কবিতা-১/ মানুষের বুকে এতো দীর্ঘশ্বাস
কবিতা-২/ পক্ষপাত
কবিতা-৩/ যে যে কারনে আমি কষ্ট পাই
কবিতা-৪/ দ্বিধা
কবিতা-৫/ স্মৃতি
কবিতা-৬/ কারো সাথে কারো দেখা হয় না
কবিতা-৭/ আমার এ-ভয় অন্য রকম
কবিতা-৮/ ভাঙন ভাঙন বলে ডাকি
কবিতা-৯/ তোমরা কেমন আছ
কবিতা-১০/ মানুষের মধ্যে কিছু অভিমান থাকে
ঢাকা আমার খুব প্রিয়, কিন্ত আমি থাকি
আজিমপুর নামক একটি গ্রামে; খুবই ছোটোখাটো
একটি গ্রাম, বলা চলে শান্ত-স্নিগ্ধ ছোট্ট একটি পাড়া
এখানেই এই কবরের পাশে আমি আছি; বস্তুত এখান থেকে
ঢাকা বহুদুরে, আমি সেই ঢকা শহরের কিছুই জানি না
আমাকে সবাই জানে আমি ঢাকার মানুষ,
কিন্তু আমি বাস করি খুবই ছোট্ট নিরিবিলি গ্রামে
আমি এই ঢাকার খুব সামান্যই চিনি, সামান্যই জানি।
এখনো আমার কাছে ঢাকার দূরত্ব ঠিক আগের মতোই
রয়ে গেছে, এখনো ঢাকায় যেতে বাসে চেপে, ট্রেন ধরে,
ফেরি পার হতে হয় রোজ, এমনকি
তারপরও ঢাকা গিয়ে পৌঁছতে পারি না; ঢাকার মানুষ
তবু বিশটি বছর এই একখানি গ্রামেই রয়েছি,
খুব চুপচাপ, নিরিবিলি, একখানি অভিভূত গ্রাম।
ঢাকা আমার খুব প্রিয় শহর, কিন্তু আমি পছন্দ করি গ্রাম
আজিমপুরের এই খোলা মাঠ, এই সরু গলি,
ঢাকার মানুষ তবু আজিমপুরের এই ছোট্ট গ্রামেই থাকতে ভালোবাসি
পৃথিবী আমার খুব প্রিয়, কিন্তু আমি বাংলাদেশ ছেড়ে কোথাও যাবো না।
আজিমপুর নিয়ে আদিখ্যেতা।
খুব বেশি সময় ছিলাম না।
যতোদিন ছিলাম, বাধা একটা গন্ডির ভিতরেই ঘুর-পাক খেতাম কিন্তু তারপরও আমার জীবনের সবচাইতে দারুন সময়টা ওখানে থাকতে কেটেছে বলে মনে হয়। প্রথম যেদিন কবিতাটা পড়ি, কবি মহাদেব সাহার সাথে নিজের কতোটা মিল যে পেয়েছিলাম! এর আগে কখনো তার সাথে দেখা করার প্রবল ইচ্ছা জাগেনি। কিন্তু এ কবিতাটা পড়ার পর থেকে সেই ইচ্ছেটা আছে। যদিও মনে হয় শেষ পর্যন্ত দেখা হবে না।
পার্থিব পড়ে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের সাথে দেখা করারও খুব ইচ্ছা ছিলো। তাও হয়নি। হবে না কখনো মনে হয়।
ঢাকা, আমার শহর। ঠিক কি এতোটা টানতো আমি আজও জানিনা। থাকলেই বা কি করতাম? কি করতে পারতাম? একটা শহর আর কি- আসলতো তার বাসিন্দারা! ভালো সময় কেটেছে তাইতো শহরটাকে ভালোবাসি। অনেক প্রশ্ন দন্দ তৈরি করে নিজের মাঝে। কোন কিছুর প্রতি ভালোবাসাটুকুকেও প্রশ্ন করি তখন তার স্বচ্ছতা নিয়ে! আসলে আমি এখনো অনেক স্বার্থপর। হয়তো আর সব সাধারন মানুষের মতোই। তবে অন্য কাউকে প্রশ্ন করবো ন। ভালো হোক মন্দ হোক, সবার আগে নিজে। খুব মহামানব হওয়ার ইচ্ছা ছিলো- নারীজন্ম বিধায় শব্দটা মানবীতে রূপান্তরিত হবে। তবে ও পর্যায় গেলে এসব আর কোন মানে রাখে না। কিন্তু, যাওয়া হচ্ছে না। তাই দোটানায়, দ্বন্দে, স্বেচ্ছাচারিতায়, রোজদিন কাটিয়ে দেই এখন।
আঁতলামি করার ব্যর্থ চেষ্টা করলাম খানিকটা। বস্তুত আঁতলামি ভালো লাগে। আঁতেলদেরও ভালো লাগতো, কিন্তু নিজে বেশি ভাল আঁতেল না হতে পারার কারনে ইদানীং তাদের প্রতি বিরূপ মনোভাব পোষন করি।
ছবি কৃতজ্ঞতা