জাহাজের ক্যাপ্টেন তার জাহাজ চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন সোমালীয় উপকূলের কাছে দিয়ে। হঠাত তিনি দেখতে পেলেন দিগন্ত রেখা পেরিয়ে ধেয়ে আসছে এক জলদস্যুর জাহাজ। কাপ্তান জোর কন্ঠে বাদবাকি নাবিকদের বললেন , “সবাই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হও, আর কেউ একজন আমাকে আমার লাল জ্যাকেটটা দাও”।
একজন নাবিক ক্যাপ্টেনকে তার লাল জ্যাকেটটাএনে দিল আর ক্যাপ্টেন চটপট সেটা পরে নিলেন। জলদস্যুরা নিকটবর্তী হলে দুইপক্ষের মধ্যে ভয়াবহ যুদ্ধ হলো। ক্যাপ্টেনের দক্ষ্য নেতৃত্বের সামনে জলদস্যুরা চরম্ভাবে পরাজিত হলো।
কিছুক্ষণ পরে ক্যপ্টেন আবারো দেখলেন আরেকটা জলদস্যুর জাহাজ তেড়ে আসছে। আবার ক্যাপ্টেন যুদ্ধ প্রস্তুতির ঘোষণা দিলেন আর তাকে তার লাল জ্যাকেটটা দিতে বললেন। নাবিকদল, জিলদিস্যুদের এই জাহাজটাকেও চরমভাবে হারিয়ে দিল।
যুদ্ধ শেষ হলে এক নাবিক এসে কয়প্টেনকে জিজ্ঞাসা করলেন, “প্রতিবারই যখন জলদস্যুরা আমাদের লুটতে আসে, তখন আপনি আপনার লাল জ্যাকেটটা পরে তাদের সাথে লড়তে যান কেন?
ক্যাপ্টেন জবাবে বললেন, “শোন, এটা হচ্ছে পুরাই একটা মনস্তাত্বিক ব্যাপার। যদি আমি লাল জ্যাকেট পরে থাকি, তখন আমি যদি কোনভাবে আহত হই বাদবাকি নাবিকরা তৎক্ষণাৎ সেটা বুঝতে পারবে না। ফলে তাদের মনোসংযোগ কোনভাবেই বিচ্ছিন্ন হবেনা আর লড়াই করার তাড়না সর্বদা জিইয়ে থাকবে”।
নাবিকরা তাদের ক্যাপ্টেনের উন্নত মনস্তাত্বিক রণকৌশল বুঝতে পারলো আর ভীষণভাবে গর্বিত হলো এমন একজন সাহসী আর বিচক্ষণ লোকের অধীনে কাজ করতে পেরে।
এমন সময় সুদূর দিগন্তে দেখা গেল একটা নয়, দুইটা নয়, দশ দশটা জিলদস্যু বোঝাই জাহাজ। উত্তাল সমুদ্রের ঢেউ কেটে, মরার খুলির নিশান উড়িয়ে, দ্রুতলয়ে এগিয়ে আসছে। ক্যাপ্টেন সেদিকে তাকিয়ে কিছুক্ষণ চুপসে থাকলেন। তারপর মাইক হাতে ঘোষণা দিলেন, “সবাই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হও আর কেউ একজন আমাকে আমার হলুদ প্যান্টটা দাও”।
আগামীকাল যারা পান্তা-যুদ্ধে অংশ নিতে যাচ্ছেন তাদের প্রতি মাইক হাতে আমিও কিছুটা ক্যাপেটেনের মতো করেই বলতে চাই, “যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে যান আর হলুদ প্যান্টটা পড়তে ভুলবেন না যান কারণ আইসিডিডিআরবি আজ থেকে তাদের রাইস স্যালাইন বানানো বন্ধ করে দিয়েছে”।
আইসিডিডিআরবি’র রাইস স্যালাইন বন্ধের খবরে নববর্ষের পারম্ভে যাদের মন খারাপ হয়েছে তাদের একটা ভাল খবর দিয়ে রাখি যে SMC তাদের ওরস্যালাইন পর্যাপ্ত যোগান বাজারে রেখেছে, অতএব হা...তে দুঃখিত হাসতে থাকুন আর শুভ হোক সবার নতুন বছর।
শুভ নববর্ষ ১৪২১...