স্মৃতির মিনার
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে ঢাকায় শহীদ মিনার নির্মিত হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের ছাত্ররা ১২ নাম্বার ব্যারাকের মাঝামাঝি জায়গায় শহীদদের রক্তভেজা মাটিতে এই মিনার নির্মাণ করেছিলেন। সাড়ে দশ ফুট উঁচু মিনারটির নাম রাখা হয় ‘শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ¢’। নকশা করেন মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র বদরুল আলম এবং সাঈদ হায়দার। ১৯৫২ সালের ২৩ শে ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে দ্রুত নির্মাণের পর শহীদ শফিউর রহমানের পিতা মিনারটি উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে ২৬ ফেব্রুয়ারি ‘দৈনিক আজাদ’ পত্রিকার সম্পাদক আবুল কালাম শামসুদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে শহীদ মিনারটি উদ্বোধন করেন। কিন্তু ওইদিন বিকেলেই পুলিশ এসে মিনারটি ভেঙে দেয়।
১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের জয় লাভের পর প্রথম সরকারিভাবে ২১ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস ঘোষণা করা হয় এবং নতুন করে শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। স্থায়ী শহীদ মিনার গড়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা মেডিকেল হোস্টেলের সামনে ১৯৫৬ সালে ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে শহীদ বরকতের মা হাসিনা বেগম, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এবং তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী আবু হোসেন সরকার যৌথভাবে শহীদ মিনারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। শিল্পী হামিদুর রহমানের তত্ত্বাবধানে ১৯৫৭ সালের নভেম্বরে শহীদ মিনারের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সহিশল্পী বা সহকারী ছিলেন নভেরা আহমদ। কিন্তু ১৯৫৮ সালের মার্চ মাসে সামিরক আইন জারি ফলে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৬২ সালে গভর্নর আজম খানের নির্দেশে শহীদ মিনারের মূল নকশায় কিছু পরিবর্তন করা হয়। ১৯৬৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ বরকতের মা মিনারটি উদ্বোধন করেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনারা মিনারটি পুনরায় ভেঙ্গে দিয়ে সেখানে ‘মসজিদ’ কথাটি লিখে রাখে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পুনরায় শহীদ মিনার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। ১৯৭৬ সালে নতুন নকশা প্রণয়ন করা হলেও সেটি বাস্তবায়িত হয়নি। এরপর ১৯৮৩ সালে মূল নকশা কিছুটা সম্প্রসারিত করে শহীদ মিনারটিকে বর্তমান অবস্থায় নিয়ে আসা হয়।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
লিখেছেন
ভুয়া মফিজ, ২২ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১২:০৫

পূর্বকথাঃ আপনাদের অনেকেরই হয়তো মনে আছে সেই ২০২২ এর সেপ্টেম্বর মাসে একটা পোষ্ট করেছিলাম মরোক্কোর তান্জিয়ারে যাওয়া নিয়ে.........
বদ লোকের জন্য দোয়া করলে বদ-দোয়া হয়ে যায়!!! শিরোনামে। সেই ভ্রমনের আসল সচিত্র...
...বাকিটুকু পড়ুন
বিগত ১৫ বছর ধরে আমরা এই এক প্রশ্ন দিয়েই তাদের সকল অন্যায় অবিচারকে জাস্টিফাই করে আসছে। আমরা দেশের মানুষের মাঝে এই ন্যারেটিভ সৃষ্টি করেছি আমরা যেহেতু মুক্তিযুদ্ধের সময় নেতৃত্ব... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটা কথায় কতটা ক্ষোভ, হতাশা আর বাস্তবতার প্রতিফলন হতে পারে—এই একটুকু বাক্যই তার প্রমাণ। এটা নিছক কোনো ফেসবুক স্ট্যাটাস না, এটা আজ হাজারো সাধারণ নাগরিকের কণ্ঠস্বর, যারা প্রতিদিন বাঁচার সংগ্রামে...
...বাকিটুকু পড়ুন
যখন তোমার বান্দা অহঙ্কারী হয়, তুমি তো তা দেখ,
কী শাস্তি আমার পাওনা হিসাবের খাতায় লেখ;
আমি হারাই পথের দিশা,
জীবনে নেমে আসে সহসা অমানিশা।
কখনো দাও রোগ বালাই,
কষ্টে ভোগে প্রার্থনায় তোমারেই...
...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলাদেশের রাজনীতির বর্তমান অবস্থা দেখে একজন সাধারণ নাগরিক কি ভাবছেন? তাদের ভাবনার আদৌতে গুরুত্ব আছে কোনো ? দেশে ইন্টেরিম সরকার ক্ষমতায় থেকে টেনেটুনে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। দেশে নির্বাচন...
...বাকিটুকু পড়ুন