পলিটিক্যাল এসাইলাম গ্রহণকারী কোন ব্যক্তি যে পরবর্তীতে তার স্বদেশ, তার জন্ম ভূমিকে কখনো ভাল বলতে পারবে না, সেটা কিন্তু একদম ঝকঝকে! আমাদের সমবয়সী কিছু ছেলে মেয়ে ইয়োরোপ-আমেরিকায় পলিটিক্যাল এসাইলাম নিয়েছেন। আপনি আপনার ক্ষেত্র থেকে চিন্তা করুন, একবার আপনি উন্নত জীবন যাত্রার মানের ছোঁয়া পেলে, কখনো নিজ দেশে ফেরত আসতে চাইবেন? আপনি কি করবেন? আপনি যে কোন উপায়ে আপনার এসাইলাম ভিসার মেয়াদ বাড়াতে চাইবেন, এবং সেটা কিভাবে করবেন? আপনার স্বদেশ সম্পর্কে বানোয়াট, মিথ্যা, নোঙ্গরা বক্তব্য দিয়ে আপনি সেই উন্নত দেশের মানুষ কে বোঝাবেন আমাদের বাংলাদেশে প্রতিটি দিন ঈদুল কতল, এখানে মেয়েদের কোন স্বাধীনতা নাই, একগাদা গ্যাস্ট্রিকের ট্যাবলেট খাওয়া স্বত্ত্বেও এখানে সেখানে আমরা বোম ফাটাই!
কি নোঙ্গরা সেই জীবন! কি ভয়ানক মিথ্যাচার! আমি উদাহরণ দিচ্ছি, তসলিমা নামের মহিলা দেশান্তর হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের নামে ভাল কিছু বলেছেন? যে দেশে তিনি এসাইলাম নিয়েছেন, সে দেশে গরু খাওয়া নিষিদ্ধ! যে জীবনে গরু খাওয়া নিষিদ্ধ, সে জীবন রেখে কি লাভ বলুন তো? কথাটা নেহায়েত চটুল বৈ মিথ্যে নয়! সেখানে স্রেফ মাংস খাওয়ার জন্য মানুষ খুন হয়! অথচ পৃথিবীর অন্যতম গো-মাংস রপ্তানী কারক দেশ হল ইন্ডিয়া! মাঙ্গস মানে জানেন? মায়ের অংশ!
আসিফ মহিউদ্দীন, অনন্য আজাদ, শাম্মী হক প্রভৃতি যতই স্বদেশপ্রেম এর কথা বলুক, বাণী দেক, আপনি নিশ্চিত থাকুন তারা মিথ্যাচার করছে, কারণ তারা সেখানে দেশের ব্যাপারে ইতিবাচক কথা বললে তাদের ভিসা কার্যকারিতা হারাবে! তারা যে করেই হোক ভিসার মেয়াদ বাড়াবে, এবং শুধুমাত্র এই কারণে তারা বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যে প্রোপাগান্ডা চালায়ে যাবে। আমি ধর্মে বিশ্বাসী মানুষ, আমার ধর্মে আছে, হুব্বুল ওয়াতান মূলক, স্বদেশ প্রেম ঈমানের অংগ। তারা একাধারে ইসলাম এবং বাংলাদেশ বিদ্বেষী, কারণ এই বিদ্বেষ তাদের জীবন ধারণের হাতিয়ার, তাদের পেট চালানোর অস্ত্র, এই শতাব্দীতে গোয়েবলস স্টাইলে এরা মিথ্যা বলার নজির তৈরি করেছে, এবং বেশ কিছু সরকারকে গিলিয়েও দিয়েছে!
এরা মানুষ নয়, এমিবা!
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মে, ২০১৬ ভোর ৬:৪৮