বৈষম্য নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় এ যাবৎকালের অন্যতম বড় পর্যবেক্ষনে দেখা গিয়েছে হাসান, ঝিউ এবং লুইজের চেয়ে জেনিফার, এন্ড্রু এবং সারাহ নামের লোকেরা চাকুরিতে বেশী সুবিধা পাচ্ছে।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অর্থনীতিবিদরা তাদের ২ বছরের পর্যবেক্ষনের ফলাফল প্রকাশ করেছেন যেখানে তারা ৫০০০ এরও বেশী আ্যংলো, মধ্যপ্র্যচীয়, আদিবাসী, চায়নিজ এবং ইটালিয়ান বনাম ব্যবহার করা মিথ্যে জীবন তথ্য পাঠিয়েছিলেন। সিডনী, মেলবোর্ন এবং ব্রিসবেনের বিভিন্ন অনলাইন চাকুরির বিগ্যপ্তির প্রেক্ষিতে তারা এ সিভিগুলো পাঠিয়েছিলেন।
এই প্রতিবেদন দেখে গিয়েছে যে চায়নিজ ও মধ্যপ্রাচ্যীয় চাকুরি সন্ধান প্রার্থীরা সবচাইতে বেশী বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। অধ্যাপক এলিসন বুথ, অধ্যাপক এন্ড্রু লেই এবং গবেষক এলেনা ভারগানোভা লিখিত প্রতিবেদন "ক্ষুদ্রতর গোস্ঠীর মধ্যে জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক বৈষম্য আছে কি ? " অনুসারে একজন চায়নিজ চাকুরীপ্রার্থীকে শতকরা ৬৮ ভাগ বেশী আবেদন করতে হয় একজন আ্যংলো -স্যাক্সনের চেয়ে শুধুমাত্র সাক্ষাতকার পাবার জন্য।
মধ্যপ্রাচ্যীয়দের ক্ষেত্রে তা শতকরা ৬৪ ভাগ বেশী, আদিবাসীদের তা শতকরা ৩৫ এবং ইটালিয়ান চাকুরিপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শতকরা ১২ ভাগ বেশী আবেদন করতে হয়।
গতমাসে ছাপা ক্যানেবরা টাইমস এর খবরটি অপটু হাতে অনুবাদ করে দিলাম। বিস্তারিত পরে জানাবার চেস্টা করবো।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ২:৫৬