খালাম্মায় চীজই এক্কখান। হাজার হাজার পুরুষ যেই কামডা পারেনাই, খালাম্মায় সেই কামডাই করছে। খালি কি করছে, এক্কেরে সীলগালা দিয়া ছাড়ছে যে, এখনও আমরা মাঝে মাঝে নিজের পাছা হাতরায়া তারে স্মরণ করি। আর আমগো মগবাজারের ওস্তাদরাতো তসলীমার ত” শুনলেই খাড়ার উপরে পায়জামার উপর দিয়াই বুড়া আঙ্গুল ইয়ার মধ্যে হান্দায়া দেয়, পাছে খালাম্মার ভুতে আইসা ইয়া মাইরা দেয়।
আধুনিক মডারেট মুসলিমগো সহ্য শক্তি একটু আপগ্রেটেড। তা সত্তেও নির্বাক জ্বলন বইলা একটা ব্যাপার আছে। কিছু কওন যায় না, মাগার ভিত্রে ভিত্রে জ্বলে ঠিকই। বাইরে সুশীল চেহারা।
জ্বলে আবালগুলার। ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চাগুলার। খালাম্মার লেখা কুনদিন পড়ে নাই, কুনদিন কুরান তরজমা পর্যন্ত করেনাই, হাদিস-কালামের ঠিকঠিকানা নাই, খালি পাড়ার মসজিদের আতরসর্বস্ব ঈমাম, সেলুনের দোকানের ক্যাসেটপ্লেয়ারে দেলু সাইদীর বয়াতী-ওয়াজ শুনছেঃ 'তসলীমায় নাস্তিক, ধর্মরে কুকথা কইছে'- ব্যাস্ গোয়া জ্বলন শুরু হয়া গেল। আফতার অল, ঈমানের প্রশ্নে, রাজাকার-অরাজাকার সবই একাট্টা।
হিসাব কইরা দেখন যায়, ইনটোটাল কোটি কোটি মানুষের, স্পেশালি পুরুষের ধর্মানুভুতির কোমল কুমারিত্ব, খালাম্মায় এক দানেই ধর্ষণ কইরা ফানাফানা কইরা দিছে। কি তার গায়েবি পুরুষ, কি তার গায়েবি পৌরুষ! এলা চিন্তা কইরা বেক্কল হই।
গত একযুগ ধইরাও সেই ব্যাথা যায় না। মাঝে মাঝেই চিরিক দিয়া উঠে। খালাম্মার নাম শুনলেই মগবাজার, বায়তুল মুকাররমথে পাছা হাতাইতে হাতাইতে আতরগান্ধা মিছিল বাইর করে,খিলাফতি ফটকারা স্টিলের জাঙ্গিয়ার অর্ডার দেয় আর অরাজনৈতিক তিন নম্বর বাচ্চাগুলান দাঁতমুখ খিঁচায়া মৃগীরোগীর মতন নাম-বেনামের প্রশংসাস্তবক জ্বপতে থাকে।
সুশীল মডারেট মুসলিমরা অবশ্য চুপ থাকে। আধুনিকতার এই এক দোষ, সু-টাই লাগায়া ক্ষ্যাতে নামন যায় না।
ধর্ম-পালনে যতনা ধর্ম-অনুভুতির চর্চা হয়, তারচে ঢের বেশি ধর্ম-বিনোদন আহে বিধর্মী-নির্যাতনে, নাস্তিকবধে,আর কল্লাকাটা ফতোয়ায়।
তসলিমা খালারে ছিড়া ফালানের গায়েবি বিধানও আইছিল। স্পট পিক করতে ভুল করছে বিধান-প্রাপ্ত মাদ্রাসার কয়েকখান লুঙ্গিপড়া গেলমান। একুশের বইমেলা বইলা সে যাত্রায় তার শাড়ির উপর দিয়া ঈমানের ঝড় গেছে।
এমনই এক ফেব্রুয়ারীতে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:২৬