আজকাল মুঠোফোন অনেকটা খেলনা সামগ্রীর মতোই যেন ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এ অপরিহার্য যন্ত্রটি ঠিক মতো ব্যবহার না করলে অনেক সময় তা ভয়াবহ বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে। ইদানীং দেশে-বিদেশে প্রায়ই মুঠোফোন বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এতে হতাহতেরও ঘটনা ঘটছে। মুঠোফোন বিস্ফোরণের কারণ ও যত্ন-আত্তির কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এই প্রতিবেদনে।
কেন ও কীভাবে বিস্ফোরণ : চার্জে থাকা অবস্থায় মুঠোফোন ব্যবহারে প্রায়ই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। কারণ চার্জে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনের মাদারবোর্ডে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এই সময় মুঠোফোন ব্যবহার করলে নানাভাবে এই চাপ আরও বেড়ে যায়। সস্তা ও বেনামি কোম্পানির মুঠোফোন এই চাপ সহ্য করতে পারে না। ফলে তা বিস্ফোরিত হয়। আন্তর্জাতিক নম্বর থেকে আসা কল বা মিসড কলকে কল বম্বিং বলে। যদি কেউ এই ধরনের কল রিসিভ বা কল ব্যাক করেন এবং এই কলটি যদি একটি নির্দিষ্ট সময় অতিক্রম করে, তখন মুঠোফোন বিস্ফোরিত হতে পারে। কিছু অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে থাকা ম্যালওয়ার বা যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে চার্জের সময় অতিরিক্ত চাপে মুঠোফোন বিস্ফোরিত হতে পারে।
সাবধানতা : সস্তার প্রলোভনে পড়ে ভুঁইফোঁড় কোম্পানির মুঠোফোন কেনা উচিত নয়। যথাসম্ভব ব্র্যান্ডের মুঠোফোন কেনা বুদ্ধিমানের কাজ। কেনার সময় মুঠোফোনের আইএমইআই নম্বর ঠিক আছে কি না, তা পরীক্ষা করা উচিত। মুঠোফোনের গায়ে লেখা নম্বর এবং বাক্স ও রসিদে লেখা নম্বর মিলিয়ে দেখতে হবে। এ ছাড়া কেনার সময় মুঠোফোনের ইয়ারফোন, ব্যাটারি, চার্জার ইত্যাদি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা উচিত। বিশেষ করে ব্যাটারির ভোল্টেজ ও চার্জারের মাত্রার যথার্থতা নিশ্চিত করা উচিত। মাত্রাতিরিক্ত চার্জে মুঠোফোন বিস্ফোরিত হতে পারে।
চার্জে থাকা অবস্থায় মুঠোফোন ব্যবহার পরিহার করতে হবে। এই সময়ে যদি ফোন রিসিভ করতেই হয়, তবে ফোন থেকে চার্জার খুলে ফেলুন। মুঠোফোনে মাত্রাতিরিক্ত চার্জ না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করুন। ব্যাটারি পরিপূর্ণভাবে চার্জ হয়ে গেলে তা খুলে ফেলুন। ব্যাটারির গুণগত মানে কোনো ধরনের ত্রুটি দেখা গেলে দ্রুত তা পরিবর্তন করুন। -ওয়েবসাইট।