আগে ঈদের নাটকগুলো হাসির হতো বেশির ভাগ। এখনকার গুলো কেমন হয় আমার বিশেষ ধারনা নেই, তবে আন্দাজ করছি যে আগের মতোই বেশির ভাগ হাসির নাটক হয়। গত কয়েক বছরে নাটক দেখা হতো সব সিডিতে। কোন না কোন ভাবে হাতে এসে পড়ত। তার মাঝে অনেক কিছু দেখেই আমি মহা ত্যাক্ত হতাম। নেটে যদিও অনেক কিছু গুতাই কিন্তু নাটক গুতায় দেখার ধৈর্য কোন কালেই হয় নাই কেন জানি

!
বল্টু দেশে গিয়েছিল। ফিরে এসে গালগল্প করছে আর আমি

হয়ে শুনছি। আজকে আবার নাটক দেখার ভাব হয়েছে আপার, পুরাতন নাটক দেখছে...আমাকেও দেখানোর আগ্রহ দেখাচ্ছে! গুতাগুতি করতে
মধুরেন সমাপয়েৎ নামে এক নাটকে চোখ আঁটকে গেল। মূলত হাসির নাটক...এবং আমার মনে হয় খুব ভালো নির্দেশনা দিয়েছেন নির্দেশক, আশফাক নিপুন

। আগে এসব বিষয়ে বেশি লক্ষ্য করতাম না কিন্তু ইদানীং কিছু জিনিস খুটিয়ে দেখি। তাহসান, মিথিলা আর বাকি দু'টো মেয়ে বেশ ভালো অভিনয় করেছে যদিও অন্য একটা ছেলে বেশি সাবলীল হতে পারেনি। প্রেডিক্টেবল এবং একটা পর্যায়ের পর থেকে কিছু মনটনাসও বলা যেতে পারে। তবে কিছু কাজ করা হয়েছে যাতে মজা পেয়েছি। টেকনিকাল টার্মস না জানা থাকায় বেশি বলতেও পারছি না

!
চামে নাটক ক্রিটিক হওয়ার চেস্টা চালালাম। এই প্রফেশনের মানুষেরা নাকি ঘরে বসে সিনেমা দেখেই পেট চালায়! আহা... ড্রীম জব মানে কি আজকাল বুঝতে পারছি।
একটা মুর্গীর পালক পেলাম। যেই জিনিস অনেকের বাসাতেই প্রায় পুরোটা চেঁছে মাথা্য কিছুটা রেখে কান চুলকানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। বাসায় একটা আস্ত জিনিস। ভাবছি গাপ করে দেব কিনা

! কান দুইটা খুব চুলকাচ্ছে কয়েকদিন যাবৎ

!
আজকে নিরুপায় হয়ে রান্না করলাম। সিদ্দিকা কবিরের বই দেখে চিংড়ি পোলাউ। ১০৫ নং পেজে পাবেন... নেভি ব্লু আর পীচ রঙের যে বইটা ওটাতে আছে। যথেষ্ট কষ্ট করে ঐ জিনিস বানালাম। তারপর বেগুনের এক তরকারিও বানালাম। এটা করতেও কষ্ট হলো

! এক বান্ধবী এসেছে বাসায়, বল্টু আর আমার দু'জনেরই বন্ধু। রান্না হলে খাওয়ালাম দু'জনকে...লাটসাহেব দুইটা রুমে বসেছিলো, আমি খাবার এনে দিলাম আবার। খাওয়া দাওয়া শেষে রুমেই থাকল...আমিই কাজের লোক হয়ে তাদের জন্য পানি আনলাম। তার একটু পরেই একজন আমাকে যা বললো তা হলো এই যে, আমি নাকি উল্টা পাল্টা রেঁধেছি তাই অসময়ে ঘুম পাচ্ছে ওর। এই বলেই কম্বল টেনে ফ্ল্যাট

! এখনো পাশে শুয়ে নসিকাগর্জনে ব্যস্ত! আরেকজন বলে খাওয়ার পর থেকেই তার নাকি খারাপ লাগছে

!!! এইটা বলে কিছুক্ষন মোচড়ামোচড়ি করল! আমি খুবই বিরক্ত। ঠিক করেছি আর কখনো মানুষজনের রান্না বান্না করবো না। নিজের রান্না নিজেই খাবো। আমার কাছে আমার রান্না ভালোই লাগে

।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৬:৪৯