দেশে এখন প্রচন্ড বিদ্যুৎ সঙ্কট চলছে। দিন নেই রাত নেই ২৪ ঘন্টাই বলতে গেলে ১ ঘন্টা পর পর ১ ঘণ্টা করে লোড শেডিং হচ্ছে। অর্থাৎ আমরা দিনে গড়ে ১২ থেকে ১৫ ঘন্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছি। সরকার যদিও গলাবাজি করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে অসামান্য সাফল্যের কথা বলেই চলেছে, বলেই চলেছে, কিন্তু আমরা তার কোন প্রমাণ পাচ্ছি না। অসহনীয় গরমে প্রাণ অতীষ্ঠ, বিশেষ করে গভীর রাতে ঘুমের ঘোরে যখন লোড শেডিং হয় আর গরমের আতিশয্যে কাঁচা ঘুমটা ভেঙে যায়, তখন নিজের মাথার চুল টেনে টেনে ছিঁড়তে ইচ্ছে করে। যাই হোক, সরকারের উপর ভরসা করে লাভ নেই, আসুন আমরা একটু একটু সচেতন হই আর বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের চেষ্টা করি যাতে লোড শেডিংয়ের যন্ত্রণা থেকে একটু হলেও পরিত্রাণ পেতে পারি। বাসা/অফিসে আমরা একটু কষ্ট করেঃ
১। আসুন আমরা সবসময় একটি বাতি কম জ্বালাই। টিউব লাইট ও ফিলামেন্ট বাল্ব এর পরিবর্তে এনার্জি সেভিং বাল্ব ব্যবহার করি।
২। যদি ঘরে প্রাকৃতিক বাতাস আসে (পরিমাণে কম হলেও) ফ্যানটা বন্ধ রাখি।
৩। সবসময় একটু সচেতন থাকি যেন অকারনে বাতি না জ্বলে বা ফ্যান না চলে অর্থাৎ ঘরে কেউ না থাকলে বাতি/ফ্যানের সুইচ অফ রাখি।
৪। আমরা যারা এ.সি-তে অভ্যস্ত, তারা কি পারিনা একটু গরম সহ্য করে এ.সি. টা বন্ধ করে ফ্যানের বাতাসে শরীর জুড়াতে?
৫। খাবারটা ওভেনে গরম না করে একটু কষ্ট করে চুলায় গরম করে নেই।
৬। ইদানিং ব্যাটারী চালিত রিক্সা/অটো সারা দেশে চলছে, আমার ধারণা এর পরিমাণ কয়েক লাখ হবে। ব্যাটারীচালিত এই যানগুলি পরিবেশ বান্ধব হলেও এর ব্যাটারী চার্জ করতে প্রচুর বিদ্যুৎ খরচ হয়। আসুন সম্ভব হলে এসব যান বর্জন করি।
৭। যদি সম্ভব হয়, আলোকসজ্জা না করলেই কি নয়?
ব্লগার বন্ধুগণ, আপনারা হয়তো আরো অনেক অনেক আইডিয়া দিতে পারবেন। আসুন সবাই মিলে একটু চেষ্টা করে দেখি। লোকে বলে চেষ্টার অসাধ্য কিছু নেই.................যার প্রকৃত উদাহরণ আমাদের মুসা ইব্রাহিম।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ৮:৫৯