এদের হস্পিটাল গুলো শহরের এক প্রান্তে হয়, আসলে হস্পিটালের নিয়ম এটাই, শহরের এক কোনায়, চার পাশে পাহাড় ঘেরা এই হস্পিটালে সকালে পূবে দেখা যায় সূর্যোদয়, পশ্চিমে চন্দ্রাস্ত! নাইট ডিউটিতে রাত একটার পর রোগী তেমন আসে না, আবার আসে সকালে ফজরের নামাযের পর,মজার ব্যাপার হল ইমার্জেন্সী কি জিনিস এদের কোন আইডিয়া নেই, হয়তো রাত দুটোর সময় তাওয়ারীতে আসবে, এসে বলবে জিসম তাবান, মানে সারা গায়ে ব্যথা, কয়দিন ধরে জিজ্ঞেস করলে বলবে গত ছয় সাত বছর ধরে! এখানে হস্পিটালের ইমার্জেন্সীকে তাওয়ারী বলে রাতের বেলা দুই তিন জন মিলে আমরা আড্ডা দিই, মহিলা ডাক্তার শুধু তাওয়ারী নিসা (গাইনী) তে থাকেন, ইউজুয়ালী এদের কে রাতে সাধারণ ডিউটি দেয়া হয় না, সাথে আরো থাকেন এক গাদা প্রজাপতির মত ফিলিপিনো আর কেরালার সিস্টার!
আমার মাঝে মাঝে দু:খ হয়, বাংগালী মেয়েরা আমাকে চিনল না! আমি তাদের কে বলেছিলাম, আইজ চিনবা না, চিনবা কাইল, পাছা থাপড়াইবা, পারবা গাইল! হে নারী গন, তুমাদের পাছা থাপড়ানোর দিন এসে গেসে, সুদানীয় ডা জামিলা অলরেডি আমাকে তার ছুটু বোন কে বিবাহ করার প্রস্তাব দিয়েছে, কণ্যা ফার্মাসিস্ট, বুঝা গেল?
ঘটনা এখানেই কিন্তু শেষ নয়, হে বাংগালী নারী! থাপড়াও বাংগালী নারী, থাপড়াও, ফিলিপিনো সিস্টার লিয়ার অস্টাদশী কণ্যার সাথে সম্বন্ধ আসছে, অসাধারণ সুন্দরী সেই কণ্যার এবং কইণ্যার মার দুইজনের একটাই সমস্যা, আসলে ফিলিপিনো নারীদের সবার ই কমন প্রব্লেম হল, এরা বাড়ীতে হট প্যান্ট অথবা শর্টস ছাড়া কিছু পড়েনা, এজন্য রিফিউজ করে দিসি, হুজুর মানুষ, উলংগ নারী কি করে বিবাহ করি
দ্য রিটার্ন অফ আরব্য রজনী, 16 মহররম, 1438 (ছয় নং পর্ব)