
(লেখাটা ব্যাক্তিগত অনুভূতি নিয়ে। তাই প্রথম পাতায় দিয়ে কারো বিরক্তির কারণ হতে চাই না। শুধুমাত্র আমার ব্লগপাতার জন্য।)
আম্মু মানুষটা খুব বেশি সাধারণ হয়ে যাচ্ছ দিন দিন। কিছু তারছেড়া মানুষজন নাকি মানুষের মাথার ভেতরের চিন্তাগুলো বের করবার যন্ত্র আবিস্কার করার চেষ্টা করছে। ...আমার তো এসব যন্ত্র লাগে না।

কারণ তোমার চিন্তাগুলো ভাঙ্গা রেকর্ডে সংরক্ষিত তথ্যের মত হয়ে যাচ্ছে। একটা নিদ্দিষ্ট পয়েন্টে এসে তোমার চিন্তাগুলো আবার প্রথম থেকে শুরু হয়। ....এই যে প্রতি বুধবার প্রথম আলোর নারীমন্চে দেখি মহিলারা কত কত বিপ্লবি চিন্তা ভাবনা করছে (মাঝে মাঝে পুরূষ ঠেঙ্গানো চিন্তা সহ


এগুলো হচ্ছে তোমার চিন্তাধারার মেইন সেকশন... এর ধারা, উপধারা, উপ-উপধারা... আছে ঠিকই, কিন্তু সেগুলোও রিপিটেড।তাই এখন আর তোমার মাথায় কি চলছে ....তোমার মুখ দেখলেই গড়গড় করে বলে দিতে আমাদের কোন যন্ত্র লাগে না। (ঠিক যেমন করে তুমি মুখ না দেখেই বলে দিতে পার ...আজকে ঠিক কি ঝামেলা করে

ফাজলামি ঠিকই করছি... কিন্তু মনে মনে কি ভাবছি জান?
........ওহ ...কারীগর... থ্যাংকস এ লট....

....কিন্তু না..... জানি না... কোন জন্মের মহান কর্মফলে .. আমরা পুত্র-পিতা... এমন এক খুব সাধারণ কোটেড তামাম বিশ্বজগতের মোস্ট স্পেশাল মহিলার সবথেকে প্রিয়জন।

এমন চমৎকার আম্মু.... মহা বিশ্বে একপিস মাত্র (ইনক্লুডিং এলিয়েন মাতা)... কারণ ...আফটারমেড ....শিউর... কারিগর ডেড... (এইটা অবশ্য ...আব্বুর ধার করা ডায়লগ)
একদিক থেকে প্রাপ্ত জিনগত বৈশিষ্টের জন্য মাঝে মাঝে আমি এন্টি-ফেমিনিন হয়ে চিন্তা করি (বেশিরভাগই ইউনিভার্সিটিতে কোন আঁতেলিয় আড্ডায়) .... কি দরকার ছিল দুইন্যায় ঝামেলা বাড়াইয়া। ...শুধু বালক জাতই তো ভাল ছিল। ...বালিকা জাত নামক এসব ঝামেলা না বানালে ইশ্বর নিজেও শান্তিতে থাকতেন। পোলাপাইনও শান্তিতে নিজের কাজ করতে পারত।

.... বুরবক যে গাছে ধরে না ...সেইটা ঘরে ফিরে বুঝি। যেখানে আম্মু নামক বিশেষ সৃষ্টিরা মহাকাশের বিশালতাতেও উপচে পড়ে... এমন পরিমাণ মমতা নিয়ে আমাদের মত বুরবকগুলোর জন্য সীমাহীন উৎকন্ঠার সাথে অপেক্ষা করে থাকে।
....বালিকারা কেমন করে আম্মু নামক এই মমতাময়ি বৈশিষ্টের ভয়াবহ ক্ষমতা নিয়ে আসে ...সেটা নিয়ে বিস্তারে গবেষনা হওয়া দরকার। একই গর্ভে ছেলে আর মেয়ে থাকার পরও ...আম্মুরা যুগ যুগ ধরে কোন ষড়যন্ত্রের সাথে শুধু বালিকাদেরই এমন সর্বগ্রাসী মায়া-ভালবাসার গুণটা দিয়ে যায় ....তার একটা বিহিত হওয়া দরকার।
মূর্খের মত... একটা সম্ভাবনা আমার মাথায় টোকা দেয়।
....সেটা হল... কেমন করে ...কেমন করে ...যেন ... মেয়ে বাচ্চাগুলো ...গর্ভে ...মায়ের হৃদপিন্ডটার খুব কাছে চলে যায়। আর গর্ভের পুরোটা সময় ...মায়ের হৃদয়ের মায়াময় স্পন্দনের সবগুলো ছন্দের সাথে নিজের হৃদপিন্ডের ছন্দটাকে মিলিয়ে নেয়। ....আর তাই অন্যায়ভাবে ..মায়ের হৃদয়ের ছন্দটাকে সাথে নিয়েই বাইরে চলে আসে। খুব ছোট্ট আরেকটা মা হয়ে।

....আপচুচ ... ছেলে শিশুগুলোর সাথে ...এইটা প্রকৃতির সবথেকে বড় অন্যায়।
...আজকে ....আমাদের পুরোটা জগৎ জুড়ে থাকা ...আম্মুর জন্মদিন।

আজকের সকালের সবটুকু কুয়াশা ....শুধুই আমার মায়ের জন্য। ... সূর্য্যটাও আজকে ...শুধু আমার মায়ের মায়ার টানেই উঠবে। ...আজকের বাতাসের সবটুকু গান... শুধুই আমার মায়ের জন্যই গাওয়া হবে। ...এমকি ...তারাভরা ...বিশাল আকাশটাও ....আজকে শুধু আমার মায়ের জন্যই ....একটা মস্ত চাঁদের ব্যবস্থা করবে। যেখান থেকে করুক.... করতেই হবে।
শুভ জন্মদিন মা।
হৃদপিন্ড এর সঠিক বানানটার যুক্তাক্ষর বিষয়ক জটিলতার সমাধানের জন্য "নিবিড়" এর কাছে কৃতজ্ঞ রইলাম।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:১৫