somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পরীক্ষাভীতি ও করণীয়

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পরীক্ষার্থীদের সামনে এখন কঠিন সময়। শুরু হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা। পরীক্ষার্থীদের চোখে ঘুম নেই। পরীক্ষা শব্দটি শুনলেই ছাত্রছাত্রীদের বুক ধড়ফড় করে, মুখ শুকিয়ে যায়, মাথায় ভর করে একরাশ দুশ্চিন্তা। পরীক্ষার সঙ্গে এই অস্বস্তিকর আবেগীয় অবস্থার উপস্থিতিকে পরীক্ষাভীতি বলে। এই ভীতি সবার হয় না, তবে বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রীর হয়। একটা কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে এমন বোধ থেকে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। পরীক্ষাভীতি থেকে শারীরিক কিছু উপসর্গও প্রকাশ পায়, যা একজন শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত জীবনকে ব্যাহত করে।
পরীক্ষাভীতির লক্ষণ
পরীক্ষাভীতি এক ধরনের উৎকণ্ঠা বা উদ্বেগ। এ সময় অনেকেই খাওয়া-নাওয়া ভুলে যায়। ঘুমেরও অসুবিধা হয়। এ সময় সাধারণত যেসব লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দেয় তা হলো-অস্থিরতা, ক্লান্তি ও দুর্বলতা, অনিন্দ্রা, হাত-পা অতিরিক্ত ঘামা ও কাঁপা, বুক ধড়ফড় করা, মুখ ও গলা শুকিয়ে যাওয়া, মেজাজ খারাপ হওয়া, জানা জিনিস ভুলে যাওয়া। শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট, বমি বমি ভাব, ঘনঘন প্রস্রাব, ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা ইত্যাদি।
পরীক্ষাভীতি দূর করতে যা করতে হবে
পরীক্ষা বিষয়টিকে সহজে স্বাভাবিক হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। নিজের আকাঙক্ষা কমাতে হবে। মূলত আকাঙক্ষার কারণে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। আকাঙক্ষা কমলে চাপও কমবে, এতে পরীক্ষাভীতিও কমে যাবে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা মানসিক চাপমুক্ত পরীক্ষা দিয়েছেন, তাদের পরীক্ষার ফল ভালো হয়েছে। পরীক্ষাভীতি কাটানোর ভালো উপায় হলো আগে থেকেই প্রস্তুতি নেয়া। যদি বছরের শুরু থেকেই একটা নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী সঠিকভাবে পড়ালেখা করা যায়, তাহলে পরবর্তীকালে পরীক্ষাভীতি থাকে না। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কিংবা সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত পড়ালেখার প্রয়োজন নেই। পড়ালেখার জন্য দৈনিক ছয় থেকে আট ঘণ্টা সময়ই যথেষ্ট। এ সময়টুকু টানা পড়তে হবে এমন কথা নেই। সময়টাকে ভাগ করে নিতে হবে। সকালে এতটুকু এবং সন্ধ্যায় এতটুকু। এভাবে ভাগ করে পড়লে পড়া ভালো হবে, পরীক্ষার সময় তাড়াহুড়ার প্রয়োজন হবে না, ফলে পরীক্ষাভীতিও থাকবে না।
পরীক্ষার সময় খাওয়া-দাওয়া
পুষ্টিকর খাবার শরীরে শক্তি জোগায় ও অমনোযোগী হতে বাধা দেয়। তাই সব সময় পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। অনেক ছাত্রছাত্রীকে দেখা যায়, পরীক্ষার সময় খাওয়া-দাওয়া কমিয়ে দিয়ে সারাক্ষণ পড়ালেখায় ডুবে থাকে। এটা ঠিক নয়। গ্লুকোজ সহজেই মস্তিষ্কে পৌঁছে ব্রেইন সেলকে সতেজ রাখে। এ জন্য মিষ্টি বা শরবত পরীক্ষার সময় ভালো কাজ করে। এ সময় তাজা বা শুকনা ফল, ফলের রস, সুপ, লবণমুক্ত বাদাম খাওয়া যেতে পারে। এসব খাবার পড়ার ফাঁকে ফাঁকে খেতে হবে। ভাত, মাছ, গোশত বা ডিম নিয়মিত খেতে হবে প্রধান খাবার হিসেবে। ভাতের বদলে অন্যান্য সিরিয়াল ও রুটি বা স্ন্যাক্স খাওয়া যেতে পারে। চর্বি জাতীয় খাবার কম খেতে হবে। পানি পান করতে হবে বেশি করে। রাত জেগে কাজ করার সুবিধার্থে সফট ড্রিংকস বা কোমল পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে। পরীক্ষার সময় অনেকে চা বা কফি খেতে পছন্দ করে। কিন্তু চা বা কফিতে বিদ্যমান ক্যাফিন স্নায়ুকে উত্তেজিত করে তোলে এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। সুতরাং এসব পানীয় পরিহার করাই ভালো। এসবের পরিবর্তে দুধ-ঘোল/লেবু শরবত অনেক উপাদেয়, তবে অজীর্ণ দেখা দিলে লেবুর শরবত অথবা টক জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো। পরীক্ষার আগের রাতে শর্করা জাতীয় খাবার যেমন-ভাত, রুটি, আলু ইত্যাদি খেতে হবে। পরীক্ষার দিন সকালে উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার যেমন-ডিম, শিম, মাশরুম বা সিরিয়াল জাতীয় খাবার খেতে হবে।

আরও িকছু:
☼ English এ ওস্তাদ হওয়ায় ১৯ িট ঔষুধ!!!
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুনাজাত

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৫৫

ধরতে ধরতে হয়না ধরা,
ফসকে গেল শেষে।
মান-অভিমান দিলাম ঝেড়ে,
তোমার কাছে এসে।

ঠকতে ঠকতে যায়নি ঠেকা,
অতলে গেলাম ভেসে।
ধূলির মতো জীবন হেসে যায়,
তোমায় ভালোবেসে।

কত শতবার পাশ কেটে যাই,
অবহেলার মন ঠেসে।
হোঁচট খেলেই ফের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারত একটি মানবিক দেশ

লিখেছেন রাজীব নুর, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:৩৮



যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন আমরা ভারতবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব।
ভারতের মানুষের সঙ্গে আমাদের কোনো শত্রুতা নেই। আমরা বাংলাদেশি তোমরা ভারতীয়। আমরা মিলেমিশে থাকতে চাই। ভারতের বাংলাদেশের সাথে সাংস্কৃতিক,... ...বাকিটুকু পড়ুন

লামিয়ার আত্মহনন: রাষ্ট্রীয় অক্ষমতা, সামাজিক নিষ্ঠুরতা ও মনুষ্যত্বের অন্তর্গত অপমান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৫১


সেদিন ছিল ১৮ মার্চ ২০২৫। পটুয়াখালীর দুমকীতে বাবার কবর জিয়ারত করে ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন শহীদ জসিম হাওলাদারের ১৭ বছরের কলেজপড়ুয়া মেয়ে লামিয়া। সে বাবা, যিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সমুদ্রের গভীরে 'অন্ধকার অক্সিজেন'!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩



সমুদ্রের গভীরে 'অন্ধকার অক্সিজেন'! তৈরি হচ্ছে সূর্যালোক ছাড়াই, বিস্মিত বিজ্ঞানীরা:—

♦️সমুদ্রের ৪ হাজার মিটার তলদেশ। অন্ধকারে আচ্ছন্ন এক জগৎ। আর সেখানেই নাকি রয়েছে অক্সিজেন! বিজ্ঞানীরা যাকে ডাকছেন 'ডার্ক অক্সিজেন' নামে। 'নেচার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:০৪


আজ বিমান বাহিনীর বার্ষিক মহড়ায় এমনটাই বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। এমন বক্তব্যের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন করছেন বাংলাদেশ কি তবে মিয়ানমারের সাথে যুদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×