
যে কোনো যুদ্ধে সবাই মিলে সম্মুখ যুদ্ধ করেনা। কিছু মানুষ ফিল্ডে যুদ্ধ করে। কিছু মানুষ আহত যোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত যাকে বলে মেডিক্যাল সাপোর্ট। কিছু মানুষ অর্থ দিয়ে সাহাজ্য করে মিলিটারি ভাষায় যাকে বলে মনিটারি সাপোর্ট, কিছু মানুষ গোয়েন্দার মতো শুত্রুদের গতি বিধি লক্ষ্য রেখে দলে ইনফরমার এর ভূমিকা পালন । ১৯৭১ সনে এই পুরো কাজটাই পুরো বাঙালী জাতি মিলে করেছে।মুক্তিযোদ্ধারা ফিল্ডে যুদ্ধ করেছে, আমাদের বোনেরা ক্যম্প গুলোতে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা করে পুরো মেডিক্যাল সাপোর্ট এর কাজ করে গেছে, যাদের অর্থ আছে তারা অর্থ দিয়ে মনিটারি সাপোর্ট দিয়ে গেছে।নানান যায়গায় ছরিয়ে ছিটিয়ে থাকে জনগোষ্টী, যেমন কৃষক, শ্রমিক তারা কাজের ফাকে ফাকে পাকিস্তানি আর্মিদের গতিবিধি লক্ষ্য রেখে তা মুক্তিযোদ্ধাদের জানিয়ে দিয়ে ইনফরমার এর ভুমিকা পালন করেছে। হাতে গোনা কিছু রাজাকার, আল বদর ব্যাতিত পুরো দেশ একটি টিম হিসেবে কাজ করেছে..এখন যুদ্ধ নেই , দেশ স্বাধিন ৪১ বছর চলছে...দু:খের বিষয় আমরা এখোন টিম নেই......যার মতাদর্শে আলাদা এক এক টি গ্রুপ। তার সবচেয়ে সবচেয়ে প্রমান হচ্ছে স্বাধীনতার ৪১ বছর পরেও আমরা রাজাকার আলবদর পশুগুলোকে বিচার করতে পারলাম না।অনেকে ইনিয়ে বিনিয়ে বলার চেষ্টা করে বলে তো বঙ্গবন্ধু মাফ করে গেছেন! বঙ্গবন্ধু মাফ দিয়েছেন তো কি ! উনি পুরো বাংলাদেশের মালিক নাকি! কেউ যদি মনে করেন যুদ্ধাপরাধীদর বিচার এক মাত্র আওয়ামিলিগ এর দাবি তাহলে ভুল করবেন…..এটা হাতে গোনা কিছু সংখ্যাক পাকি সন্তান ব্যাতিত পুরো বাংলার প্রানের দাবী.......