somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুক্তিযুদ্ধে ঠাকুরগাঁও, পর্ব ২.৩ (একটি কথ্য ইতিহাস)

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্র: পাকিস্তানি বাহিনীর ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের আক্রমণ সম্পর্কে আপনি কি জানেন ?
উ: আমি আগে থাকতাম মীরপুরে। বাসাটা ছিলো আমার স্ত্রীর এক চাচাতো ভাইয়ের। মার্চ মাসের শুরুতেই আমি বাসা পরিবর্তন করে শ্যামলিতে আসলাম। শ্যামলিতে এসেছিলাম সম্ভাব্য পাকিস্তানি আক্রমণের ভয়ে। এ সময়ই আমার পরিবারের সদস্যরা বিভক্ত হয়ে গেলো। লক্ষ্য ছিলো, যাতে একসঙ্গে সবাইকে মরতে না হয়। আমার শ্যালক ছিলো পি.আই.এ-য়ের ক্যাপ্টেন। এটা ওরই বাসা। তখন ঢাকায় এতো হাইরাইজ বিল্ডিং ছিলো না। শ্যামলিতে যে বাসায় আশ্রয় নিলাম সেখান থেকে পুরো ধানমন্ডি এলাকাটি দেখা যেতো। বিমানবন্দর এলাকাও দেখা যেতো। ২৫ তারিখ রাত ১১টা কিংবা তার কিছুক্ষণ পরই প্রথম আওয়াজ শুনতে পেলাম। ধুম করে শব্দ হলো। আওয়াজ পাওয়া মাত্র ঘর থেকে বেরিয়ে এসে বারান্দায় দাঁড়ালাম। ১২টার পর দেখলাম একটা গ্রীন রকেট সিগন্যাল ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকা থেকে আকাশের দিকে ছুঁড়ে দেয়া হলো। এটা কি কারণে দেয়া হলো সেটা সাধারণ লোকেরা না বুঝলেও আমি বুঝলাম। সামরিক ভাষায় এটা ওহফরপধঃব দেয়া হলো যে, মিশন সফল হয়েছে। আমি তখন বুঝতে পারলাম যে,হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করা হয়েছে অথবা তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আমার স্ত্রী তখন মিরপুরের পল্লবীতে। আর আমার ছেলে দু’জন ঠাকুরগাঁও-য়ের গ্রামের বাড়িতে আমার ছোট ভাইয়ের কাছে। আমি ১৪ মার্চ তারিখে ঠাকুরগাঁও গিয়ে তাদেরকে সেখানে রেখে ১৬ মার্চ তারিখে আবার ঢাকায় ফিরে আসি। ছেলেদেরকে রেখে আসলাম এই কারণে যে,যদি আমি কোনো কারণে মরে যাই তবে অন্তত: আমার ছেলেরা যেন বেঁচে থাকতে পারে। ২৫শে মার্চ তারিখে সারা রাত জেগে থেকে দেখলাম শহরের চারিদিকে কেবল ফ্ল্যাশের আলো। শাখারি পট্টি অর্থাৎ পুরনো ঢাকার দিক থেকেও গোলাগুলির শব্দ পাচ্ছিলাম। আমি তো সামরিক বাহিনীর লোক। তাই কিছুটা আন্দাজ করতে পারলাম। আমার মনে হলো,পাকিস্তান আর্মি রাজারবাগ পুলিশ লাইন, ইউনিভার্সিটি,শাখারি পট্টি,পিলখানা ইপিআর হেডকোয়ার্টার এবং ব্যারাকসহ আরো কয়েক জায়গায় আাক্রমণ করেছে। তাদের ফ্ল্যাশ এবং সিগন্যালে আমি শ্যামলিতে থেকেও সব আন্দাজ করতে পারছিলাম কোথায় কি ঘটছে। পাকিস্তানি বাহিনীর সারা রাতের সেই তান্ডবের মধ্য দিয়েই সকাল হলো।

২৬ তারিখেও এভাবে বন্ধ বাড়িতে থাকলাম। সারাদিন গোলাগুলি চললো চারিদিকে। এই সময়ের মধ্যে আমি কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি। ২৭ তারিখে দিনের বেলায় ২ ঘন্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা হলো। কারফিউ শিথিল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি আমার স্ত্রীকে মিরপুর থেকে নিয়ে এলাম। আমার স্ত্রীকে নিয়ে আসার পর পরই ঐ এলাকায় বিহারীরা প্রচন্ড হামলা চালায় এবং লুটতরাজ করে। বিহারীরা সেখানে বেশ কিছু বাঙালিকে হত্যা করে। আমার স্ত্রী যে বাসায় ছিলো সেই বাসার অপর এক পরিবার বিহারীদের হামলায় নিহত হয়। অবশ্য ২৫ মার্চের আগেই বিহারীরা বিভিন্ন জায়গায় দাঙ্গা লাগিয়ে দিয়েছিলো। ২৩ মার্চ সৈয়দপুরে বাঙালি-বিহারী দাঙ্গা হয়। এই ধারাবাহিকতায় ২৭ মার্চ তারিখে বিহারীরা মিরপুরে হত্যাকান্ড চালায়। আমার স্ত্রীকে আনার পরই আমি গাড়িতে পেট্রোল আনতে গেলাম। তারপর আমি দেখতে চাইলাম ঢাকায় কোথায় কোথায় পাকিস্তানি আর্মি আঘাত হেনেছে। প্রথমেই গেলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে। সেখানে গিয়ে দেখি বেশ কিছু মৃতদেহ তখনও পড়ে আছে। তারপর গেলাম রাজারবাগে। তখনও ওখান থেকে গুলির শব্দ আসছিলো। রাজারবাগ তখন জনশূন্য। ৫০ গজ দূরে দেখলাম পাকিস্তানি সৈন্য দাঁড়িয়ে আছে। মনে হলো পাঞ্জাবি সৈন্য। আমি কাছাকাছি যেতেই সে আমাকে বললো,ওয়াপস যাও। ঐখান থেকেই সে আমাকে ফিরিয়ে দিলো। আমি আর সামনে গেলাম না। এভাবে স্বল্প সময়ের মধ্যেই ঘুরে ফিরে দেখলাম পাকিস্তানিরা কি ধরনের কান্ডকীর্তি করেছে। তারপর আবার শ্যামলিতে ফিরে এলাম। ২৭ মার্চ রেডিওতে জিয়াউর রহমানের ঘোষণাটাও শুনলাম। এই ঘোষণায় একটা ইতিবাচক ফল পাওয়া গেলো। তখনো পর্যন্ত যারা মনস্হির করতে পারেনি তাদের জন্য ঘোষণাটা কাজে লেগেছিলো। এই ঘোষণা শুনে অনেককেই যুদ্ধে যোগ দিতে দেখলাম। বিশেষ করে পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর বাঙালি সদস্যদের ওপর এর একটা প্রভাব পড়েছিলো।

২৭ মার্চের পর ঢাকা শহর থেকে কিভাবে বাইরে চলে যাবো সেই ভাবনায় আমাকে তখন পেয়ে বসলো। আমি এবং আমার স্ত্রী কিভাবে ঢাকা থেকে বের হতে পারি,কোথায় যেতে পারি- এটা নিয়েই ভাবছিলাম। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিলাম ঢাকা থেকে নিজ এলাকা ঠাকুরগাঁও যাবো। ওখানে যারা আওয়ামী লীগের নেতা,আমি তাদের সবাইকে চিনি। এ ছাড়া সেখান থেকে ভারত সীমান্ত খুবই কাছাকাছি। সীমান্তের ওপারে আমাদের বেশ কিছু আত্মীয়ও ছিলো। তারা আমাকে চেনে। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই আমি ঠাকুরগাঁওয়ের দিকে যেতে চাইলাম। আমি ডিসাইড করলাম,যেভাবে হোক আমি প্রথম ঠাকুরগাঁওয়ে যাবো,তারপর সেখান থেকে ইন্ডিয়া যাবো এবং মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেবো। ইন্ডিয়ার সহযোগিতা আমাদের নিতে হবে। আদার ওয়াইজ ইট ইজ নট পসিবল।

৪ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত আমি ঢাকায় ছিলাম। এ সময় দুই রাতের বেশি এক বাসায় থাকিনি। শুধু মেজর খানপুরের বাসায় ছিলাম তিন রাত্রি। এর মধ্যে চেষ্টা করলাম ভগ্নিপতি গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ. কে. খন্দকারের খবর নেওয়ার। কিন্তু তাঁর খবর পেলাম না। পরে জানতে পারলাম তিনি ৩ এপ্রিল তারিখে ঢাকা থেকে বেরিয়ে গেছেন।

আমিও ৪ এপ্রিল তারিখে সস্ত্রীক ঢাকা ছেড়ে রওয়ানা হলাম। লক্ষ্য ঠাকুরগাঁও পৌঁছানো। আমার সঙ্গে আমার স্ত্রী এবং একজন কাজের লোক। আমাদের এক বন্ধু মিন্টু ভাই,তিনি মারা গেছেন,তার ভালো নাম কাজী রশীদ,তিনি আমাদের আরিচায় পৌঁছে দিয়ে আসলেন গাড়িতে করে। রাস্তায় দেখলাম বহু মানুষ হেঁটে যাচ্ছে। রাস্তায় কোনো যানবাহন নেই বললেই চলে। সকাল ৮টায় গিয়ে পৌঁছলাম আরিচায়। আরিচা ঘাটে দেখলাম কোনো ফেরি বা স্টিমার নেই। শুধু বড় বড় গয়নার নৌকা। এগুলিতে করেই অসংখ্য মানুষ নদী পার হচ্ছে। আমিও একটি নৌকায় উঠলাম। প্রায় ১০০ জন যাত্রী আছে নৌকাটিতে। সবাই ভীত সন্ত্রস্ত। নদীর ওপারে অর্থাৎ নগরবাড়ি ঘাটে গিয়ে পৌঁছলাম বিকেল বেলা। নগরবাড়ি পৌছে দেখি সেখানেও অসংখ্য মানুষ যারা প্রায় সবাই শহর থেকে এসেছে। ঢাকা থেকে নিরাপদ দরত্বে এসেও মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত। সকলেই গ্রামের দিকে পালাচ্ছে। আমরা ঘাটে নেমে ঘোরাঘুরি করছি,এমন সময় দেখলাম একটা ট্রাক। শুনলাম ট্রাকটি পাবনার বেড়া থানার দিকে যাচ্ছে। বেড়ায় আমার এক আত্মীয় আছে। ভাবলাম আপাতত: ওখানেই যাই। তখন ঐ ট্রাকে করেই আমরা বেড়ায় গেলাম। বেড়ায় পৌঁছে আমাদের সেই আত্মীয়ের বাসায় উঠলাম। আত্মীয় রাজা সাহেব ছিলেন আমার স্ত্রীর বড় বোনের স্বামী। তিনি পরে মারা গেছেন। আমি ঐ রাতটা বেড়ায় কাটালাম। পরদিন সকালে রওয়ানা দেবো,এমন সময় আমার মনে হলো,বাকি পথটা নিরাপদে পৌঁছতে পারি কিনা তার নিশ্চয়তা নেই। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম আমার স্ত্রীকে বেড়ায় রেখে যাবো।

স্ত্রীকে রেখে আমি একাই রওয়ানা হলাম। বেড়া থেকে কয়েক মাইল দূরে হলো বাঘাবাড়ি ঘাট। তখন ওখানে ব্রিজ ছিলো না। আমি বাঘাবাড়ি ঘাট পর্যন্ত গেলাম। বাঘাবাড়ি পৌঁছে মানসিক দ্বন্দ্বে আর সামনে এগুতে পারলাম না। আমি পুনরায় বেড়া-তে ফিরে এলাম। এবার আমার স্ত্রীকে সঙ্গে নিলাম। সিদ্ধান্ত নিলাম ভাগ্যে যা আছে তাই হবে,আমরা একত্রে যাবো। বেড়া থেকে বাঘাবাড়ি ঘাট পার হয়ে শেরপুরে পৌঁছলাম। বগুড়া থেকে ১৫/২০ মাইল দূর শেরপুরে পৌঁছলাম বিকেল বেলা। এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিলাম কখনো পায়ে হেঁটে,কখনো রিকসায় চড়ে আবার কখনো বা ট্রাকে করে। পথে কোথাও কোথাও ব্যারিকেড দেওয়া ছিলো। তখন পথে ঘাটে মানুষ খুবই সহযোগিতা করেছে। শেরপুরে দেখলাম ছাত্র লীগ এবং সংগ্রাম কমিটির স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছে। তাদের কাছে আমি আমার পরিচয় দিলাম। তারা আমাদের খুব সহযোগিতা করলো। খাওয়ার ব্যবস্হা করে সেখানকার পি.ডব্লিউ.ডি-র একটা রেস্ট হাউজে থাকার ব্যবস্হা করে দিলো।

রাতটা শেরপুর কাটিয়ে পরদিন সকালে রওয়ানা হয়ে বগুড়া পৌঁছলাম। বগুড়া পৌঁছে জানতে পারলাম যে,আওয়ামী লীগ সংগ্রাম কমিটি অফিস সার্কিট হাউজে। আমরা সংগ্রাম কমিটি অফিসে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখলাম এক ভদ্রলোক বসে আছেন। তাঁকে আমার পরিচয় দিয়ে তাঁর কাছে আমি ঠাকুরগাঁও যাওয়ার রাস্তা সম্পর্কে জানতে চাইলাম। তিনি বললেন,আপনি রংপুরে যেতে পারবেন না। আপনি পলাশবাড়ি পর্যন্ত যেতে পারেন। পলাশবাড়ির পর মেইন রাস্তা পাকিস্তানি আর্মি দখল করে রেখেছে। তাঁর সাথে কথা বলে বেরিয়ে আসতেই দেখতে পেলাম একটি ট্রাক যাচ্ছে পলাশবাড়ি। আমরা তখন ঐ ট্রাকে করে পলাশবাড়ি এলাম। পলাশবাড়িতেও আমার এক আত্মীয় ছিলো। ওখানে গিয়েই উঠলাম। সেখানেও জানতে পারলাম,রংপুর হয়ে ঠাকুরগাঁও যেতে পারবো না। তখন আমি সিদ্ধান্ত নিলাম পলাশবাড়ির বাম দিক দিয়ে ঘোড়াঘাট-ফুলবাড়ি হয়ে দিনাজপুর পৌঁছাবো। রাতটা পলাশবাড়িতেই কাটালাম। পরদিন সকালে দু’টো রিকশা করে দিনাজপুর রওয়ানা হলাম। এখনো মনে আছে রিকসা ভাড়া নিয়েছিলো ৪৫ টাকা। পথিমধ্যে আমরা একটা বিপদে পড়লাম। তখন কারো গায়ের রং ফর্সা দেখলেই লোকজন বলতো এরা পাকিস্তানি। আমরা রিকশা করে যাচ্ছি হঠাৎ দেখি রাস্তার ওপর এক ইপিআর জওয়ান। ইপিআর বাহিনী তখন পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে পড়েছে। রাস্তায় সেই ইপিআর জওয়ান আমাকে থামালো। তার কাছে আমি আমার পরিচয় দিলাম। কিন্তু কাজ হলো না। সে আমাদেরকে গ্রামের একটু ভেতরে নিয়ে গেলো। গ্রামের ভিতরে যাওয়ার পর আমার কাছে অবস্হা খুব খারাপ বলে মনে হলো। তখন আমি আমার চাচার পরিচয় দিলাম। চাচা ছিলেন বৃটিশ ভারতের লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের সদস্য। দিনাজপুরে তিনি খুবই পরিচিত ছিলেন। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হলো না। সে আমার কোনো কথা বিশ্বাস করলো না। এমন সময় এক ভদ্রলোক সেই পথ দিয়ে রিকশা করে যাচ্ছিলো। সে আমাদেরকে দেখে থামলো। এই স্হানটি হলো ঘোড়াঘাট পার হয়ে ফুলবাড়ির দিকে। জায়গাটার নাম জানি না। ভদ্রলোক আমার পরিচয় জানতে চাইলো। আমি পরিচয় দিলাম। চাচার কথাও বললাম। তিনি আমার চাচাকে চিনতে পারলেন এবং ঐ ইপিআর জোয়ানকে বললো যে,এরা বাঙালি,এদেরকে ছেড়ে দিন। তখন সে আমাদেরকে ছেড়ে দিলো। আমরা আবার রিকসা করে রওয়ানা দিলাম। ফুলবাড়ি গিয়ে পৌছলাম সন্ধ্যে বেলায়। ফুলবাড়িতে একটা ছোট বাড়িতে আমাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্হা হলো। পরদিন খুব সকালে আমরা রিকশা করে দিনাজপুরের উদ্দেশে রওয়ানা দিলাম। ফুলবাড়ি থেকে দিনাজপুরের দূরত্ব প্রায় ৩০ মাইল। সকালে রওয়ানা হয়ে বেলা ১১টার দিকে দিনাজপুর পৌঁছলাম। সেদিন ছিলো ৮ এপ্রিল ১৯৭১।

আমরা ঢাকা থেকে রওনা হয়েছিলাম ৪ এপ্রিল সকাল বেলা। ৪ দিন এবং ৫ রাতে আমরা দিনাজপুর পৌঁছলাম। দিনাজপুরে এসে আর এক সমস্যা দেখা দিলো। ঘোড়াঘাট এলাকা থেকে আমরা যে রিকশা নিয়ে এসেছিলাম তারা বললো,তারা আর সামনে যাবে না। তারা আমাদেরকে অন্য রিকশা ঠিক করতে বললো। তখন আমরা বাধ্য হয়েই রিকশা থেকে নেমে পড়লাম।

চলবে........
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:০৮
৬টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×