আমি ডাক শুনি কবিতার মতো সেই শান্ত নদীটার
আমি ডাক শুনি শিউলী তলার সকালের
আমি ডাক শুনি ঐ আম বাগানের ঝড়ের
আমি ডাক শুনি টিনের চালে
ঝরো ঝরো বৃষ্টির তালে
বাদল দিনের কান্নার।
মন আমার তাই বার বার
ছুটে ছুটে যায়
পিছু ডাকা পথের ধার।
পিছঢালা সেই পথ নয়
কারও নক্শা আঁকা ফুল নয়
সবুজ দুর্বা ঘাসের বুকে ঘাস-ফড়িংয়ের মিতালীতে
ফুটে থাকা ফুলের সাজে সরু আইলের দু'ধার।
আজও তার হাতছানিতে
মনজুড়ে বর্ষা নামে বার বার
আমি ছুটে যাই সেথায়
আমার শৈশবের খেলাঘর যেথায়।
ঘুমভাঙা সকালে কিংবা
স্নিগ্ধ কোন বিকেলে
আজও আমি দেখি বার বার
আমার খেলার সাথীরা জমেছে আবার।
সেই বাঁশঝাড়তলা, পুকুর পাড়
কিংবা উঠোন কোণে চড়ুইভাতির মেলা
মায়ের বকুনি খাওয়া সেই মুখর দুপুর
কবিতা হয়ে আজও আমায় করে বিভোর।
আমি ডাক শুনি নুপুর পায়ে
ঘাগড়া পরা এক কিশোরীর
আমি কান পাতি ধান সবুজের মাঠে
উদাস করা রাখালিয়া বাঁশীতে
আমি হারিয়ে যাই বার বার
বাড়ির পাশে ছোট্ট নদীর বাঁকে
মাঝি-মল্লারের কন্ঠে ভাটিয়ালী গানে।
আমি ডাক শুনি কবিতার মতো সেই শান্ত নদীটার।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:০৮