গুইন্না গুইন্না, চাইর পাঁচটা ঈংলিশ ডায়লগ। আঁশির দশকের এফডিসির বাংলা ছবির আধুনিকতার নমুনা প্রকাশ পাইত এই গুলা দিয়াই। দেখতে দেখতে, শুনতে শুনতে আমগোর পোলাপানডির মুখস্ত হয়া গেছিল।
ঠিক ঠিক কয়া দেওন যাইত কেডা কোন সময় কোন ঈংলিশ ডায়লগ ডেলিভারি দিব। সেরম কিছু ডায়লগ এন্ড সিনারীঃ
ইশ্টপ ইউর মাউত
নায়িকা চৌধুরি বাড়ীর কইন্যা। জর্জেটের শাড়ি, হাতা কাটা ব্লাউজ। নায়ক ফকিন্নি, ঢাকায় নতুন আইছে। প্রথম দ্যাখায় নায়িকার লগে ফাউল টক করলে নায়িকা দাবড়ানি দিত এই ডায়লগ দিয়া।
ইশ্টুপিড ... লনসেস্
বড়লোক ভিলেন বাপের একমাত্র বখাটে পোলা, নায়িকার লগে বিয়া ঠিক হয়া আছে পারিবারিক ভাবেই। পোলার শখ হইছে, নায়িকার লগে একটু ইয়া করব।
চৌধুরি বাড়ীর কইন্না নায়িকারে নিয়া গেছে শবেধন নীলমনি বোটানিকেল গার্ডেনের খেজুর বাগানে। যেই একটু ঘনিষ্ট হইতে গেছে নায়িকা দিল ঝারি ... ... ইশ্টুপিড ... লনসেস্ ... লোফার (এই লোফার জিনিষ্টা কি আইজতরী বুঝিনাই)
আই সে গেট আউট
নায়িকার বাপ, মানে চৌধুরি সাহেব। পাইপ খাইতে খাইতে ড্রয়িং রুমের বাঘের চামড়ার উপর দাড়ায়া ফকিন্নির পুত নায়ক'রে বাড়ি থেকে বাইর কইরা দিত।
অডার ... অডার ... অডার
বাংলা ছবির কমন সিনারী ... কাঠের তক্তায় পেরেক মাইরা আদালত বইছে, নায়ক কাঠগড়ায়। নায়িকার আচানক সাক্ষীতে কেসের মোড় ঘুইরা গেছে। উকিলরা হৈ চৈ লাগায় দিল। এই সময় জজ সাহেব কাঠের হাতুরি টাশ টাশ কইরা বাইড়ায়া কইত; ... অডার ... অডার ... অডার ...
হরিবল
নায়িকার মা। চৌধুরি সাহেবের ওয়াইফ। টের পাইছে নায়িকা দুইটেকার নায়কের লগে খিল্লি খাইতেছে। এরউপ্রে নায়কের বাপ গ্রাম থে আইছে লুঙ্গি পইরা, পালং শাকের আটি আর চাল কুমড়া নিয়া বিয়ার সমন্ধ করতে। নায়িকার মায় পাশের বাড়ির বড়োলোকের ভাবীর দিকে চায়া কইতো ... ... "ঊফফফ হরিবল!"
পাপ্পা, ড্যাড্ডি, মাম্মি, ডারলিং
"বহুত বড়লোক এন্ড শিক্ষিত ফ্যামিলি" এইটা সিনেমার দর্শকগো বুঝাইতে ঐ বাড়ির মানুষজন একে অন্যরে এইসব ঈংলিশ ডাকে ডাকা লাগতো। আফসোস আমাগো এফডিসির ব্যাক্কলগুলায় এহনতরী এই সিস্টেমের বিকল্প কোন অপশন বাইর করতে পারেনাই।
মেয়াই কামিং পিলিজ
বরাবরের মত নায়ক ফাস্ট কেলাস ফাস্ট হইছে। এরবাদে চাকড়ির ইন্টারভিউ দিতে গেছে নায়িকার বাপের অফিসে। দরজা অর্ধেক খুইলা জিগাইতো, "মেআই কামইন পিলিজ"। এইটা কইলে আমরা বুঝতাম নায়ক আসলেই ফাস্ট কেলাস ফাস্ট হইছে।
আন্ডাস্টেন্ড
নায়িকার কাজিন টেলি সামাদ ( ) লান্ডান থে নতুন ঢাকায় আইছে। প্রতি চাইরখান শব্দের একটা থাকতো "আন্ডাস্টেন্ড"।
ধরা হয় এই টেলি সামাদই বাংলিশ ভাষার আদি জনক। যথেষ্ঠ গবেষনার অভাবে স্বীকৃতি মিলেনাই।
... ... ...
শ্যাডাপ
জোগানদার ... ... হাসান মাহবুব
মতান্তরে "ইউ শাটাপ"। নায়িকার মায় হুদাই নায়কের গরীব বাপরে ধমকাইতো।
আই লাবিউ জান
জোগানদার ... ... পাথুরে
শিক্ষিত সুশীল নায়ক নায়িকারে বোটানিকেল গার্ডেন নিয়া প্রপোজ করতো।
হেই ইয়াং ম্যান
জোগানদার ... ... আরফার
নায়িকার বাবা...তার পছন্দের পুলা রে, যার সাথে মাইয়ার বিয়া দেয়ার পায়তারা কর্তাছেন..।
কাম আন ডার্লিং
জোগানদার ... ... আরফার
ভিলেন.... তার সঙ্গিনীরে...
ওয়েল ডান, ওয়েল ডান
জোগানদার ... ... হাম্বা
ভিলেন ও তার খারাপ কাজ করা ভাল মানুষ নায়ক সাগরেদকে দিত।
উ রাবিশ
জোগানদার ... ... রাজসোহান
নায়িকার মায় নাক শিটকায়া কইত, বিশেষ কইরা খ্যাত নায়করে অপমান করতে চাইলে
ওহ্ ডেডী.. ইউ আর গ্রেট, আই লাভ ইউ
জোগানদার ... ... ইনক্রেডিবল
নায়িকা নিজের পছন্দের ছেলেকে বাবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবার পর বাবা পছন্দ করলে ...
আন্ডাস্ট্যান্ড- ইউ বেটার আন্ডাস্ট্যান্ড
জোগানদার ... ... তায়েফ আহমাদ
প্রয়াত রাজিবের একখান ডায়ালগ ...
ইউ আর আন্ডার এরেস্ট
জোগানদার ... ... দুরন্ত স্বপ্নচারী
প্রতি বাংলা ছবির কমন শেষ দৃশ্য। নায়ক মাইরা ভিলেনরে হোতায় ফালানের পর ব্রিটিশ আমলের পাজেরো জিপটা নিয়া পুলিশ আইসা নায়করে বলবে "আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না" ... এরপর রক্তাক্ত ভিলেনরে ঈংলিশে বলবে "ইউ আর আন্ডার এরেস্ট"।
মাইন্ডিট
জোগানদার ... ... আলিম আল রাজি
২৪ ঘন্টার মধ্যে আপনার মেয়েকে আমার ছেলের পেছন থেকে সরিয়ে না নিলে আপনাকে আমি দেখে নেবো। মাইন্ডিট মিস্টার চৌধুরী।
জোগানদার ভাইয়েরা বহুত কষ্ট করছেন। থ্যাঙ্কু ...
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:৪৫