আগুন জনিত দূর্ঘটনা এই পৃথিবী থেকে চিরতরে নির্মূল করা যাবে না। দেখুন না দুদিন আগেই জার্মানীতে আগুন লেগে ১৪ জন লোক মারা গেছেন আর আহত হয়েছেন আরও অনেক। ফলে আমরা যেটা করতে পারি তা হলো যতটুকু পারা যায় সাবধান থাকা আর আগুন লাগা জনিত ক্ষয়ক্ষতি বিশেষ করে প্রাণহাণি কমিয়ে কিভাবে শূণ্যের কাছাকাছি নিয়ে আসা যায় সেই জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা। আর সেই লক্ষ্যে আমার তিনটি প্রস্তাবনা।
১) আশুলিয়ার দূর্ঘটনায় আমি যা বুঝলাম তাতে বলা চলে গেইট গুলো খোলা থাকলে প্রাণহাণি বহুলাংশে কমানো যেত। আর আমি বুঝি না সামান্য তালা এত বড় সমস্যা কিভাবে হয়? তালার জন্য সেন্সর সিস্টেম চালু করা কি খুব বেশী কঠিন কাজ? এমন একটা সেন্সর কি চালু করা যায় না যেখনে কারখানার ভেতরে ফায়ার এলার্ম বাজার সাথে সাথে যত বড় বড় গেইট আছে সব গুলো অটোমেটিক খুলে যাবে?
২) ফায়ার এলার্ম যদি আরও বেশীক্ষণ বাজতে থাকলে তাহলে একসময় সেন্সরড জানালগুলো ও অটোমেটিক খুলে যেতে পারে। প্রতিটি জানালার পাশে রাখা যেতে পারে একটি করে শক্ত দড়ির মই। সরকারী নিয়েমের কারনে এখনতো প্রতি কারখানাতেই একের অধিক সিড়ি থাকছেই। পাশাপাশি দড়ির মই থাকলে সবগুলো জানালা ব্যবহার করে পিল পিল করে মানুষ নেমে যেতে পারবে।
৩) দেয়াল জুড়ে থরে থরে সাজানো থাকবে ফায়ার এক্সটিংগুইশার।।আগুন লাগলে কিভাবে ফায়ার এক্সটিংগুইশার ওপেন করা যায় তার উপর সবার ট্রেনিং থাকবে। এই ট্রেনিং কিন্তু বারে বারে নিতে হবে না।একজন শ্রমিক একবার এই ট্রেনিং নিলে কিন্তু সারাজীবনের জন্য কাজ সারা!
সংশ্লিষ্টরা ভেবে দেখতে পারেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১:৩০