আজ সকালে প্রথম আলোর অনলাইন এডিশনে জাতীয় ক্রিকেট দলের সিনিয়র ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের সাক্ষাৎকার পড়ে অবাক হলাম সাকিব এমন কিছু কথা বললেন যা তার মত খেলোয়াড়ের কাছ থেকে আশা করা যায় না
সাকিব বললেন, দেশে খেললে নাকি তাদের উপর দর্শক দের একটা চাপ থাকে। এতদিন জানতাম হোম গ্রাউন্ড খেললে নাকি একটা বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায় । যার কারনে যেকোনো দল হোম গ্রাউন্ড ভাল করে । চেনা কন্ডিশন + সমর্থন এক্ষেত্রে সাহায্য করে । নিউজিল্যান্ড এর বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগেই whitewash নেয়া অনেক কথা হয়েছিল কই সেটা তো চাপ হয় নাই তাহলে এখন কিসের চাপ ?? খারাপ খেললে সমালোচনা হবেই এটা নতুন কিছুনা | সর্বোচ্চ লেভেল এ খেললে চাপ থাকবেই চাপ সামলিয়ে খেলতে না পারলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উপরে উঠা যাবে না |
সাকিব বললেন
"ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে কোন দিক থেকে আমাদের এগিয়ে রাখবেন? পাকিস্তানের চেয়ে কোন দিক থেকে আমরা এগিয়ে! কিংবা ভারত—এ রকম একেকটা দল যদি এক শতে এক শ হয়, আমরা তো আশিও না! সর্বোচ্চ চল্লিশ-পঞ্চাশ হব। তাহলে বোঝেন, ওদের সঙ্গে জিততে আমাদের কী পরিমাণ ভালো খেলতে হবে। আর এটা তো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ না, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সবাই তো সর্বোচ্চ চেষ্টাই করবে। টি-টোয়েন্টিতে দক্ষতা যেমন দরকার, শক্তিরও দরকার আছে। দুটিই না থাকলে আপনি পারবেন না। টি-টোয়েন্টির জন্য সবচেয়ে বেশি টাকা পায় কারা? গেইল, ডি ভিলিয়ার্স—কী পাওয়ার ওদের খেলায়! জাতিগতভাবেই আমরা শারীরিকভাবে ওদের চেয়ে পিছিয়ে। জন্মের পর থেকে আমরা খাই সবজি খিচুড়ি...নরম করে রান্না করা। এই তো আমাদের খাওয়া, তাই না! আর ওরা ছোটবেলা থেকে অরেঞ্জ জুস খায়। আমাদের হয়তো পাঁচ-দশ ভাগ শিশু এই খাওয়াটা পায়। আমাদের তো ওই সামর্থ্যটা নেই। আর খাওয়াবেন কী, তা-ও তো ভেজাল। আপনি অরেঞ্জ জুস খাওয়াবেন? ফরমালিনে ভরা। বাংলাদেশে নাকি তিনটা ফলে সবচেয়ে বেশি ফরমালিন। কমলা, আপেল আর মাল্টা। যে তিনটা ফল বেশি খাওয়া উচিত, সেগুলোই বাংলাদেশে খাওয়া যায় না। "
এগুলো কোন যুক্তি হল ।
এসব অজহাত না দেখিয়ে ভাল খেলার চেষ্টা করুন। আমরা আপনাদের সাথেই আছি ।