*******************
***************************
নজরুল অর্থ কি / মুক্তির কাণ্ডারি । ভাবতে অবাক লাগে ইসলাম
কে তিনি বাংলাভাষি সাহিত্য প্রতিভায় একাই সমৃদ্ধি করেছেন ।
তার অসংখ্য ইসলামী গান , গজল , কবিতা ও রচনায় , বিশ্ব সাহিত্যর রত্ন বিশেষ । যা মানুষের
কল্যান ও মুক্তির পথ পাথেয় । আমি তার বিদ্রোহী কবিতার একজন গবেষক দার্শনিক / না কোন ডক্টরেড উপাধি লাভ করিনাই , তবে তার গভিরতা কতটুকু তাত্ত্বিক সামান্য উপমা
দেব । দ্যুলোক ভূলোক গোলোক ভেদিয়া
খোদার আরশ আসন ছেদিয়া ;;;;;;;;; কথাটি যথার্থ ।
হাদিস শরিফথেকে
আয়াত খুলুবিল মুমিনিনা আরশুল্লাহ অর্থ মুমিনের কলবে
আল্লাহর সিংহাসন । নিশ্চয় কবি একজন আল্লাহর মুমিন বান্ধা ছিলেন ।
কোরআনের আয়াত
আলা আউলিয়াল্লাহু লা খাওফুন অয়াআলা ইয়াহযানুন অর্থ নিশ্চয় আমার বন্ধুগনের ভয় নাই দুনিয়া ও আখেরাতে । নজরুল ইসলাম তার বিদ্রোহী কবিতা
যে ভাবে বর্ণনা করেছেন যে সয়ং বিধাতাই তার নিজ ভাষায় ব্যক্ত
করেছেন ।যেমন আমি অমর অজর অক্ষয়
আমি মানব দানব দেবতার ভয় । একমাত্র অমর অক্ষয় আল্লাহ
ছাড়া আর কেউ নয় ।
দর্শন
কবি মাওলানা রুমি তার বিখ্যাত
কাব্য মসনবি শরিফে উল্লেখ করেছেন
এক যামানা ছহবত বা আউলিয়া /
ব্যাহতরে বে ছাল ছালে তাত বেরিয়া
অর্থ মুহুরথ সময় আউলিয়া কেরামের সান্নিধ্য থাকা শত বছরের এবাদতের সমান । নিশ্চয় নজরুল বড় বুজুর্গ বা অলি ছিলেন । মহা বিদ্রোহী রন ক্লান্ত
আমি সেই দিন হব শান্ত
যবে উৎপীড়নের .ক্রন্ধন রোল
আকাশে বাতাসে ধবনিবেনা ।
আসলে দর্শনে কথাটি এমন দেহের মৃত্যু হয় কিন্তু আত্তার মৃত্যু
নেই । পরিশেষে তার ধুমকেতু কবিতাটির চরন এমন
আমি যুগে যুগে আসি আসিয়াছি পুনঃ মহা বিপ্লবি হেতু
ঐ স্রষ্টার শনি মহাকাল ধুমকেতু ।
বিজ্ঞান ধুমকেতু নামে একটি
গ্যাসীয় প্রকাণ্ড গ্যাসিয় বলয় ৮৩ বছর অন্তর অন্তর একবার
পৃথিবী পদক্ষিন করে । আরেকটি কবিতার পংতি এমন
বিশ্ব জগত দেখব আমি
আপন হাতেমুটুঁয় পুড়ে ।
আসলে মিথ্যার
লেশ মাত্র নেই ।
প্রমান আধুনিক মুটুঁ ফোন ,লেফটপ প্রভৃতি তিনি আমাদের জাতীয় কবি । শুধু দুঃখ একটাই আজও কবির স্মৃতি
বিরজিত কাজীর সিমলা স্কুল ও ত্রিশাল নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় আজও উন্নয়নের ছোঁয়া পায়নি ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কবিকে সম্মান সুচক ডি লিট ডিগ্রী উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন ।এস সবে মিলে জাতীয় কবির মর্যাদা কে হ্রদয়ে লালন করি গভীর শ্রদ্ধায় ।
নজরুলের ধুমকেতু কবিতার অংশ
*******************************
আমি যুগে যুগে আসি আসিয়াছি পুন বিপ্লবী হেতু
ঐ স্রস্টার শনি মহা কাল নাগ ধুমকেতু ।
সে যা সৃষ্টি করে গেল কাব্য কথায়
তা ইতিহাসে কিয়ামত পর্যন্ত জিবন্ত থাকবে নানা শিক্ষার্থীদের চেতনায় ।
তাই কবি তাদের মাধ্যমেই তো যুগে যুগে আসে
আর শনি একটি গ্রহ যার নিকটে সূর্যের তাপ অগ্নিগোলক হয়ে
চিরদিন ভস্ম হয় শনি অগ্নিলাভায়
তাই কবি বলেছেন শনির মতই গ্যাসীয় ধুমকেতু যেভাবে ছুটে
বেড়ায় মহাশুন্য সেভাবেই কবির পদার্পণ ।
তার রচিত ইসলামী সংগীত ইসলামের উজ্জলতা বহুলাংশে
বৃদ্ধি করেছে ।
যেমন তৌহীদেরও মুর্শিদ আমার মুহাম্মাদের নাম
যে নাম হয় সয়ং খোদায়ী কালাম ।
মুর্শিদ অর্থ সত্য পথ চেনানো অয়ালা ।
ঈদের থিম সঙ্গীত বিশ্ব ব্যপি শুনি আনন্দ জলসায়
রমজানেরই রোযার শেষে এল খুশির ঈদ .........
রন সংগীত যা এখনত বিশ্ব সৈনিকদের যুদ্ধের প্রেরনা জাগায় ,
চল চল চল
উদ্ধ গগনে বাজে মাদল
নিম্নে উথালা ধরনি তল
অরুন প্রাতের তরুণ দল
চলরে চলরে চল
ঊষার দোয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙ্গা প্রভাত
আমরা টুটাব তিমির রাত
বাধার বিন্ধা চল
চল চল চল ...............
ব্রিটিশ বিরুধি আন্দোলনে তার কবিতা ডাক
বিশ্ব বিবেকের ঘুম ভাঙ্গিয়ে দিয়েছিল ।
কারাগারে থেকেও তিনি রচনা করেছিলেন
কারার ঐ লৌহ কপাট
ভেঙ্গে সব কররে লোপাট
লাথি মেরে ভাঙ্গরে তালা
যত সব বন্ধি শালা আগুন জ্বালা,;;;;;;;;
আমাদের প্রানের দাবি আমাদের জাতীয় কবির গানকে
*******************************************
বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত করা হোক ।
বিশ্ব কবি রবি ঠাকুর ব্রিটিশ বিরুধি আন্দোলন বা আমাদের দেশের
স্বাধীনতার পক্ষে কোন কবিতা লিখেন নি , তাকে বিশ্ব কবি হিসাবে শ্রদ্ধা করা যায় কিন্তু জাতীয় মর্যাদা দেওয়া অনেক ভুল । তিনি ভারতের জাতীয়
কবি , আমাদের নয় ।
মুক্ত মতামত হোক আমদের জাতীয় চেতনার উৎস ।
নজরুল ত্রিশাল কাজির সিমলা দারোগা বাড়িতে থাকার সময়
এখানের স্থানীয় অধিবাসী নজরুলের সাথে মুসলিম শিউলি অরফে মিলা চৌধুরীর সাথে বিয়ে টিক করেছিলেন অথচ নজরুল
ভালবাসতেন সিয়ার সোলের মেয়ে জুলেখাকে ।
বিয়ের রাত্রে নজরুল পালিয়ে গিয়েছিলেন এবং সৈনিকে যোগ দেন ।সেখান থেকে ফিরে নজরুল প্রতিভার বিস্ফোরণ ঘটলে ।
তিনি নিজেই ব্রিটিশ বিরুধি আন্দোলনে যোগ দেন এবং কলকাতা থেকে পত্রিকা সম্পাদনা করেন , তখন অবশ্য কলকাতা বাংলার
অংশ ছিল ।
লাঙ্গল , নবযুগ , ধুমকেতু প্রভৃতি তার সাময়িক পত্রিকা ।
ব্রিটিশের ভিত নড়ে নজরুল গ্রেফতার হয় ।
পরের ইতিহাস সবার জানা ।
পরে দেশে ফিরলে নজরুল উদাসিন হয়ে যায় ।
এবং হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা লাগলে তিনি মুখ্য ভুমিকা পালন করেন দাঙ্গা িনরসনে ।
অনেক গবেষকদের তাত্ত্বিক লেখায় উটে এসেছে যে নজরুল প্রমিলার মিলনের মধ্য দিয়ে
হিন্দু মুসলিমের দাঙ্গা রহিত হয় এবং এর রাজনৈতিক চাল চালেন সয়ং রবি ঠাকুর ।
দুষ আসলে কার
নিয়তির শিকার
আরও জানা যায় নজরুলের সাবেক প্রেমিকা জুলেখা বাকি জীবনে আর কোথাও বিয়ে করেন নি
যখন নজরুল বাকশক্তি হারা
তখন এক নারি তার সেচ্ছা সেবা দিতেন
আর নজরুল নির্বাক নয়নে তাকিয়ে তাকতেন
সম্ভবত সেই যে ছিল তার বাল্য সখি ।
ঁঁঁ
নজরুল বঙ্গে বিশ্ব সাহিত্য তার অঙ্গে
************
কম বুঝ সম্পন্ন এক মুল্লা নজরুল কে নিয়ে নানা ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করতেন । বলতেন মুসলিম কাজী পরিবারের ছেলে উচ্ছন্নে গেল ।
বাঁশি বাজায় বেলা অবেলায় , গান গায়
পালামঞ্চে নাছে আর কয় পদাবলি
আর সব বুদাই মানুষ যায় তার সাথে চলি ।
একদিন অনেক মানুষকে লয়ে কাজী নজরুল কে
করতে জব্দ ,পথিমধ্য দিল বাধা ।
মুল্লা বাহিনী ,দাড়াও কাজীর বেটা
আমাদের প্রশ্নের উত্তর দাও নয় দেশ ছেড়ে পালাও ।
নজরুল ,সুজা কি কথা তাই যাও কহে
নয় পড়ে গেঁড়া কলে মরবে দহে ।
মুল্লা , সারাটি পথ হাঁটি গাছের তলে মেল ছাতা
সূর্যের ঝাজ পড়ে মুখে ,উলটুঁ কেন তা ।
নজরুল , মুক্ত আকাশ নহে তাতে কোন ক্ষতি
যাব মসজিদে পাখিরা অযু ভঙ্গ করে যদি ।
বিষ্ঠা দিয়ে করে যদি যাত্রা ভঙ্গ
রইবে ক্ষুভ আশা থাকবে কি প্রভুর ন্যায় সঙ্গ ।
মুল্লা , সত্য কথা নহে মিছে অনু পরিমান
আচ্ছা এবার শুনি , সারাটি পথ চালিয়ে রথ
জুতা জুড়া লয়ে , যেথা কাদা সেথা কেন বাড়ালে ইজ্জত ।
নজরুল , হা হেসে কহে ভাল রাস্তা চোখে দেখে যাই
কাদাময় পথে থাকে যদি কাঁটা সেথায় দেই পায় ।
তবে থাকবেনা ভয় , হয়ে নিরাপদ
শত ক্রুশ দিয়ে পাড়ি মিলিবে ভুত ভবিষ্যৎ ।
মুল্লা জীবে দাগ কাটি মাথা নত করে
ছালাম দিল তারে জবাবের তরে ।
চিনের গভর্নর এলেন বাংলাদেশে কবিকে দেখতে , পথিক পথ
দেখালে রাজকিয় বেশভুসায় দেখল বনের কুটির এক ।
নজরুল তখন মিষ্টি গলা কুলে গাচ্ছিল গান ,।
গভর্নর নজরুল কে দেখে জিজ্ঞাসে কোথায় নজরুল
বিশ্ব কাঁপিল যার কণ্ঠের বজ্র ধ্বনিতে
মুচকি হাসি কহে নজরুল পার কিনা দেখ চিনিতে
থাকলে নয়ন সাথে।
কুর্ণিশ আর অভিবাদনে মিলিত হয় দুজন
চলে আলাপন ।
গভর্নর , বন্ধু কেন কুঁড়েঘরে পড়ে রও
তোমার দেব স্বর্গের রাজ প্রাসাদ
দেব মিটিয়ে যত রয় জগতের সাদ
যদি রাজি হও ।
নজরুল , বন্ধু সবি মিছে রয় যত স্বপ্ন
যাবে একদিন ধুলিস্যাৎ হয়ে
এই মাটির ধুলিকনা স্বর্গের চাইতেও বেশি প্রিয়
জেনে নিও ,এই মাটিতে মিশে্ , সবি যাবে ক্ষয়ে ।
জবাবে মাথা নিচু করে
দিল ছালাম পৌঁছায়ে জবাবের তরে ।
একদিন মুক্তি যুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানী এল কবিকে দেখতে ।
কি হে মহারথি আজি নিরব কেন হায়
তোমার রন হুংকারে ডাক ডুল বাজে
প্রেরনা জুগায় সৈনিকের গুড় রন সাজে
উট আবার গেয়ে সেই শিখল ভাঙ্গার গান এই অবেলায়
নজরুল নির্বাক চাহিয়া ক্ষনিকের তরে
ঝাড়িল কিছু সঞ্চিত অশ্রু বন্ধুর নেত্র হরে
নিরব রন সজ্জা নিরেট ভালবাসায়
লভিল ছালাম বীরের জাগ্রত ভাষায় ।
বাংলার বন্ধু আর যত বিদেশী আগত রাস্ট নায়ক
দিল সম্মান প্রান যখন লুটাইল খোদার দরবারে
লক্ষ কোটি প্রান তার আত্তার গমনে
রাসটীয় মর্যাদায় জাতীয় কবি দিয়ে স্বীকৃতি
বিনম্রে ছালাম ভেজে তার বিদ্রোহী আত্মায় । । যবনিকা ।।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৩৭