ছবিটি পত্রিকা হতেসংগৃহীত।
আমার সোনার বাংলারয় ৭ই জানুয়ারীর নির্বাচন নামক শতবছরের সর্বশ্রেষ্ঠ নাটিকার সফল সমাপ্তি হয়েছে।জাতী একটি অদ্ভুত শপথ অনুষ্ঠানও উপভোগ করেছি ।গত ২২শে জানুয়ারী দৈনিক প্রথম আলোতে ভারতীয় কূটনীতিক ও পররাষ্ট্রনীতি-বিশেষজ্ঞ পঙ্কজ সরণের একটি লেখা প্রকাশিত হয়। লেখাটার শিরোনাম ছিল ‘বাংলাদেশের নির্বাচন ও পরবর্তী পরিস্থিতি’। সেখানে তিনি লিখেন - নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা বিএনপির রাজনৈতিক অদূরদর্শীতা। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা মানে সরকারকে চ্যালেঞ্জ করা। ৭ জানুয়ারির নির্বাচন ত্রুটিমুক্ত ছিল না। বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ নিলে, মানুষ নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নেওয়ার সুযোগ পেত। আর সেটা তাদের অধিকার। বিএনপির নির্বাচন বর্জনটা ছিল দুর্ভাগ্যজনক এবং গণতান্ত্রিক রীতির যে চেতনা, তার পরিপন্থী। জনাব পঙ্কজ সরণ সাহেবকে বলতে চাই, বাংলাদেশে আমরা ভোট দিই বা না দিই, শাসক আগে থেকে ঠিক করা থাকে এবং শাসকেরা ঠিক করে দেন, বিরোধী কারা হবেন। এখানে বিএনপির অংশগ্রহণের কোন দরকারই নেই।
পৃথিবী জুড়ে একাবিংশ শতাব্দীর একমাত্র সূষ্ট নির্বাচন সম্ভবত ইরানে। ২য় স্থানে রাখা যায় মিসরকে। মিসরে একমাত্র অবাধ ও সুষ্ঠু যে নির্বাচন হয়েছিল, তাতে মুসলিম ব্রাদারহুড জয় পেয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী আমরা দেখেছি পশ্চিমারা সেখানে গণতন্ত্রকে দমন করেছে।তখন থেকেই মিসর সামরিক একনায়কতন্ত্রের দিকে ফিরে গেছে, যারা পশ্চিমাদের প্রতি বন্ধুত্বসুলভ।বর্তমানে সঠিক গণতন্ত্রের চর্চ পৃথিবীর কোন দেশে হচ্ছে আলাদা করে বলা সহজ নয়। যদিও ভারতকে গণতান্ত্রিক দেশ বলা হয়, মহাত্মা গান্ধী ও জওহরলাল নেহরু সাহেবরা ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতার যে বীজ বুপন করে দিয়ে গিয়েছিলেন, কয়েক দিন আগে ভারতের বাবরি মদজিদ ভেঙে রাম মন্দির স্থাপনের মাধ্যমে সে বীজ উপড়ে ফেলা হয়েছে। হয়তো ভারত প্রেমিকগণ বলে থাকবে ভারতের ভোট পদ্ধতি সুষ্ঠু ও সাধারণের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ হয় তাদের উদ্দেশ্য একটি প্রশ্ন ছুড়ে দিতে চাই - মোদিজীর বিজিপি হিন্দুত্বের জিগির তুলে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষের মগজ ধোলায় করে এই বলে যে, তাহারা ছাড়া অন্যদের ভোট দেয়া ধর্মীয় বিধানের পরিপন্থী! তখন কোথায় যায় তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতা ও সুষ্ট গণতন্ত্রের চর্চা!
শীতের মৌসুমে আমরা ২ টাকায় ফুলকপি, ৫ টাকায় টমেটো কিনেছি এখন বাজারে আগুন।২০২২-২৩ অর্থবছরে উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোতে রপ্তানি চাহিদা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।টাকার অবমূল্যায়ন ও অভ্যন্তরীণ বাজারে জ্বালানির ঊর্ধ্বমুখী দামের কারণে উত্পাদন এবং পরিবহন ব্যয় আঁকাশ ছুয়া! এই অবস্থায় একটা সুষ্ট সরকার কাঠামো যখন বাধ্যতামূলক তখন, বাংলাদেশে সাধারণ মানুষ ভোট না দেয়ার কারণে মৃত লাশগুলো ভোট দিয়েছে। কয়েকটি রসিক সংস্থার প্রতিনিধি কবরস্থানে গিয়ে সবিনয়ে কবরবাসীদের আহ্বান জানিয়েছেন তারা যেন সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং নিজ নিজ পরিবারের সদস্যকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে ভোটকেন্দ্রে না যান। এমন হাস্যকর নির্বাচন পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল!
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:০১