সামহোয়ারে প্রথম রেজিস্ট্রেশন করেছিলাম বছর দুই আগে। ব্রাত্য রাইসু আমাকে বাংলা ব্লগের এই ঠিকানাটি দিয়েছিলেন। কিন্তু তখনি লিখতে বসি নি। লিখতাম সচলায়তনে। সচলায়তনের পথ আমাকে দেখিয়েছিলেন ভাস্কর। সামহোয়ার অনেক বড় লাগত, মনে হত হারিয়ে যাবো জনারণ্যে! তাই পুকুরে জাহাজ ভাসিয়েই খুশি থাকতাম, আর বন্ধুদের ব্লগ পড়তাম সামহোয়ারে, সাগরে ভেলা ভাসাত এই নির্ভীকরা।
কালের চক্কর বড় সাংঘাতিক! সচলায়তন থেকে সরে এসে আমি আমার সামহোয়ারের পুরনো অ্যাকাউন্ট ঝেড়েমুছে আবার শুরু করলাম। এ যাত্রা আমার সারথী হলেন কৌশিক। সামহোয়ারে এসে পুরনো সচল-বান্ধবদের অনেককেই পেলাম। তারা যে সবাই আমায় সাদরে নিলেন এমন নয়। কিন্তু রাইসু আছেন, আছেন মাহবুব মোর্শেদ, কৌশিক এবং আরো অনেক পরিচিত মুখ। বিশাল বিশাল সব জাহাজ, তাদের পাশে আমার ছোট্ট ডিঙাখানা ভাসালাম আবার "বদর বদর" বলে।
ভেসে দেখলাম, বাহ! হারাচ্ছি না তো এই বদরগঞ্জের হাটে!! সামহোয়ার বিশাল গ্রাম, কিন্তু ছোট ছোট অনেক পাড়া আছে সেখানে। পাড়ায় পাড়ায় মাসুতুতো ভাই নয়, কিন্তু পাড়ার ভেতর পাড়াতুতো ভাই অনেক। আমি সামহোয়ারের নানান ছোট ছোট পাড়ায় ঘুরে বেড়াই। ছোট ছোট সমাজব্যবস্থা দেখি। দেখি তারা নিজেরা নিজেদের সমাজে কত ফূর্তি নিয়ে আছে। এক পাড়ার লোকের অন্য পাড়ায় খুব যাওয়া পড়ে না। কাঁঠালবাগানের লিটুর প্রিয় লেখক কাঁঠালবাগানের জিতু! পোস্টমডার্নিটি!
কিছু কিছু পাড়া আছে, বড়। এসব পাড়ায় আনপাড়ার লোকজন আসে, নানান ফন্দি নিয়ে। পাড়ায় পাড়ায় গ্যাঞ্জাম থাকে, লেঠেলবাজি চলে। আছে নানান রকমের অস্ত্র, নানান বর্ণের নিক। এই নিকসকল দিনরাতে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে বেড়ায়। পাড়া ছাড়িয়ে এমন কি গ্রামে গ্রামান্তরে, সামহোয়ার, আমারব্লগ, সচলায়তন, ফেসবুক.... আরো নানান ঠিকানায়। তাদের ঘোড়ার খুরের শব্দ শুনিয়ে শুনিয়ে ছোট ছোট পাড়ার শিশু ব্লগারদের ঘুম পাড়ায় ব্লগজননী।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০০৯ বিকাল ৩:৫৩