নির্বাচন গ্রহনযোগ্য করিতে প্রতিটি আসনে আওয়ামীলীগ হতে একজন করে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া আওয়ামলীগের রাজনৈতিক পরিপক্ষতা নাকি নির্বুদ্ধিতাএমন প্রশ্নের যথার্থ উত্তর দিতে পারবেন ব্লগার সোনাগাজী সাথে হাসান কালবৈশাখী। হাসান সাহেবের মতামত কি হবে উহা ব্লগ পাড়ার সকলে অবগত থাকিলেও ব্লগার সোনাগাজী ও হিরণ সাহেবের মন্তব্য হতে বরাবরের মতো সঠিক মতামত বাহির হয়ে আসতো।
শরিক দলদের আসন ভাগাভাগি কিরূপ হচ্ছে উহা স্পষ্ট না। তবে পত্রিকার তথ্যানুযায়ী ৬৬ টি আসন পাবে আওয়ামিলীগ শরীক দলের প্রার্থিগণ। রাতের ভোটে অটো নির্বাচিত হওয়া এমপি সাহেবগন বহুত পেরেশানির মধ্যে রাত্রি যাপন করছে।সরকার গদি বাঁচাতে মরিয়া।ফলে ৫০% ভোটার নিশ্চিত করতে স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড় করিয়ে দেওয়া ছাড়া কোন বিকল্পই নেই বিনা ভোটে একাধিকবার নির্বাচিত হয়ে একনায়কতন্ত্র কায়েমকরা আওয়ামী দলের। অপরদিকে বহু নির্বাচনি এলাকায় লীগে-লীগে চলবে লড়াই। আওয়ামী পন্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং আওয়ামী দল থেকে মনোনীত প্রার্থীর মধ্যে তীব্র লড়াই হবে। অপরদিকে বিনপি সমর্থিত জোট নৌকার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো মোমবাতি ভাইলোকদেরকেউ ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে কার্পণ্যবোধ করার কথা নহে। সোমবার গণভবনে বৈঠকে ১৪ দলের শরিকদের কেউ কেউ আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে নিজেদের দ্বিমতের কথা জানিয়েছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থীকে বসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না।
লীগ ভেবেছিল বিএনপির অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিবে, বিএনপির শরীকদলদের থেকেও গুটি কয়েক নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে। কিন্তু শেষমেশ অনুরূপ কিছুই না হওয়ার দরুন আশাহত রাতের ভোটে নির্বাচিতরা। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে, এবার ৭৪৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। এর বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের। যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়েছেন ৪২৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। এরপরও ৩২৪ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত বর্তমান সংসদ সদস্যদেরও অনেকে আছেন।
ফলস্বরূপ বলাবাহুল্য স্বতন্ত্র প্রার্থীগণ দিয়ে বিরোধী দল বানিয়ে ভোটকেন্দ্রে ৫০% ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করার কৌশল সফল হবে না।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৫