আজ সাহস দেখিয়ে ফেললাম। বিচারের ভার পাঠকের উপর।
শেখ মুজিবের আবির্ভাব সম্ভবতঃ রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসের সবচাইতে বড় ঘটনা যার রেশ এখনো কাটে নি। অকালমৃত্যুর মধ্যদিয়েই তাঁর সমাধি রচিত হয় নি।
বাংলাদেশের ইতিহাসে তাঁর চেয়ে প্রজ্ঞাবান, দক্ষ, দূরদর্শী, গতিশীল ও সুযোগ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের আবির্ভাব হয়তো ঘটেছে/ঘটবে। কিন্তু, জনপ্রিয়তায় তাঁর চাইতে বড় আর কেউ ছিলেন বলে জানা যায় না, ভবিষ্যতেও পাওয়া যাবে কীনা সন্দেহ। সবচেয়ে বড় কথা, এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও এদেশীয়দের জাতীয় পরিচয় নির্ধারনে তাঁর চাইতে বেশী আর কারো অবদান আছে নেই বলা চলে।
কেমন ছিলেন এই ব্যক্তিটি? তাঁর পর্বতপ্রমান অটল ব্যক্তিত্বের কথা তো বন্ধু-শত্রু নির্বিশেষে সবাই স্বীকার করেন। অত্যন্ত স্নেহশীল এই ব্যক্তির আপন পরিবারের প্রতি অসীম ভালবাসা ছিল। সত্যিকার অর্থেই, তাঁর ভালবাসার ক্ষমতা ছিল তুলনাহীন। কাছের পরিজনদের তিনি বুক দিয়ে আগলে রাখতেন, খুব সহজেই মিশে যেতেন সাধারণ মানুষের সাথে(এ স্বভাব তাঁর কন্যার মাঝে দেখা যায়)। তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা আর বিবেচনাবোধ ছিল অসাধারণ। এতসব গুন একসাথে থাকার পরেও কেন তাঁকে এই মর্মান্তিক পরিণতি ভোগ করতে হলো?
প্রথমেই, বাঙালির অবিসম্বাদিত নেতা হিসেবে তাঁর উত্থানের দিকে নজর দিই। ’৪৭ এর দেশ ভাগের সময়কার সোহ্রাওয়ার্দী প্রভাবিত তরুন ছাত্র নেতা শেখ মুজিব পরবর্তী ১৫ বছরের অবিশ্রান্ত রাজনৈতিক তৎপরতায় নিজেকে অসাধারণ এক সংগঠক বলে প্রমান করেছিলেন। ’৬২ তে শেরে বাংলা এবং ’৬৩ তে সোহ্রাওয়ার্দীর তিরোধান, মাওলানা ভাসানীর দল পরিবর্তন, আবুল মনসুরের অবসর প্রভৃতি ঘটনা তাঁকে 'লাইমলাইটে' নিয়ে আসে, যদিও ভাগ্যের সহায়তাই যথেষ্ট ছিল না। নিজের যোগ্যতা এবং প্রজ্ঞাই তাঁকে শেষপর্যন্ত আতাউর রহমানদের মত বর্ষীয়ান নেতাদের পেছনে ফেলে আওয়ামী লীগের শীর্ষাসনে বসিয়ে দেয়। এই প্রজ্ঞাই তাঁকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগনের একক স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়ায় উদ্বুদ্ধ করে, যার ফলশ্রুতিতে ’৬৬ এর ছয় দফা দাবী আকারে বেরিয়ে আসে, যদিও তৎকালীন পাকিস্তানের প্রায় সকল রাজনৈতিক দল এর তীব্র বিরোধীতা করে। ছয় দফা যদি তাঁকে বাঙালি জনগনের কাছাকাছি নিয়ে আসে, তবে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রেক্ষিতে হওয়া গণ অভ্যুত্থান তাঁকে বঙ্গবন্ধু খেতাব দিয়ে ঐ জনগনের হৃদয়ে বসিয়ে দেয়। ’৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা তাঁকে এদেশের জনগনের ভাগ্যবিধাতা বানিয়ে দেয় আর ’৭১ এর মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে তিনি অমরত্বের কাছাকাছি পৌঁছে যান। ’৭২ এর ১০ই জানুয়ারি তিনি বিজয়ীর বেশে তাঁর স্বপ্নের মুক্ত স্বাধীন দেশে পদার্পন করেন।
আমরা যদি একটু লক্ষ্য করি, তাহলে দেখব যে, এ সময় পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর জীবনে ছিল শুধু উত্থান, আকাশের সীমানায় পৌঁছেছিলেন তিনি। ছোটখাট কিছু ভুল-ভ্রান্তি ছাড়া পুরো সময়ে তিনি ছিলেন অধিকার আদায়ে এক আপোষহীন সংগ্রামী। উপুর্যুপরি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তিনি জনগনের নায়কে পরিণত হয়েছিলেন; তাঁর নামে যুদ্ধ পরিচালিত হয়েছে, তাঁর নামেই বিজয় অর্জিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতার স্থপতি প্রভৃতি নামের পথ ধরে তিনি এদেশের ক্ষমতার শিখরে পৌঁছেছেন, নির্বাচিত হয়েছেন এদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি।
এর পরেই আমরা এক নক্ষত্রের পতন দেখি। অনেক কষ্টের ফসল যে দেশ, যে দেশের সংবিধান এক জনগনের অধিকার দানে এক অনন্য সংযোজন, সে সংবিধানের কাঁটাছেঁড়া শুরু হয় এর স্বপ্নদ্রষ্টার হাতেই। যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় পরাধীন দেশে দুই দশকের সংগ্রাম চলেছিল, স্বাধীন দেশেও তা সুদূর পরাহত বলে মনে হতে থাকে। দূর্নীতি, চোরাচালান, সমাজবিরোধী তৎপরতা লাগামের বাইরে চলে যায়। পররাষ্ট্রনীতিতে নতজানুতা প্রকাশ পেতে থাকে। সবশেষে, যে জনগনের কথা বলার অধিকার আদায়ে সারাজীবন তিনি জেল-জুলুমের স্বীকার হয়েছিলেন, ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে বাকশাল কায়েম করে সেই কথা বলার অধিকারকেই তিনি ছিনিয়ে নেন, জেল-জুলুমের স্বীকার হতে থাকে অগণিত ভিন্ন মতাবলম্বী। ফলে, যে জনতার হৃদয়ে ছিল তার একান্ত নিবাস, সেই জনতাই তাঁকে দূরে ঠেলে দেয়(কিংবা তিনিই তাদের দূরে ঠেলে দেন)। সুযোগ পেয়ে যায় ঘাতকের দল, তাঁকে মেনে নিতে হয় ইতিহাসের মর্মান্তিক পরিণতি।
কিন্তু, এই অভাবিত পতনের কারন কী? কোথায় ছিল তার আসল ভুল? কখন থেকে শুরু এই পতন?
সত্যিকার অর্থে, ক্ষমতার শিখরে আরোহনকালেই তাঁর পতনের ডঙ্কা বেজে ওঠে। স্বাধীনতার আগমূহুর্তে জনগনের দল হিসেবে বিবেচিত হলেও আওয়ামী লীগ ছিল একটি মধ্যপন্থী দল, যার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অধিকাংশই মধ্যবিত্ত ও নিন্মমধ্যবিত্ত শ্রেনীর মানুষের এক অসমসত্ব, দ্বন্দ্ববিক্ষুব্ধ ও বিশৃংখল মিশ্রন। সেখানে আবার রাজনৈতিক প্রজ্ঞার চাইতে আবেগের পাল্লা ভারীওয়ালা তরুণ ছাত্রনেতাদের প্রভাব বেশী লক্ষ্য করা যায়। ফলে, নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে আলোচনার মাধ্যমে সংঘাত নিরসনে অভ্যস্ত শেখ মুজিব প্রতি মূহুর্তে হিমশিম খাচ্ছিলেন, যদিও তাঁর অনুপম ব্যক্তিত্ব সবদিক সামাল দিয়ে যাচ্ছিল। এরপরেই আসে, মুক্তিযুদ্ধ আর দুঃখজনকভাবে এদেশের মানুষ তাঁর সরাসরি নেতৃত্ব থেকে বঞ্চিত হয়। প্রবল গণজোয়ারই সে সময়ে যুদ্ধের গতিপথ ঠিক করে দেয়, সে গণজোয়ারেই তিনি নেতার আসনে বসে গিয়েছিলেন।
তিনি অযোগ্য প্রশাসক ছিলেন, কিংবা সম্পূর্ণ ব্যর্থ একজন সরকার প্রধান ছিলেন- এ কথা সত্যের অপলাপ মাত্র। কিন্তু, স্বাধীনতা পরবর্তী দিনগুলোতে উপরের দুটো ব্যাপারই তাঁর জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। প্রথমতঃ রাজনৈতিক দল পরিচালনায় বিশৃংখল-বিক্ষুব্ধ কর্মীদের ব্যক্তিত্বের প্রভাবে হয়তো সামলিয়ে রাখা যায়, কিন্তু রাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ক্ষমতার আসনে বসে শুধু ব্যক্তিত্ব দিয়ে কিছু করা যায় না, বাস্তবমুখী কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহনের প্রয়োজন হয়। তিনি ক্ষমতালোভী, চাটুকার বেষ্টিত হয়ে পড়েছিলেন এবং শেষ সময় পর্যন্ত সেখান্থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন নি। দ্বিতীয়তঃ মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অনুপস্থিতিকালীন সময়ের ঘটনাপ্রবাহ এবং সম্মুখ সমরে শত্রুর মোকাবেলা করে জনগণের চিন্তারাজ্যে যে পরিবর্তনটুকু এসেছিল, তা অনুধাবন করা তাঁর জন্য একান্ত প্রয়োজন ছিল। কিন্তু, এব্যাপারে তাঁর অনাগ্রহ সংক্রান্ত বিষয়ে একান্ত সহচর তাজউদ্দীনের উক্তি এবং জীবদ্দশায় একবারের জন্যেও বৈদ্যনাথতলায় না যাওয়ার মাধ্যমে ঐ সময়ের ব্যাপারে তাঁর অনাগ্রহ ভালভাবেই প্রকাশ পায়।
এরপরেই তাঁর স্নেহপরায়নতাকে আলাদা করে বিবেচনা করা দরকার। পরিবারের মাথা কিংবা সামন্ত প্রধান হিসেবে আপন পরিজনের প্রতি দয়া, সহানুভূতি কিংবা স্নেহপরায়নতাকে ভাল গুন হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। কিন্তু, রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে এগুলোই বড় দোষ হিসেবে দেখা দেয় আর সেটাই ঘটেছে তাঁর জীবনে। আত্মীয়-পরিজনেরা তাঁর পাশে মধুমক্ষিকার মত জড়ো হয়েছে আর ক্ষমতার স্বাধ গ্রহন করেছে। অন্যদিকে, গুরুতর অপরাধীও তাঁর স্নেহের ছায়াতলে অবলীলায় ক্ষমা পেয়েছে।
সবশেষে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে তিনি যখন দল-মত নির্বিশেষে সকলকে এক মঞ্চে নিয়ে এসে ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’ কায়েম করতে চাইলেন এবং বাকশাল কায়েম করলেন ততদিনে দুইটি ভয়াবহ ব্যাপার ঘটে গিয়েছে। যাদের জন্য তিনি এই পদক্ষেপ নিলেন, সেই জনগণ তাঁর কাছ হতে অনেক দূরে সরে গিয়েছে আর যাদের উপর নির্ভর করে তিনি এই বিপ্লবের ডাক দিলেন তারা সকলেই প্রমানিত হয়েছে জনগণের স্বার্থবিরোধী আত্মলোভী, যার প্রমান এই যে, তাঁর মৃতদেহকে ৩২ নম্বরের সিঁড়িতে ফেলে রেখেই এরা নতুন সরকারের অনুগত্য মেনে নিয়েছিল, গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে গিয়েছিল। এরা গাছেরও খেয়েছে, তলারটাও কুড়িয়েছে। আজো কুড়াচ্ছে বোধ করি।
যাইহোক, একটি সংস্কারমুখী পরিবর্তন সাধনের সর্বশেষ প্রচেষ্টায় সার্বিক বাধার মুখে বঙ্গবন্ধুর ব্যর্থতা ও বিভ্রান্তি একটি ঐতিহাসিক সত্য। কিন্তু, এও সত্য যে, একটি ভগ্নপ্রায় জাতিকে সফলতার চূড়ায় নিয়ে যেতে তাঁর প্রচেষ্টার অন্ত ছিল না। নিজস্ব ও বাহ্যিক উভয়প্রকারের চাপে সে আর হয়ে ওঠে নি। পাকিস্তানে কারাবন্দী শেখ মুজিবের মৃত্যু যদি সেখানেই হোত, তবে তর্কাতীতভাবে তিনি হতেন এদেশের ইতিহাসের মহত্তম শহীদ। কিন্তু, তাহলে, এদেশের কী হোত! এত তাড়াতাড়ি কি আমরা স্বাধীন হতাম? স্বাধীন হলেও ভারতের সেনাবাহিনী কি এত তাড়াতাড়ি এদেশ ছেড়ে চলে যেত? যতই নতজানু বলে সমালোচনা করি না কেন, ভারতের সাথে মাথা উঁচু করে কথা বলার লোক তিনি ছাড়া স্বাধীন বাংলাদেশে আর কে ছিলেন?
তবে, বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের পর জনপ্রিয়তার মোহে ছক বাঁধা পথ অনুসরণ করে ক্ষমতার চেয়ারে না বসলেই বোধ করি তিনি ভাল করতেন, যেমনটি করেছিলেন মহাত্মা গান্ধী। কেননা, গান্ধী নিজের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন ছিলেন; দূর্ভাগ্যজনকভাবে, বঙ্গবন্ধু তা ছিলেন না!
প্রশ্ন জাগে, তাঁর মৃত্যুর পর এত বছরে এত রকমের রাজনৈতিক পরিবর্তনের দ্বার বেয়ে আজো এত সব কিছুর মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রাসঙ্গিকতা তবে কোথায়? তিনি তো সেই ব্যক্তি যিনি জীবনব্যাপী একটি জাতির স্বার্থে তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়েছেন, ঐ জাতির আশা-আকাঙ্খার মূর্ত প্রতীক হিসেবে বিরাজ করেছেন। তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রতীক, যার পথ ধরে স্বাধীনতা সংগ্রামের সোপান রচিত হয়েছে। পরবর্তীকালে এদেশে যত রকমের পরিবর্তন আসুক না কেন, আভ্যন্তরীন ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এদেশের অবস্থান যেমনই হোক না কেন, এদেশের আর্থ-সামাজিক কাঠামোতে ধনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মাশ্রিত আদর্শবাদ যাই চেপে বসুক না কেন, স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন ব্যক্তি শেখ মুজিবের কীর্তি অমলিন থাকবে- ততদিন পর্যন্ত ব্যক্তি শেখ মুজিবের প্রাসঙ্গিকতা বর্তমান।
ব্যক্তিগত দূর্বলতা আর সময়ের বৈরীতা তাঁকে তর্কাতীত অমরতা দেয় নি হয়ত। তাই বলে, তাঁর করুণ মৃত্যুর মহিমা কমে না। একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছিলেন যাদের, তাদের অপরাধের বোঝাও কমে না।
(উপরের এই বিশাল লেখাটি একেবারে আমার ব্যক্তিগত মতামত, কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত নয়। একে সেভাবেই দেখা উচিৎ। বলে রাখা ভাল যে, ব্যক্তি তায়েফ আহমাদ আওয়ামী রাজনীতির সাথে( প্রকৃতপক্ষে, কোন রাজনীতির সাথেই) জড়িত নয়। তার জন্ম হয়েছে এক আওয়ামী লীগ বিদ্বেষী পরিবারে, যেখানকার মুরুব্বীরা মুক্তিযোদ্ধা-অমুক্তিযোদ্ধা নির্বিশেষে প্রায় সকলেই শেখ মুজিবুর রহমানকে অপছন্দ করতেন/করেন। কিন্তু, মুরুব্বীদের কথা অনুযায়ী সে কোনকালে চলেছে বলে জানা যায় নি; বরং পছন্দ-অপছন্দের ব্যাপারে নিজের চোখ-কান-মাথার উপর ভরসা করেছে বেশী। আওয়ামী লীগের রাজনীতি কোনকালেই পছন্দ হয় নি, তাই বলে যা কিছু ভাল, যা কিছু মহৎ তাকে বিনা দ্বিধায় স্বীকার করতেও দেরী হয় নি। ’৯৬ এর ১২ই জুন জীবনে প্রথমবারের মত বিটিভি তে প্রচারিত ৭ই মার্চের ভাষন স্কুলগামী এক বালককে কীভাবে আন্দোলিত করেছে, তা শুধু সে বালকই বলতে পারে। বলে রাখা ভাল, এই লেখায় ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদের “Bangladesh: Era of Sheikh Mujibur Rahman” এবং আবুল মনসুর আহমদের “আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর” গ্রন্থদ্বয়ের উদার সাহায্য নেয়া হয়েছে।)