১.
একটা স্ট্যাটাসে পড়লাম- "আইনের হাত বিশাল লম্বা হলেও আইনের পা কিন্তু ব্যাপক ছোট। তাই আইন কখনও সময়মতো অপরাধস্থলে পৌছাতে পারে না।"
আইনের শিক্ষার্থী হিসেবে বলতে পারি, কথায় সত্যতা আছে। আইন প্রয়োগকারী মানুষগুলো এই সমাজেরই মানুষ, যারা আইন বানায় তারাও এই সমাজের। ফলে কালেক্টিভ সীমাবদ্ধতাগুলো আইনের সীমাবদ্ধতা হিসেবেই দেখা যেতে পারে। সবকিছুতে কেবল কঠিন আইন করার ধুয়ো তুলে খুব একটা লাভ নেই, মানুষের পরিবর্তন খুব বেশি জরুরী।
(ডিসেম্বর ৩০)
২.
দিল্লির সেই কন্যাসাহসিকা মারা গেছেন, এই খবর আমরা জানি। কিন্তু খবর কি রেখেছি, প্রায় একই সময়ে এক পার্বত্য কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছিল! দিল্লি থেকে ঢাকা, সমতল থেকে পাহাড়—সবখানেই ধর্ষণের সংস্কৃতি। এর মধ্যে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী নারীদের বর্তমান অবস্থা সমতলের থেকেও বেশি বিপন্ন। (প্রথম আলোর সম্পাদকীয় থেকে)
এসব ক্ষেত্রে আমাদের এখানে নিরবতার সংস্কৃতি বড় দীর্ঘ! আমরা নিরব থাকতে শিখে গেছি, কিংবা হয়তো আমরা নিরবতাই পছন্দ করি! কিন্তু এর ফলে উৎসাহিত হচ্ছে নির্যাতক। সে বার্তা পেয়ে যাচ্ছে এ সমাজ তাকে অপরাধের জন্য প্রত্যাখান করে না। বরংচ চোখ তোলা হয় নির্যাতিতের দিকে। নিরবতা দীর্ঘায়িত হতেই থাকে। এই নিরবতা ভাঙবে কবে?
(ডিসেম্বর ৩০)
৩.
রেল ক্রসিংয়ের জ্যাম থেকে উদ্ধার পেতে বনানী ফ্লাইওভার করা হয়েছে। উদ্বোধনের পর আজ সেই ফ্লাইওভার দিয়ে আসার সুযোগ হলো। মনে আনন্দ নিয়ে নতুন ফ্লাইওভারে উঠলাম, কিন্তু উঠার পরই বুঝতে পারলাম গাড়ি থেমে আছে। এভাবে থেমে থেমে ওভারব্রিজ পার হতে ১০ মিনিট সময় পার হয়ে গেল। ফ্লাইওভারে তো জ্যাম আছেই, তা ছুয়েছে বনানী পর্যন্ত! জ্যাম থেকে উদ্ধারের জন্য যে ফ্লাইওভার করা হলো, তা চালু হওয়ার পর যদি জ্যাম আরও বেড়ে যায় তাহলে কোটি কোটি টাকা খরচের স্বার্থকতা কোথায়! তারপরেও আশাবাদী হই! নগরে একটার পর একটা ফ্লাইওভার হচ্ছে। একসময় কেবল ফ্লাইওভার দিয়েই চলেফেরা করবো।
(ডিসেম্বর ২৭)