এক শাদা গহ্বর !
বহুকাল ভেসে এসেছিলো
শব্দ-বুনট ঝর্নাজলের গান অথবা
চোখের ভাঁজে ঝরে পরেছিল সান্ধ্য হাওয়ার সারি ...
সে এক তীব্র স্মৃতি-নাশী ঘোর ,
ওসমান্থাসের ঘ্রাণ বুকে নিয়ে -
অন্ধকারে ঘুমিয়ে ছিলাম সহস্র বছর ।
দেখেছি গভীর সুদূর –
সাতটি সুরঙ্গ চলে গ্যাছে হলুদ অরণ্যের দেশে ,
একটি সুরঙ্গ আমার ; নেমে গ্যাছে ম্রিয়মাণ গুল্মের মত ,
নতমুখে যতদূর চোখ যায় –
এলোমেলো বালিয়াড়ি-জুড়ে অনিঃশেষ দৃষ্টিশকট ।
ফিরে এসে আবার ঘুমিয়ে যাই !
আমার চারপাশে অজস্র পাখি কেবলই -
ডেকে যায়... ডেকে যায়...
ভাবি এত পাখি কোথা থেকো এলো
অথবা ঘর কেন ভরে গ্যালো আলোয় ?
হলুদ পালকেরা নৈবদ্য সাজায় ; জানি -
আরেকটা জীবন যাবে পাখিদের সাথে চলে
মৃত ফুল শীতল রাত ভেসে যাবে বৃষ্টির জলে ......
**
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:১৭