somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পর্ণোগ্রাফীর টুকিটাকি-২

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শুরুতেই সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আগের লেখাটা আপনাদের কাছে বেশ সমাদৃত বলেই আজ পার্ট টু এর অবতারণা। আপনাদের ই নয় শুধু আমার নিজেরও ব্যাপক আগ্রহ। অযথা ভুমিকা নয়া বাড়িয়ে আজ দ্বিতীয় পর্বের লেখা শুরু করছি, নেক্সট প্যারা থেকে!

শুরুতেই আসি বেশ কিছু নোঙ্গরা এবং বিব্রতকর ব্যাপার নিয়ে। যেমন ধরুণ স্ক্যাট পর্ণ। এটির সম্পর্কে বলা যাক। এটি পর্ণের এমন এক ক্যাটাগরি যেখানে নোঙ্গরামিই মুখ্য। স্বাভাবিক যৌণ ক্রিয়া থেকে এখানে প্রাধান্য বেশী নোঙ্গরামি নিয়ে, এবং যে কোন নোঙ্গরামি কিন্তু একেক ধরণের পার্ভার্শন! এই স্ক্যাট পর্ণে সাধারণত দু জন মহিলা অভিনেত্রী থাকেন। এম এফ এক্স মিডিয়া সহ বেশ কিছু নির্মান সঙ্গস্থা এধরণের পর্ণ নির্মান করে থাকেন। এই ক্যাটাগরিতে মেয়েদের পায়খানার দৃশ্য ইরোটিক ভাবে স্থাপন করা হয়ে থাকে। এবং বেশ যৌণ আকর্ষণীয় রূপে তারা মল ত্যাগ করেন এবং সেটা দেখে আমার আপনার মত্ মানুষ যৌণ তৃপ্তি লাভ করে। খোদ ইউরোপে কিংবা উত্তর আমেরিকায় এধরণের পর্ণ নির্মান কে মানসিক বিকার বলে বেশ কিছু জায়গায় অপরাধ বলে গণ্য করা হয়, যার নির্মান কিংবা প্রদর্শন এসব স্থানে নিষিদ্ধ! ২০১৩ সালে স্ক্যাট আইসাক কে এই ধরণের স্ক্যাট পর্ণ নির্মানের জন্য দুই বছরের কারাদন্ড দেয়া হয় (উত্তর আমেরিকায়)।


পর্ণ অভিনয়ের সময় অতি উত্তেজনার প্রদর্শণে কিন্তু অভিনেতা কিংবা অভিনেত্রীদের শারিরীক ইঞ্জুরিও ঘটে! আপনি কি জানেন একজন পর্ণ অভিনেত্রীর যে কিনা রেগুলার পর্ণ চিত্রে অভিনয় করে থাকেন তার জন্য ভ্যাজাইনাল টিয়ার (যোণী ছিড়ে যাওয়া) কিংবা এনাল টিয়ার(মল দ্বার ছিড়ে যাওয়া) একদম ই নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার? সবচাইতে করুণ বিষয় হল, বিপদ জনক কেস গুলোতে তারা মিকচুয়ারী কিংবা ডিফিকেশন ইনকন্টিনেন্স এ ভোগেন, এধরণের রোগ হলে তারা পায়খানা কিংবা পেশাব ধরে রাখতে পারেন না!


অবশ্য মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের ক্ষেত্রে অসুখ বিসুখের হার বেশ কম, তবে তারা একধরোনের ইউনিক রোগে ভোগেন যার নাম পেনাইল ফ্র্যাকচার! এই পেনাইল ফ্র্যাকচারের ঘটনা বেশী ঘটে, এমন পর্ণ যেগুলোতে উইমেন অন টপ বা মেয়েরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ছেলের উপরে ওঠেন, এধরণের ছিড়ে যাওয়া পেনিস পুনরায় কনস্ট্রাকট্রিভ সার্জারীর মাধ্যমে জোড়া লাগানো হয় যার খরচ বত্রিশ হাজার মার্কিন ডলার!! আর যদি আপনার এই সামর্থ্য না থাকে তাহলে বাদ বাকিজীবন আপনার পেনিস আর উন্থিত হবে না, উন্থানের সোজা বাংলা হল আর দাঁড়াবে না!

আরেক ধরণের পর্নে, মানুষ একটি ছিদ্র দিয়ে তার পুরুষাংগ প্রবেশ করায়। এবং একজন মেয়ে যে কিনা একটি ঘরে আবদ্ধ থাকে, সে মেহনীর মাধ্যমে তার বীর্যপাত ঘটায়, এধরণের পর্ণ কে বলে গ্লোরি হোল পর্ণ আর ভদ্র ভাষায় বলে জার্ক অফ বুথ পর্ণ। তবে জার্ক অফ পর্ণের সংগা আরেকটু গভীর। এধ্রণের মুভি এরিয়াতে। পর্ণের ক্রেতা পর্ণ কেনার আগে তা ট্রাই করে দেখতে পারেন। ব্যাসিকালী সাবেক ''পিপ শো'' এর নতুন ধরণের পর্নের ধারণার জনক। শুরুতে আপনি ছোটবেলার গেম খেলার কয়েনের মত এক ধরণের কয়েন বুথে ফেলবেন। দেন বায়োস্কোপের মত একটি নলে চোখ রাখলে তা আপনাকে বিভিন্ন ধরণের পর্ণ দেখানো শুরু করবে, এদের ক্যাটাগরীতে ১৯২০ সাল থেকে নানা ধরণের পর্ণ সংগ্রহে আছে।


এধরণের পর্ণের মাঝে উল্লেখযোগ্য একটির নাম হল- হোয়াট আর দ্য বাটলার স'! এখানে দেখা যায় একজন মানুষ গোপনে আরেকজন অভিনেত্রীর বেডরুমে তার নগ্নতা উপভোগ করছেন, এধরণের সিন কে বলা হয় ভয়্যার সীন! কিন্তু এখনকার ক্রেতাদের চাহিদা আরো বেশী, তারা একেবারে সম্পূর্ণ একটি যৌণ ক্রিয়ার মুভি দেখতে চায়! তাদের চাহিদার মাঝে রয়েছে-এনাল এলি কিংবা বেয়ার ব্যাক মাউন্টেইন ক্যাটাগরীর যার উল্লেখযোগ্য দৃশ্য হল হয় পায়ুপথে যৌণ ক্রিয়ার দৃশ্য কিংবা গে পর্ণ। কাস্টোমার শর্ট প্রিভিউ দেখে ডিসিশান নেন তারা এই মুভিটি আদৌ কিনবেন কিনা।


একাধিক সঙ্গীর সাথে যৌণ ক্রিয়ার ধারণা কিন্তু সেই রোমান আমলের। এধরণের পর্ণ কে বলা হয় গ্যাং ব্যাং পর্ণ। আজকের দিনে একটি গ্যাং ব্যাং পর্ণে মিনিমাম বারো থেকে পঞ্চাশ জন সংগীসহ একজন বিপরীত লিঙ্গের মানুষ যৌন ক্রিয়াতে মত্ত হন। এধরণের পর্নে বিনিয়োগকারীরা মোটা অঙ্কে বিনিয়োগ করেন বলে তারাও সেই একজন, বিশেষ করে অভিনেত্রীর কাছে তার শেষ সীমায় আউটপুট চেয়ে থাকেন! শুরুতে বলা ইরা আইজ্যাক এর দুবছর কারাদন্ডের ব্যাপারে আরো একটি উল্লেখযোগ্য কারণ ছিল এধরণের আউটপুট চাওয়া। ২০১৩ সালে এলিসা স্পার্মি নামে একজন অভিনেত্রী এইধরণের মুভির ব্যাপারে একটি বিশ্ব রেকর্ড গড়ে তোলেন। তিনি ৯১৯ জন মানুষের সাথে, এটা সত্য আমি আপনাদের মিথ্যে বলছি না, তিনি ৯১৯ জন মানুষের সাথে রতি ক্রিয়ায় লিপ্ত হন, তার উপলক্ষ ছিল, থার্ড এনুয়াল গ্যাং ব্যাং চ্যাম্পঈয়ন শীপ!!! অদ্ভূত এক দুনিয়াতে আমাদের বসবসা, কী বলেন?


আপনাদের মজার একটা শব্দ বলি, শব্দটি হল ফ্লাফার্স, এধরণের পেশার সাথে জড়িতদের মূল কাজ হল, এরা যখন দীর্ঘ সময় ধরে একটি পর্ণ নির্মানের মুভি চলতে থাকে, তারা মূল অভিনেতা কিংবা অভিনেত্রী, ম্যাক্সিমাম ক্ষেত্রে অভিনেতা, এদের যৌন উত্তেজনা বজায় রাখার বিষয়টি খেয়াল রাখেন। আপনি কি জানেন, দশ মিনিটের একটি যৌণ দৃশ্য ভিডিও করতে চার ঘন্টার ও বেশী সময় লেগে যায়? তাই এধরণের লম্বা সময় ছেলে কিংবা মেয়ে যে কারুর যৌণ উত্তেজনা বজায় রাখা বেশ কস্টকর ই বটে! আরো যেখানে সামনে একজন মহিলা বিদ্যমান অথচ আপনি তার সাথে যৌণ ক্রিয়া করতে পারছেন না!! তাই নির্মাতাদের প্রতিবার এধরণের ফ্ল্যাফার্সদের উপর নির্ভর করতে হয় যাতে ক্যামেরা অন করলে স্টারদের যৌণ উত্তেজনা বজায় থাকে!! ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ফ্লাফার্স ব্যতীত পর্ণ মুভি নির্মাণের কথা ভাবাও যেত না, তারপরে ছোট নীল রঙের পিল ভায়াগ্রা আবিষ্কার হয় যা পেনিসের উন্থান সমস্যার জন্য মোটামুটি বৈপ্লবিক সমাধান নিয়ে আসে! ফ্লাফার্স ইউনিয়ন তদকালে ভায়াগ্রা বিরোধী আন্দোলন ও করে, কারণ এই নীল রঙের পীল তাদের দৈনন্দিন জীবনের রুটি রুজি কে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছিলো! তারা ফাইজারের মত ঔষধ কোম্পানীকে কোর্ট পর্যন্ত ঘুরায়ে নিয়ে আসে প্রতিবাদস্বরূপ!


আজকে এই পর্যন্ত থাকুক, কি বলেন? লিখতে যেয়েই ওভার ডোজ হয়ে যাচ্ছে! চলবে!

পর্ণোগ্রাফীর টুকিটাকি-১
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৪৭
৯টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সংস্কারের জন্য টাকার অভাব হবে না, ড. ইউনূসকে ইইউ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এবং সফররত এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক পাওলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

তোমার বিহনে কাটে না দিন

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:০৩



অবস্থানের সাথে মন আমার ব্যাস্তানুপাতিক,
বলে যাই যত দূরে ততো কাছের অপ্রতিষ্ঠিত সমীকরণ।
তোমাকে ছেড়ে থাকা এতটাই কঠিন,
যতটা সহজ তোমার প্রতিটি চুল গুনে গুনে
মোট সংখ্যা নির্ণয় করা।
তোমাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবি কখনো কখনো কিছু ইঙ্গিত দেয়!

লিখেছেন ডার্ক ম্যান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৭



গতকাল ভারতীয় সেনাপ্রধানের সাথে বাংলাদেশ সেনাপ্রধান এর ভার্চুয়ালি কথা হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের অফিসায়াল এক্স পোস্টে এই ছবি পোস্ট করে জানিয়েছে।

ভারতীয় সেনাপ্রধানের পিছনে একটা ছবি ছিল ১৯৭১ সালের... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রথম আলু

লিখেছেন স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯



লতিফপুরের মতি পাগল
সকালবেলা উঠে
পৌঁছে গেল বাঁশবাগানে
বদনা নিয়ে ছুটে



ঘাঁড় গুঁজে সে আড় চোখেতে
নিচ্ছিল কাজ সেরে
পাশের বাড়ির লালু বলদ
হঠাৎ এলো তেড়ে




লাল বদনা দেখে লালুর
মেজাজ গেল চড়ে।
আসলো ছুটে যেমন পুলিশ
জঙ্গী দমন করে!





মতির... ...বাকিটুকু পড়ুন

×