ছোটবেলা থেকেই আমার বেশি ঘুমানোর অভ্যাস। তখন সেটা কে আমার গুন হিসেবেই দেখা হইত
এখনো আমাদের ফ্যামিলিতে শান্তশিস্ট বাচ্চাগুলোকে আমার সাথে তুলনা করা হয় আর যেকোন দুস্ট বাচ্চাকে আমার কোলে দেয়া হয় ঘুম পাড়ানোর জন্য, আমার কাছে আসলেই নাকি বাচ্চারা ঘুমায় পরে। আমি বলি আমি নিস্পাপ তাই ব্যাপারটা ঘটে কিন্তু আপু বলে আমি নাকি জীবনে এত ঘুম দিছি আমার আশেপাশে নাকি ঘুমের একটা বলয় তৈরি হইছে, যে আসে সেই নাকি ঘুমিয়ে পরে কিন্তু পরীক্ষার হলে এর কোন প্রমান পাইলাম না
কিন্তু বয়স যত বাড়তে থাকলো আমার ঘুম ও কিন্তু বাড়তে থাকলো, আমি রাতে খেতে ঘুমিয়ে পড়ি, বই পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়ি, আর রাত ১০টার পর তো আমাকে জাগিয়ে রাখা অসম্ভব। বাচ্চাকালে কখনো ঈদের নাটক পুরা দেখতে পারলাম না এই ঘুমের যন্ত্রণায়। ঈদের নাটকরে টেনে ১০টার খবরের পর নেয়া হত, আর আমি তো রাত ১০টার সময়ই কাত
আমার সবচেয়ে বেশি কস্ট শুরু হলো ৫ম শ্রেণীতে উঠে। বৃত্তির কোচিং এর জন্য আমারে ৬:৩০টায় উঠা লাগত।ক্ষোভে দু:খে বৃত্তি না দেয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলছিলাম
এরি মধ্যে আবার পেপারে দেখলাম, যে সুস্থ থাকার জন্য দৈনিক ৮ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন,আমারে আর পায় কে? রাতে ৮, সকালে স্কুলে ১ আর দুপুরে ২/৩ঘন্টা ঘুমানোর অযুহাত আর কে ছাড়ে।বেচারা কলাম লেখক মনে হয় না জীবনে এত বদদোয়া পেয়েছেন, আমার আব্বু আর আম্মু তারে এই কলামটার জন্য যতগুলা বদদোয়া দিছেন
সবচেয়ে বড় কেলেংকারী বাধায় ফেলছিলাম এসএসসি পরীক্ষার সময়। রাতে তাড়াতাড়ি শুলাম পরেরদিন সকালে তাড়াতাড়ি উঠে বাংলা ২য় পত্র এর নৈর্বক্তিক পড়ার জন্য। সকাল ৫টায় তুলে দেয়া হল, আমি চোখ কচলাতে কচলাতে আবার ঘুম দিলাম, উঠলাম ৮টায়!!
অবশেষে ভার্সিটি লাইফ। ৪বছরে এখন পর্যন্ত সকালের ক্লাস কয়টা করছি, গোনার আগেই আমার ফ্রেন্ডরা বলে দিতে পারবে
আর এখন আশায় আছি, পড়াশোনা শেষে একটা সরকারী চাকরি যোগার করার........
কারন নিশ্চয় বলা লাগবে না
হ্যাপী স্লিপিং
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:২১