উওরার রাজউক কলেজের নামকরা একজন শিক্ষক রাশেদের দুঃসম্পর্কের আত্মীয়,তিনিই মুলত রাশেদকে টিউশনি খুজে পেতে সহায়তা করেন।এই লোকটাকে রাশেদ সবসময় খুবই শ্রদ্ধা করে,ঢাকা শহরে যদি কেউ তাকে সহয়তা করে থাকেন তবে ইনিই করেছেন। কথায় আছে আপনের চেয়ে পর ভাল।
দূটো টিউশনি থেকে ইনকাম সাত হাজার টাকা যা তার থাকা খাওয়া ও চাকুরীর আবেদনের জন্য ব্যাংক ড্রাফটের টাকা দিতে দিতে খুব বেশী টাকা অবশিষ্ট থাকে না । এই দেশে সরকারি এবং বেসরকারী উভয় চাকুরীদাতারাই বেকারের ব্যাংক ড্রাফটের টাকা খাওয়ার জন্য হা করে বসে থাকেন । বিসিএস, শিক্ষক নিবন্ধন সব পরিক্ষাতেই এক থেকে দেড় হাজার টাকার ব্যাংক ড্রাফট দিতে হয়। এই টাকা একজন বেকার কোথায় পাবে সেটা ভাববার সময় কারো নেই।
রাশেদের দুটো টিউশনির মধ্যে একটি হচ্ছে ঢাকার একটি থানার ওসির ক্লাশ ফাইভের মেয়েকে পড়াতে হয় ।ওসি সাহেব অঢেল সম্পদের মালিক, উওরাতে নিজের ছয়তলা বাড়ি, গাড়ি, এছাড়া যাত্রাবাড়ীতেও একটা ফ্লাট আছে যাতে উনার ছেলে থাকেন। এত সম্পদ কিভাবে অর্জন করেছেন সেটা নিয়ে রাশেদের খুব একটা মাথা ব্যাথা নেই। ওসি সাহেবর ব্যবহার ভাল, রাশেদকে স্নেহ এবং সম্মান দূটোই করেন। তাছাড়া ওসি সাহেব খুবই নামাজী,নামাজ পড়তে পড়তে কপালের নিচে দাগ ফেলে দিয়েছেন। রাশেদের পড়ানোয় ওসি সাহেব মোটমুটি সন্তুষ্ট। প্রতিদিন সন্ধ্যায় চা নাস্তা দিয়ে আপ্যায়ন করেন, ওসি সাহেবের বাসার গাঢ় দুধের চা খুবই পছন্দ রাশেদের।তাছাড়া প্রায় প্রতি মাসেই ওসি সাহেবের বউ রাশেদকে দাওয়াত করে পোলাও গরু,খাশি, মুরগীর মাংস রান্না করে খাওয়ান।
এই পর্বের শিক্ষাঃ
বেকার জীবনে বড়লোক আত্মীয়ের বাসায় প্রতিদিন গালমন্দ খেয়ে থাকার চেয়ে নিজের অল্প রোজগারে মেসের ফ্লোরে ঘুমিয়েও অনেক শান্তিতে থাকা যায়।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৩