কিঞ্চিত অশ্লীলতার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী !
আজ চট্টগ্রাম, বরিশাল, কুমিল্লা, বগুড়া ও যশোর জেলার নামের ইংরেজি বানানে পরিবর্তন সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) বৈঠকে পাশ হয়েছে।
সাধুবাদ জানাই এই পরিবর্তনের আবহকে। এ পরিবর্তন হয়তো দরকার ছিল।
কিন্তু এর চাইতে বেশী এবং জরুরী ভাবে পরিবর্তন করা দরকার বাংলাদেশের কিছু জায়গা ও স্থানের নাম।যে নামগুলো আমাদের ধর্ম, সমাজ ও সাংস্কৃতির সাথে কোন ভাবে মানানসই না। এইসব নাম সমূহ এতই নোংরা যে, আমাদের মুখে উচ্চারণ করতে রুচিতে বাধে। তারপরও বছরের পর বছর এই নাম সমূহ পরিবর্তনের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
যেমন…
‘বোদা’ রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
‘বড়বাল’ রংপুরের মিঠাপুকের একটি ইউনিয়ন।
‘ধনকামড়া’ দিনাজপুরের ভোদামারার একটি গ্রাম।
"খারাগুদা" চুয়াডাংগা'র একটি গ্রাম!
‘সোনাখাড়া’ সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের একটি ইউনিয়ন।
এছাড়াও আছে সোনাকাটা যা হল বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার একটি ইউনিয়ন।
হিজলা বরিশাল জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
ধনবাড়ী টাঙ্গাইলে অবস্থিত।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ কানকির হাট যা খানকির হাট নামে পরিচিত।
গোয়াকাটা চক আড়িয়াল বিলের একটা অংশের নাম যা ঢাকা জেলার দোহার উপজেলায় অবস্থিত।
শাওয়া পাড়া সিলেট।
গোয়াতলা ময়মনসিংহে অবস্থিত।
লেংটার বাজার, মতলব, চাঁদপুর।
সোনাহাট বন্দর/ইউনিয়ন, কুড়িগ্রাম!
আমার থানার একটি গ্রামের নাম বুধাইরকান্দী ( অনেকেই বুধাই কান্দী ডাকে) বি-বাড়ীয়া!
এছাড়া সোনাপোতা ও চুমাচুমি নামে দুইটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। যা যথাক্রমে খুলনা ও রাংগামাটি
অবস্থিত।
বিদ্যালয় নাম যদি এমন হয় তাহলে তা থেকে শিশুরা কি শিখবে তা সহজে অনুমান করা যায়।
চট্টগ্রাম, বরিশাল, কুমিল্লা, বগুড়া ও যশোর জেলার নামের ইংরেজি বানানে পরিবর্তনের চাইতে এই সব নোংরা নাম পরিবর্তন করা জরুরী।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৩৬