মাগো তোমার কথা খুব মনে পড়ে
বার বার দেখতে ইচ্ছে করে তোমার মুখটি।
গাছের পাতার ঝিরিঝিরি বাতাসে
সূর্য উঠার কালে
তোমার মুখটি জেগে উঠে মা
আমার মনের গভীরে।
হলুদ রোদের আলোকিত মুহূর্তে
চন্দ্রালোকিত কোন প্রহরে
কিংবা ঝি ঝি পোকার সুরেলা গানে
তোমাকে আমি খোঁজে পাই মা
বুকের গভীর নিশ্বাসে।
লম্বা ঝুল বারান্দার পশ্চিম কোণটাতে
কবুতর পরিবারের কাঠের ঘরের নীচে
তোমার শেষ সময়ের সাথী হুইল চেয়ারে
তুমি যেন হঠাৎ এসে বসো মা।
ক্ষীণ গলায় ডেকে বলো
একটু পানি দে।
পানির গ্লাস হাতে
দৌড়ে বারান্দায় যাই আমি
কিন্তু কোথাও তুমি নেই।
সব ফাঁকা!
চারপাশের শূণ্যতা থেকে ভেসে আসে
হৃদয়ভাঙা কান্নার আওয়াজ।
তবু আমি চীৎকার করে কাঁদিনা মা
অপেক্ষায় থাকি শুধু
আবার কবে আসবে তুমি?
জানো মা, তোমার জন্য আমার এই
অপেক্ষার প্রহরগুলোতে
তোমাকে আমি দেখতে পাইনা ঠিকই
কিন্তু তোমার শরীরের গন্ধ
আমার চারপাশটাকে আচ্ছন্ন করে রাখে।
মাগো, তোমাকে খুঁজতে খুঁজতে
আমি হারিয়ে যাই
পাতা ঝরার খেলায়
বহুদূর থেকে ছুটে আসা বাতাসের শন শন শব্দে
বাঁশঝাড়ে, শৈশবের খেলাঘরে
সবখানে তুমি জড়িয়ে আছো আমার সাথে।
কি করে তোমায় ভুলি
বলো মা!