ধানমন্ডি টু বাশখালী .. রাষ্ট্রীয় অনুদান ও বৈষম্য
কিছু মানুষ আছেন যারা সাধারণ নাগরিকের জমি দখল করে কিছু মানুষের সুবিধার জন্য প্রকল্প গ্রহনে ভিন্ন মত প্রোষণ করলেই উন্নয়ন বিরোধী বলে অাখ্যা দেন। এমনকি ধানমন্ডি, গুলশান, বারিধারা, উত্তরা, পুর্বাচল, ঝিলমিল প্রকল্পগুলো সাধারণ মানুষের জমি একোয়ার করে রাজউক কিছু ক্ষমতাবান নাগরিকদের রাষ্ট্রীয় অনুদান দিয়েছে। এ সকল আবাসন প্রকল্পেও হাজার মানুষের রুটি রুজির পথ বন্ধ করা হয়েছে। এসকল এলাকা তৈরির বিরোধীতা করলেও উন্নয়নে বিরোধী বলে চিহ্নিত হবেন।
রাজউক জনগনের জমি জনগনের টাকায় উন্নয়ন করে কিছু মানুষকে কম দামে প্রদান করেছে। যা ক্ষমতাবানদের জনগনের টাকায় রাষ্ট্রীয় অনুদান। এ সকল এলাকার জমি যে দামে কেনায় হয়েছিল তা থেকে কয়েকশগুন বেশি দাম এখন। যাই হোক, বাংলাদেশে জমির পরিমান কম, ঢাকায় আরো কম। তাই রাজউক এখন জমি বদলে ফ্ল্যাট তৈরি করে বিতরনের চিন্তা করছে।
রাজউক যদি এমন সিদ্ধান্ত করে যে, ধানমন্ডি, গুলশান, বারিধারা, উত্তরা, পুর্বাচল, ঝিলমিলে যত প্লট মালিক ফ্ল্যাট তৈরি করবেন, তার একটি অংশ বিনামূল্যে রাজউককে দিতে হবে। রাজউক এগুলো আবার সাধারণ নাগরিকের মাঝে বিতরন করবেন। এতেও কিন্তু অনেক কমমূল্যে ঢাকার আবাসন ব্যবস্থার উন্নয়ন সম্ভব।এতে জমি, পরিবেশ অনেক রক্ষা পাবে ।
ধানমন্ডি, গুলশান, বারিধারা, উত্তরা, পুর্বাচল, ঝিলমিলের প্রকল্প মালিকরা কি মেনে নেবে রাজউকের এ সিদ্ধান্ত? রাজউক কি এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের সাহস পাবে?
ধানমন্ডি, গুলশান, বারিধারা, উত্তরা, পুর্বাচল, ঝিলমিলে লোকেরা যদি তাদের প্লটে সাধারণ নাগরিকদের সাথে শোয়র করতে। যদি তা পারা যায় তাহলে দেশের অন্যান্য স্থানে জমি একোয়ার করে বিভিন্ন কোম্পানির জন্য প্রকল্প গ্রহণ যৌক্তিক।
দেশের সাধারণ মানুষেরাে জমিও তাদের কাছে প্রিয়। তারাও এ জমি নিজের জীবনের মতো করে রক্ষা করবে।
যদি জমি একোয়ার বলতে শুধু সাধারণ নাগরিকদের জমি একোয়ার করা হয়। তা বৈষম্যমূলক নীতি হিসেবে চিহ্নিত হবে। আর এ রাষ্ট্রের সংবিধান বৈষম্যমূলক নীতি গ্রহণের অনুমোদন দেয় না।
বাংলাদেশ সংবিধান
২৮। (১) কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারীপুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোন নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করিবেন না।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:১৬