দুই রকম ঘটনা এবং সে বিষয়ক আমাদের ভাবনা...
রকম ১
রহিম নিরিহ টাইপের ছেলে। কোন কিছুতে বেশি মাতুব্বরী করে না। মোটামুটি সাবধান (কারণ সাবধানতা বিষয় সম্পর্কেও তার অতটা ধারনা নেই, তাই মোটামুটি)। একদিন পানি লেগে বাড়ীর কারেন্টের বোর্ডটা ভিজে যায়। রহিম জানে কারেণ্ট ঘুবই খারাপ জিনিস (একবার ধরলেই জীবন শেষ)। কিন্তু ভেজা বোর্ডেও যে শক্তিশালী শক করতে পারে, তা সে জানতো না। কাজেই আজকে সে কারেন্ট শক খেয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি । অবশ্য কারেন্টের শকের চাইতে তার ভয়ের শকটাই গুরুতর আহতের জন্য বেশি দায়ি।
এ নিউজ জানার পর আমজনতার প্রতিক্রিয়া -
আহা আহা আহা বেচারা কারেন্টকে কত ভয় পেত। কত সাবধানে থাকত.... তাও কারেন্টে শক খেল............... আহা... আহা... আহা... আহা... আহা.... আপটু ইনফিনিটি।
রকম ২
করিমের সব কিছুতেই একটু বেশি বেশি আগ্রহ। যে কোন বিষয়ে মোটামুটি খুটিনাটি জেনে যতদুর সম্ভব সাবধানতা অবলম্বন করে মাতুব্বরী করা তার একটা স্বভাব। কারেন্টের কাজের ব্যাপারেও সে পেশাদারী না। তার পরও টুকটাক সমস্যার সমাধান আগ বারিয়ে নিজেই করে। একদিন অন্ধকারে লাইটের সুইচ দিতে গিয়ে ভেজা বোর্ডে হাত লেগে ভয়ঙ্কর রকমের শক খেয়ে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে গেল।
এ নিউজ জানার পর আমজনতার প্রতিক্রিয়া -
বেটা বেশি বোঝে না ??? শক খাইছে, ঠিক হইছে ।
মন্তব্য -
করিমের বিদুৎ সম্পর্কে জ্ঞান থাকায়, পেশাদার না হয়েও নিজে মাতুব্বরি করে বলে ম্যাংগো পিপলের সহানুভুতি হারাল।
শিক্ষা -
"যে দেশে জ্ঞানের কদর নেই,সে দেশে গুণী জন্মাতে পারেনা।"
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০১১ ভোর ৫:০৩