তোমাকে ইদানিং আমার পাতাবাহার বলে ডাকতে
ইচ্ছে করে। তুমিতো জানোনা, বিউটি পার্লারের কল্যানে
ক্রমশঃ গ্রীক হয়ে ওঠা তোমার বাঙ্গালি চুল দেখে মনে হয়
যেন সিসিলির নীল আকাশে আজ হঠাৎ কালবোশেখের
আনাগোনা । বেনারসের ধ্রুপদি শাড়ী আর বেলারুশের
পাদুকা মনে হয় শুধু তোমারি জন্য তৈরি। তোমার ফরাশি
সৌরভ যেন নিশ্চিত ভাঙ্গাবে ঋষির ধ্যান। তোমার কপালের
লাল টিপ বারবার আমায় সৈকতে সূ্র্যাস্ত দেখার কথা মনে
করিয়ে দেয়। তোমার দুই চোখ যেন দূর সমুদ্র থেকে ভেসে
আসা দুটি পাল তোলা জাহাজ, যারা ঝড়ের কবলে পড়েছে।
তোমাকে আর আমার নাম ধরে ডাকা হলোনা নন্দিনী;
ভাবছি এখন থেকে তোমাকে আমি পাতাবাহার নামেই
ডাকবো। আপত্তি কি-যুবতিকে তো আর খুকি ডাকছিনা
সুনীলের মত; রাক্ষসীকে তো আর দেবী ডাকছিনা
গনতন্ত্রের গহনা পরিয়ে; একটি নারীকে গাছের নামে
নামকরন করেছি। তাও আবার যেন তেন গাছ নয়
সুদৃশ্য যার পাতা। যেন তেন নারীও নয়-সুন্দরী নারী।
এমনি সুন্দর যারা যুগে যুগে কবিতার উপমা হয়।
যাদের কারনে রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়। গ্যালন গ্যালন
রক্তপাত হয়। এমনি সুন্দর যাকে দেখে ভরা পূর্ণিমার
বেপর্দা চাঁদ লজ্জায় মেঘের বোরকা পরে।
পাতাবাহার নামটা কি অদ্ভুত সুন্দর, তাইনা? তোমার
পছন্দ হয়েছে? ভয়ংকর সুন্দর নয় কিন্তু; শাদা-শান্ত
অতি সাধারন এই সুন্দর। দুঃখ করোনা নন্দিনী-
পাতাবাহার বলে আমি মোটেও তোমাকে খাটো করছিনা
কারন আমি জানি- তুমি মূলতঃ পাতাবাহারের আড়ালে
এক সুগন্ধি হা-স্না-হে-না।