অনেকদিন ব্লগে নিয়মিত নই। কিন্তু নিজের ব্লগ বাড়িতে বসে কোন এক একলা বিকেলে অথবা গভীর রাতে কখনো যে বসিনা তা কিন্তু নয়। সেই ১১ বছর ১১ মাস আগে শুরু করেছিলাম ব্লগ লেখা।আমি যখন ব্লগ লিখতাম,আমার ছোট ছেলে রাইয়ান তখন একদম ছোট। কম্পিউটার এ গেইম খেলার জন্য পাশে বসে থাকতো। এখনো ব্লগ এ বসলেই ওর স্মৃতিতেও ভেসে ওঠে মায়ের ব্যস্ততায় ব্লগের সেইসব ঝলমলে দিন। বলে মা আর লেখোনা?
তখন তো ফোনে নেট ছিলোনা। বাইরে গেলে ,ঘরে ফিরেই লগইন করতাম। লেখা দেবার পর কমেন্ট আর কমেন্টের উত্তর দেয়া। অজস্র ভালো লেখা পড়তাম এখানেই। আর তাই আজ যখন জানলাম,সবাই ব্লগে লগইন করতে পারছে, কি ভালো যে লাগলো। নিজের বাড়ির সামনে ঘুরঘুর করছি। বাড়িতে ঢুকতে পারছিনা। এটা যে কি কষ্টের।
আমার তোলা কিছু ছবি দিয়ে সেই আনন্দে অংশ নিলাম। এখন পাতার রঙ বদলাচ্ছে। কয়েকদিন পর সব পাতা ঝরে যাবে।
শুরু হবে শীত।
আজকের দিনে ব্লগে আসা এ যেনো স্বপ্নলোকের চাবি পাওয়া।
হ্যাপি ব্লগিং। সবাইকে শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা।
যতবার যাই............এই গুড়ির ট্রেনের উপর বসি আর কিছু গল্প নিয়ে আসি মাথায়।
মনেহয় ছোটবেলার বন্ধুদের পাশে বসিয়ে ধুম আড্ডাদেই আর গড়াগড়ি খাই ঘাসের উপর। পাতার উপর।
এই রঙ মনেহয় তুলিতে আঁকা
হেমন্তের ঝড়ে আমি ঝরিব যখন,
পথের পাতার মতন তুমিও তখন
আমার বুকের প’রে শুয়ে রবে?
অনেক ঘুমের ঘোরে ভরিবে কি মন সেদিন তোমার!
তোমার আকাশ- আলো -জীবনের ধার
ক্ষয়ে যাবে সেদিন সকল?
আমার বুকের ‘পরে সেই রাতে জমেছে যে শিশিরের জল,
তুমিও কি চেয়েছিলে শুধু তাই!
শুধু তার স্বাদ
তোমারে কি শান্তি দেবে!
আমি চলে যাব, তবু জীবন অগাধ
তোমারে রাখিবে ধরে সেইদিন পৃথিবীর ‘পরে
আমার সকল গান তবুও তোমারে লক্ষ্য ক’রে!........
নির্জন স্বাক্ষর কবিতার অংশ
____জীবনানন্দ দাশ
মনেহলো তুলিতে আঁকা ছবি
পার্কের মধ্যে কাঠ বিছানো পথ দূরে মাঠে নেমে গেছে
মনেহয় গাছে আগুনের রং
এই গাছটা কদিনের মধ্যেই পাতাশূন্য হয়ে যাবে............
তবু শুনিয়েছে পাতা ঝরার গান।
শুনিয়েছে শীতের আগমনীর গান.........
আমি আমার মনটাকে বিছিয়ে রাখি পাতাদের সাথে,
যদি কিছু গান ওদের শিখে রাখে!
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:০২