কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার কারণে আফগানিস্তানের কুন্দজ প্রদেশে এক নারীকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত নারীর দুই মাস বয়সী কন্যা সন্তানটি অক্ষত রয়েছে এবং হন্তারক স্বামী পলাতক বলে স্থানীয় পুলিশ সূত্র জানায়। তিনদিন আগে কুন্দজ প্রদেশের খানাবাদ জেলার মাফালায় গ্রামে ওই নারীকে হত্যা করা হয়। নিহত নারীর স্বামী একজন স্থানীয় মিলিশিয়া সদস্য। খবর বাংলানিউজের।
আফগান সমাজে ছেলে সন্তান হওয়া অনেক গৌরবের বিষয়। কিন্তু কন্যা সন্তান হওয়াকে অনেকটা বোঝা হিসেবেই দেখা হয়। আর এই ছেলে সন্তান জন্ম দিতে না পারলে নারীদেরকে ভোগ করতে হয় নানা শাস্তি। গত বছর এক আফগান নারীর ওপর অত্যাচারের এক ভিডিও
চিত্র ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায় একজন ১৫ বছর বয়সী আফগান মেয়েকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং তার স্বামী তাকে উপর্যুপরি আঘাত করছে।
খানাবাদ পুলিশ প্রধান সুফি হাবিব বলেন, ‘ওই মা এই নিয়ে তৃতীয় কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছিল। তার শাশুড়ি এবং স্বামী কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ায় অবাক হয়ে যায়।’
উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বলেন, স্তোরি ডাক নামের ওই মেয়েটিকে তার স্বামী তার অস্ত্র দিয়ে হত্যা করেছে। নিহত নারীর এক প্রতিবেশী বলেন, তিনি তো একটি ঘরের মধ্যে থাকতেন না, এটি ছিল একটা দোজখ। প্রতিনিয়তই তার ওপর অকথ্য নির্যাতন করা হতো।
স্থানীয় মিলিশিয়ারা মোটামুটি এক প্রকার রাজনৈতিক মদদপুষ্ট। তাদের হাতে অবৈধ অস্ত্র থাকায় যখন তখন তারা নারীদের ওপর চড়াও হয়।