ব্লগার থাবা বাবার উল্টা পাল্টা লেখায় ইসলাম বিপন্ন হয়ে যাওয়ায় আজকে বিভিন্ন ইসলামী দল যেই খেলা দেখাল তাতে আমি যারপরনাই আনন্দিত। যাক বাংলায় তাহলে এখনও ইসলাম প্রেমী মানুষ টিকে আছে !!!!
শহীদ মিনার ভাঙ্গা অনৈসলামিক কিছু না, কারন একটা পাথরের বেদিতে ফুল দেয়া তো বেদায়তি ব্যাপার!!!
জাতীয় পতাকা ছেড়া ও অনৈসলামিক কিছু না- পতাকার মত জড় বস্তু নিয়া মাতামাতি কর এইটাই তো ভুল কাজ!!!
মসজিদের ভিতর থেকে ককটেল ফাটানো ও অপরাধের কিছু না, হক ও বাতিলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মসজিদই হবে লড়াইয়ের কেন্দ্র।
কিন্তু কথা হইলো থাবা বাবা তো আজকে এই লেখা লেখে নাই, লিখছে ২/৩ বছর আগে থেকে। তখন ইসলাম বিপন্ন হইলো না, কিন্তু জামাতরে নিষিদ্ধ করার দাবির লগে লগে "ইসলামী সমমনা দল" গুলোর ঈমানী জোর হঠাৎ আসমান ফাইরা নাইমা আসলো !!!
সেটা ও মাইনা নিলাম, আমাগো গণ্ডারের চামড়া, থাবা বাবার ব্লগ পইড়া তার অর্থ বাইর করতে ৩ বছর লাগছে।
গণজাগরণের মঞ্চ ভাঙ্গার কারনটা বুঝতে পারি নাই এখনো, আরো কিছুক্ষণ সময় লাগবে।
অপ্রাসঙ্গিকঃ
১.আজকে ও একটা জিনিস দেখলাম, মিছিল গুলা থেকে যখন সাংবাদিক মারল, তখন অন্য সাংবাদিকরা তাগোরে সাহায্য না কইরা ফটোক তুলতে লাগলো, জয়তু ফটোগ্রাফি
২.এত খরচ কইরা "পেপার স্প্রে" কিননা আনলো, তার ব্যবহার আজকেও দেখলাম না। নাকি সেইটা কেবলমাত্র বেসরকারি প্রাইমারি শিক্ষকদের উপর ব্যবহার করা যায়??!! এই ধরনের উগ্র মিছিল আটকানোর জন্য "জল কামান" ব্যবহার সারা বিশ্বেই করা হয়, সেটা কি আমাগো পুলিশ বিভাগ ব্যবহার করতে জানে?
৩.বাংলাদেশের যত নাস্তিক আছে তারা আজকে খুশি, অবশেষে তাদের পরিশ্রমের ফল পাইল, সামান্য ২/১ টা পোস্ট লেইখা ইসলামী জনতারে মাঠে নামাইল
আরো অপ্রাসঙ্গিকঃ
দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ, ইসলাম শান্তির ধর্ম। এইসব বুলি কপচাইয়া জামাতা শিবিরের দোষ ধইরা লাভ নাই। সমস্যা আমাগো, আমরা জাতিগত ভাবে ধর্মান্ধ। গত কয়েকদিনে দেখলাম থাবা বাবার পোস্ট নিয়ে অনেক আন্দোলনকারীই ইনি মিনি করতেছে, এইসব বাদ দেন। থাবা বাবা যা খুশি লিখছে, লিখুক। তার সাফাই গাইতে হবে কেন?
অন্য দেশের কথা বলতে পারি না, তবে বাংলাদেশে নাস্তিক আর জামাতের মধ্যে কোন তফাৎ নাই। ২ দলই অন্যের উপর নিজের মতবাদ প্রকাশ কইরতে ব্যস্ত। নাস্তিক বইলা আরেকজন ধর্ম নিয়া যেমন টানাটানির কিছু নাই, তেমনি ধর্মরে অন্যরে মানানোর ও কিছু নাই।এই সাধারণ কথা এই তালগাছ পন্থীরা বুঝতে চায় না। দুইটার মধ্যে তফাৎ একখানেই, নাস্তিকরে বেইল না দিলে ও আমার চলে, সে আমার কানের কাছে প্যানপ্যান করতে পারে না কিন্তু ধর্ম ব্যবসায়ীরা তো আমার ঘরের ভিতরে ও হাজির হয়।
তাইলে জামাত/সমমনা ১২ দল এত বেইল পায় কেমনে?এর পিছনে আমরা দায়ী। আমাগো দেশে অধিকাংশ মুসলমান তার মুসলমানত্ব যাহির করে অন্যের উপরে। নিজে নামাজ পড়ি বা না পড়ি, অন্যে নামাজ না পড়লে সে খারাপ। নিজে ঘুষ খাই দুই বেলা, অন্যে আমারে সালাম না দিলে সে বেয়াদপ। নিজে আমল মানি না একটা ও, অন্যের মাইয়া ঘোমটা দিল না কে বইলা সালিস ডাকি। এইসব আজাইরা মুসলমানের জন্য নিজের মুসলমানত্ব প্রকাশের একমাত্র উপায় অন্যের ঘাড় ভাঙ্গা। সেইখানে কোনখানের এক বলগার ইসলামের কুৎসা রটাইসে আর ঈমানের পরমান দিমু না, এইটা হয়!!!!
ইসলাম কি এতই সস্তা হইছে যে একজন ব্লগার কি বললো আর সাথে সাথে ইসলাম বিপন্ন হয়ে গেলো।
অন্যদিকে বিএনপির মওদুদ কইলো, শাহবাগের আন্দোলন সর্বজনীন ছিল না, তাই ব্যর্থ হইছে।
সর্বজনীন হইতে হইলে সম্ভবত শিবিররেও আন্দোলনে শরিক করা দরকার ছিল !!!
কি পরিমাণ বেহায়া হইলে এই ধরনের কথা বলা যায় তা বুঝতেছি না, কে জানে আমারও হয়ত বুঝতে ৩ বছর সময় লাগবে............