পৃথিবীর সবচেয়ে নির্বাসিত স্থানসমূহের অন্যতম এটি। তিব্বত অঞ্চলে অবস্থিত।
আশেপাশের যে কোন শহর থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। অনুপযোগী ভূমির কারণে অন্য যে কোন শহরের সাথে সড়ক যোগাযোযেগর চেষ্টা সফল হয়নি।
এই শহরে যাবার একমাত্র উপায় হচ্ছে ট্রেকিং করে হিমালয় পার হয়ে বরফাচ্ছন্ন পথ অতিক্রম করা। তবে এই উপায়টি খুবই বিপজ্জনক।
২) MC Murdo Station -
এন্টার্কটিকার উত্তর দিকে পৃথিবীর মানচিত্রের সর্বনিম্নে অবস্থিত।
এখানে স্থায়ীভাবে কোন মানুষের বসতি নেই। তবে বিভিন্ন সময় বিজ্ঞানী ও গবেষকরা গবেষণার প্রয়োজনে এখানে সাময়িকভাবে অবস্থান করে।
এটি গবেষণার জন্য অত্যন্ত উপযোগী ও প্রিয় একটি শহর। ১২০০ বৈজ্ঞানিক এই শহরটি নিয়ে গবেষণা করছেন বলে অনুমান করা হয়। আশেপাশের অঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও এখানে ছোট ছোট বিমান অবতরণের জন্য তিনটি ষ্টেশন রয়েছে।
৩) Ittoqqortoormiit, Greenland -
নামটি উচ্চারণ করা কঠিন হলেও এখানে ৫০০ লোকের বসতি রয়েছে। গ্রীণল্যান্ডের পূর্বদিকে এবং আইসল্যান্ডের সোজা উত্তরদিকে শহরটি অবস্থিত।
আমরা জানি যে, গ্রীণল্যান্ড সারা বছর বরফে ঢাকা থাকে। তাই এই শহরের চারপাশের পানি সারা বছর জমে বরফ হয়ে থাকে। তাই জলপথে এই শহরে প্রবেশ করা অসম্ভব।
একমাত্র বিমান ষ্টেশনে কদাচিত বিমান উঠানামা করে। শিকার এবং মাছধরা হচ্ছে এখানকার অধিবাসীদের জীবিকা নির্বাহের প্রধান উপায়।
৪)Angel Inlet, USA -
শহরটিতে মাত্র ১৫০ জন লোকের বাস। একটিমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
শীতকালে শিক্ষার্থীরা বরফের উপর দিয়ে হেঁটে এবং গ্রীস্মকালে নৌকায় করে স্কুলে যায়।
জনগণের জীবিকা নির্বাহের প্রধান উপায় হচ্ছে মাছ ধরা।
৫)Hornstrandir, Iceland -
শহরটি ভৌগলিক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক দিয়ে অতুলনীয়। তথাপি ৬০ বিছর ধরে দেশটি জনমানবশূণ্য।
১৯৭৫ সাল থেকে দেশটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সুরক্ষার রক্ষাকবচ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।
যদিও এখানে মানুষের কোন বসতি নেই তথাপি বিভিন্ন প্রজাতির পাখিসহ নানা জাতের জীব-জন্তুর অস্তিত্ব রয়েছে এখানে।
তাছাড়া পুরানো দিনের বসতির কিছু কিছু নিদর্শনও রয়েছে এখানে। পায়ে হেঁটে কিংবা নৌকা ছাড়া এখানে যাবার অন্য কোন উপায় নেই।