১/
وعن أبي هريرة رضي اللَّهُ عنه عن النبي صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وسَلَّم قال : « لَوْ كُنْتُ آمِراً أحَداً أَنْ يسْجُدَ لأَحدٍ لأَمَرْتُ المرْأَة أَنْ تَسْجُدَ لِزَوْجِهَا » . رواه الترمذي وقال : حديث حسن صحيح.
হযরত আবু হুরাইরা (আঃ) সাক্ষ্য দেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন
আমি যদি কোন ব্যক্তিকে অন্য ব্যক্তিকে সিজদা করতে নির্দেশ দিতাম তবে স্ত্রীকে নির্দেশ দিতাম তার স্বামীকে সিজদা করতে (সহিহ তিরমীযী)
২/
وعن أبي هريرة رضي اللَّه عنه قال : قال رسول اللَّه صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وسَلَّم : « إِذَا دعَا الرَّجُلُ امْرأَتَهُ إِلَى فِرَاشِهِ فلَمْ تَأْتِهِ فَبَات غَضْبانَ عَلَيْهَا لَعَنتهَا الملائكَةُ حَتَّى تُصْبحَ» متفقٌ عليه .
وفي روايةٍ قال رسولُ اللَّه صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وسَلَّم : «والَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ مَا مِن رَجُلٍ يَدْعُو امْرَأَتَهُ إِلَى فِرَاشِهِ فَتَأْبَى عَلَيْهِ إِلاَّ كَانَ الَّذي في السَّماءِ سَاخِطاً عَلَيْهَا حَتَّى يَرْضَى عَنْها » .
হযরত আবু হুরাইরা (আঃ) সাক্ষ্য দেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন
যখন কোন লোক তার স্ত্রীকে বিছানায় ডাকে কিন্তু সে আসে না, ফলে স্বামী তার প্রতি অসন্তুষ্ট অবস্থায় রাত কাটায়, ফেরেশতাগণ তাকে সকাল হওয়া পর্যন্ত অভিশাপ দিতে থাকে.
অপর বর্ণনায় আছে, সেই সত্তার শপথ, যার হাতে আমার জীবন! কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তার বিছানায় ডাকে আর সে তা অস্বীকার করে, এ অবস্থায় তার স্বামী খুশী না হওয়া পর্যন্ত যিনি আসমানে আছেন তিনি তার প্রতি অসন্তুষ্ট থাকেন. (সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিম)
৩.
وعن ابن عمرَ رضي اللَّهُ عنهما عن النبي صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وسَلَّم قال : « كُلُّكُمْ راعٍ، وكُلُّكُمْ مسئولٌ عنْ رعِيَّتِهِ ، والأَمِيرُ رَاعٍ ، والرَّجُلُ راعٍ علَى أَهْلِ بَيْتِهِ ، والمرْأَةُ راعِيةٌ على بيْتِ زَوْجِها وولَدِهِ ، فَكُلُّكُمْ راعٍ ، وكُلُّكُمْ مسئولٌ عنْ رعِيَّتِهِ » متفقٌ عليه .
হযরত ইবনে উমার সাক্ষ্য দেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন
তোমাদের প্রত্যেকেই পাহারাদার ও রক্ষক এবং তোমাদের প্রত্যেকেই তার রক্ষণাবেক্ষন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে. শাসক একজন রক্ষক, পুরুষ তার পরিবারের রক্ষক, স্ত্রী তার স্বামীর ঘরের এবং সন্তানের রক্ষণাবেক্ষনকারী। কাজেই তোমাদের প্রত্যেকেই পাহারাদার এবং তোমাদের প্রত্যেকেই তা পাহারাদারি সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে. (সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিম)
উপরের হাদিস থেকে বোঝা যায় স্ত্রীর জীবনে স্বামীর গুরুত্ব কতখানি। স্বামীর প্রতি স্ত্রীর অসংখ্য দায়িত্বের মধ্যে নিম্নের গুলো উল্লেখযোগ্যঃ
১. স্বামীর সংসার সংরক্ষণ করা
২. সতীত্ব হেফাজত করা
৩. ক্রুদ্ধতা ও হঠকারিতা পরিহার করা
৪. হাসিমুখে স্বামীকে অভিনন্দন জানানো
৫. স্বামীর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা
৬. যাবতীয় যৌন চাহিদা পূর্ণ করা
৭. ইবাদত পালনে পারস্পারিক সহযোগিতা
৮. স্বামীর সন্তুষ্ঠি অর্জনের চেষ্টা করা
৯. স্বামীর আনুগত্য করা
১০. স্বামীর শাসন মেনে নেয়া