somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

তাজুল ইসলাম মুন্না
সাংবাদিকতা নিয়ে পড়ালেখা করছি। পাশাপাশি অনলাইন জার্নালিস্ট হিসেবে কাজ করছি দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডে। ব্লগে ফেরার ইচ্ছা বহুদিনের। একদিন হয়তো হুট করে আবারও রেগুলার হয়ে যাবো।

আমার ব্লগাভিজ্ঞতা ৩ (মুন্নার চতুর্থ মাথাখাটানো পোস্ট)

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার ব্লগাভিজ্ঞতা ২ এই লিংকে

চলতে লাগলো আমার ব্লগিং। ঝগড়া থেকে ২০হাত দুরে থাকার চেষ্টা করতাম সবসময়। কিন্তু সবসময় পারতাম না। ঝগড়াই মনেহয় আমার দিকে আসতো। আমি দৌড়েও ঝগড়ার কাছ থেকে পালাতে পারতাম না। এভাবেই চলতে লাগলো ব্লগিং। বুঝলাম আমাকে কারা কারা পছন্দ করে আর কারা কারা অপছন্দ করে। অনেক খারাপ ব্লগার দেখলাম। প্রথম প্রথম তাদের কথার প্রতিবাদ করতাম। কিন্তু এখন আর কিছু বলিনা। ভাবি, এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে।

জরিপ বন্ধ করে দিলাম। ব্লগাররা এটাকে পছন্দ করতো না। কৌতুক দেয়া চালিয়ে গেলাম। নিজে বানিয়ে আর কপি-পেস্ট করে। আমি নিজে লিখতে পারিনা। তারপরও ব্লগারদের উৎসাহে মাঝেমধ্যে চেষ্টা করতাম। যাইহোক, ইসলামিক পোস্ট দেয়া শুরু করলাম। ইসলাম সম্পর্কে ব্লগারদের জানানোই ছিল এই পোস্টগুলোর উদ্দেশ্য। আমার উদ্দেশ্য সফল হয়েছে কিনা তা আমি জানিনা। যারা পোস্টগুলো পড়েছেন তারাই ভালো বলতে পারবেন।

ব্লগে অনেক রাজনৈতিক পোস্ট দেখলাম। আমি ভিতু লোক। এইসব পোস্টে কমেন্ট করা দূরের কথা ঢোকাই বন্ধ করে দিলাম। আমি ছোট, সহজ-সরল মানুষ। রাজনীতি দিয়ে কি করবো! সবসময় নতুনদেরকে উৎসাহ দিতে লাগলাম। এই উৎসাহের কারণে আমাকে বিপদেও পড়তে হলো।

ব্লগারের নিক শান্তা২৯। একদিন ব্লগে একটা পোস্ট দেখলাম। গিয়ে দেখি সুন্দর করে কতগুলো কথা লেখা। আমি পুরোনো অভ্যাসমতো একটা + দিলাম আর কমেন্ট করে এলাম। এই + টাই আমাকে বিপদে ফেললো। সবাই উল্টাপাল্টা বলতে লাগলো। যাইহোক ব্লগাররা আস্তে আস্তে ভুলে গেলো ওই কথা। হয়তো আমিও ভুলে গিয়েছিলাম। এখন লিখতে গিয়ে মনে পড়লো।

চলতে লাগলো ব্লগিং। আস্তে আস্তে পুরোনো ব্লগার হয়ে উঠলাম। একদম নিয়মিত ব্লগার হয়ে গেলাম। যত কাজই থাকুক না কেন ব্লগে আসতামই। একদিনে পোস্ট দিতাম ৫-৬টা (ফ্লাডিং করিনি)। সবার সাথে হাসিঠাট্টায় থাকতাম। অনেকে রাগ করতো। রাগ কমানোর চেষ্টা করতাম। এভাবে চলতে লাগলো। এখনো চলছে।

এলো দুষ্টছেলে নিকের একজন। তার প্রথম পোস্টে তাকে অনেক অনুপ্রেরণা দিলাম। তারপর দেখলাম তার দুষ্টামী একটু বেশি হয়ে গেছে। তারপর শুরু হলো - বৃষ্টি। তার একটা পোস্টে আমরা ব্লগের - রেকর্ড ভাঙ্গলাম। আনন্দ পেলাম খুব। এই - বৃষ্টি থেকে গেলে আরেক - বৃষ্টি শুরু করলাম। কিন্তু এবার আর আগের মতো কাজ হলোনা :(


চলবে...
১০টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আরো একটি সফলতা যুক্ত হোলো আধা নোবেল জয়ীর একাউন্টে‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪০



সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”

একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?

যেদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১১

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

ছবি এআই জেনারেটেড

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের ভাষা নয় কখনোই
আমরা এসব আর দেখতে চাই না কোনভাবেই

আততায়ীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে আমাদের হাদিকে
হাদিকে ফিরে পাব না... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×