৬ মার্চ হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ এখন হয়ে উঠেছে সারাদেশের রাজনীতির কেন্দ্রীয় বিষয়। ১৩ দফা দাবির এই লংমার্চে সমর্থন দিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট এবং বিকল্প ধারা বাংলাদেশ। সরকার ঈতিমধ্যে বেশ কয়েকজন ব্লগারকে গ্রেফতার করেছে, ধর্ম বিদ্বেষী হিসাবে পরিচিত ব্লগারদের শাস্তি দেয়ার জন্যে ট্রাইবুনাল গঠন করেছে। সেই সুবাদে এও বলা যায়যে হেফাজতে ইসলামের দাবির প্রতি সমর্থন সরকারেরও আছে। হেফাজতে ইসলামের সাথে সমঝোতার চেষ্টার প্রক্রিয়া এবং শাহবাগ আন্দোলনের প্রতি সরকারের বর্তমান অবস্থান এবিষয়ে সরকারের অবস্থান আরো পরিস্কার করেছে। চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ প্রশাসক ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম এ ছালাম, যিনি সরকারের পক্ষ নিয়ে হেফাজতে ইসলামের সাথে সমঝোতা চেষ্টা চালিয়ে গেছেন তার বরাতে জানা যায়যে হেফাজতে ইসলামকে তাদের যৌক্তিক দাবিগুলা মেনে নেয়ার এবং পর্যায়ক্রমে সকল দাবী মেনে নেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়েছিলো। হেফাজতে ইসলামএর যৌক্তিক দাবি কোনগুলা কিংবা তাদের সবগুলা দাবি সরকার কেনো মেনে নেবে সেই বিষয়ে অবশ্য আমরা অবগত নই। বিরোধীদল যেখানে সমর্থন দেয়, সরকারী দলের কেউ যখন সেইসব দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দেয় অথবা ঐসব দাবিদাওয়াকে যৌক্তিক বলে তখন সেই দাবিগুলো পর্যালোচনা করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে ওঠে। কিছুদিন আগেই শাহবাগ আন্দোলনকে ঘিরেও একি ধরণের একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিলো, সে সময় সরকারের পক্ষ থেকে যেমন সমর্থনের বানী শোনা গেছে তেমনি শুরুর দিকে বিরোধী দলের গলায়ও ছিলো সমর্থনের সূর। কিন্তু এদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা এমনি যে শাহবাগের আন্দোলনকারী বনাম হেফাজতে ইসলামের যে রাজনৈতিক বিরোধ এই মুহুর্তে জাতীয় রাজনীতির কেন্দ্রীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সেখানে দুই মাসের ব্যাবধানে প্রচলিত রাজনৈতিক দলগুলোর এই দ্রুত অবস্থান পরিবর্তন তাদের রাজনৈতিক আদর্শের দেউলিয়াপনাই প্রকাশ করে। তবে হেফাজতে ইসলামের এই লংমার্চ যতোই রাজনৈতিক বিষয় হোক না কেনো হেফাজতের আমির ইমাম শাফি বলছেন যে এটা আদতে কোন রাজনৈতিক দলের পক্ষের আন্দোলন নয়, বরং ‘ঈমানী আন্দলন’। ঈমান কথাটা যেখানে আছে সেখানে আদর্শের প্রশ্ন আসে। অর্থাৎ হেফাজতে ইসলামের এই আন্দোলন আদর্শের আন্দোলন। শাহবাগের আন্দোলনের পেছনেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আদর্শ কাজ করেছে। সেই হিসাবে এই কথা বলা যায়যে শাহবাগের আদর্শবাদী এবং হেফাজতে ইসলামের আদর্শবাদী আন্দোলনকারীরা নিজ নিজ আদর্শের জায়গায় অনড় থাকলেও এদেশের মূল ধারার রাজনৈতিক দলগুলোর কোন আদর্শ নাই, তারা ভোটের রাজনীতির হিসাব মাথায় রেখে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আদর্শের নৌকায় পা দিতে পারেন, আদর্শহীণ ডিগবাজি দিতে পারেন। এটা প্রমানিত এবং এক্ষেত্রে কোন সন্দেহ নাই। হেফাজতে ইসলামের দাবি দাওয়াগুলা পর্যালোচনা করলে সেই প্রমান আরো শক্তিশালী হয়।
তবে হেফাজতে ইসলাম তথা ইমাম শাফির আদর্শ বিষয়ে প্রশ্ন না তুলে পারছিনা। এই প্রশ্ন তুলতে হবে কারন শাহবাগ আন্দোলন শুরু হওয়ার আগে হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে এই দাবিদাওয়াগুলো নিয়ে কোন আন্দোলন ছিলনা। তাদের ঈমান তখন কোথায় ছিলো সেই প্রশ্ন তুলতে হবে। তাছারা ‘হেফাজতে ইসলাম’ নাম নিয়েছে বলেই তারা ইসলামের হেফাজতকারী হয়ে উঠেছে কিনা সেই প্রশ্নের উত্তরও আমাদের খুঁজে দেখতে হবে। ইমাম শাফি ইতিমধ্যে দাবি করেছেন যে লংমার্চে বাধা দিলে সরকার’কে ‘নাস্তিক’ ঘোষনা করা হবে। অর্থাৎ সরকার তাদের লংমার্চ করতে দিলে সরকার ‘আস্তিক’ থাকবে। তারমানে দাঁড়ালো যে নাস্তিকতা এবং আস্তিকতার সংজ্ঞা তারা নির্ধারণ করছেন তাকে সাফ কথায় বলে দেয়া যায় ‘হেফাজতের পক্ষ হলে আস্তিক এবং বিপক্ষ হলে নাস্তিক’। নাস্তিকতার এমন সংজ্ঞা ইসলাম সম্মত কিনা সেই প্রশ্নের জবাব ইমাম শাফি দেবেন কি? এবং যাকে তাকে তিনি এইভাবে আস্তিক অথবা নাস্তিক ঘোষনা দিতে পারেন কিনা সেইটাও আমাদের বিবেচনা করতে হবে। সেইসাথে নাস্তিক হলেই কেউ খারাপ হয় কিনা সেই বিষয়টাও খতিয়ে দেখতে হবে। বাঙলা ভাষায় নাস্তিক বলতে আমরা বুঝি যে বা যারা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বে বিশ্বাস করেনা। বৌদ্ধ ধর্মে সৃষ্টিকর্তার কোন ধারণা নাই। সেই সুবাদে বৌদ্ধরা নাস্তিক। এর বাইরেও সারা দেশে হাজার হাজার নাস্তিক আছে যাদের নানান রকম ধর্ম বিশ্বাস আছে। নাস্তিকতাকে একটি ‘নেতীবাচক’ শব্দ হিসাবে ব্যাবহার করে ইমাম শাফি সারাদেশের ‘সৃষ্টিকর্তা’ বিশ্বাসহীণ বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করেছেন। ইমাম শাফি এবং হেফাজতে ইসলাম আরো নানান পদ্ধতিতে বিভিন্ন মানুষের ধর্মানুভুতিতে আঘাত করেছে, তবে সেই আলোচনায় পরে আসছি। তার আগে তিনি নাস্তিকতার যে সংজ্ঞা দিচ্ছেন তার পর্যালোচনা করা দরকার। ইমাম শাফি আস্তিক হওয়ার শর্ত বেধে দিয়েছেন ‘হেফাজতে ইসলাম’ কে সমর্থন দেয়ায়, অন্যদিকে তাদের বাধা দিলে নাস্তিক হতে হবে। এধরণের কোন সংজ্ঞা ইসলাম সমর্থন করেনা। বরং ইসলামে সুস্পষ্টভাবে কাউকে ‘কাফির’ বলার ব্যাপারে বিভিন্ন রকম নিষেধাজ্ঞা এবং সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। তবে ইসলামসম্মত না হলেও ইমাম শাফির নাস্তিকতার সংজ্ঞা ব্রাহ্মণ্যবাদীদের সংজ্ঞার সাথে হুবহু মিলে যায়। মধ্যযুগে নাস্তিক শব্দটা প্রথম ব্যাবহার করতো বৈদিক ব্রাহ্মণ্যবাদীরা। বর্ণবাদী ব্রাহ্মণরা সেসময় ‘নাস্তিক’ শব্দটা ব্যাবহার করতো বেদবিরোধী তথা ব্রাহ্মণ্যবাদ বিরোধীদের ক্ষেত্রে, ইশ্বরে বিশ্বাস অবিশ্বাস দিয়ে তারা তখন আস্তিক নাস্তিকের ভেদাভেদ করেনাই। বিষয়টা ছিলো ব্রাহ্মণদের পক্ষে নেয়া অথবা বিরোধীতার সাথে সম্পর্কৃত। ইমাম শাফির আস্তিকতা নাস্তিকতা বিষয়ক শর্তের সাথে তাই ইসলামের কোন মিল না থাকলেও ব্রাহ্মণ্যবাদের মিল আছে শতভাগ। ইমাম শাফি নাস্তিকতা শব্দটিকে তার মধ্যযুগীয় ব্রাহ্মন্যবাদী অর্থের কাছাকাছি নিয়ে গিয়েও নয়া ব্রাহ্মণ্যবাদের পুরোহিত হয়ে উঠেছেন, ইসলামের আলেম নয়।
দেখা যাচ্ছে স্বঘোষিত ইসলামের হেফাজতকারী হয়ে ‘হেফাজতে ইসলাম’ ইসলামকে ব্যাবহার করছে নিজেদের রাজনৈতিক বিপক্ষকে হয়রানী করতে, আক্রমন করতে। সেটা করতে গিয়ে তারা নিজেদের খেয়াল খুশি মতো আস্তিকতা নাস্তিকতার সনদ বিলাচ্ছেন। সেইসাথে তাদের দাবিদাওয়া থেকে এও পরিস্কার হয় যে কে মুসলমান আর কে মুসলমান না, সেটাও তারা নির্ধারণ করে দিতে চাচ্ছে। তারা দাবি করেছে সরকারীভাবে ‘কাদিয়ানী’দের অমুসলিম ঘোষনা করতে হবে। কাদিয়ানীরা নিজেদের মুসলমান বলেই দাবি করে। এখন কেউ তাদের এই দাবির সাথে একমত নাও হতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার কাউকে মুসলিম অথবা অমুসলিম ঘোষনা করার এখতিয়ার রাখেনা। উলটো সাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশ সরকার প্রত্যেক ধর্মীয় গোষ্ঠিকে স্বাধীন ভাবে ধর্মচর্চা করার অধিকার দিতে বাধ্য। এইটা হেফাজতে ইসলামের অজানা নয়, তাদের দাবিদাওয়াও এটাও পরিস্কার হয়যে গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকারকে তারা ইসলামী সরকার মনে করেনা, বরং ইসলামী সরকারে পরিণত করতে চায়। সেটা করতে গেলে দেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইন পরিবর্তন করতে হবে। সংবিধান পরিবর্তনের দাবি হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবিতেও আছে। তাদের ভাষায় অনৈসলামিক সরকারের কাছে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষনা করার দাবি কোন যুক্তিতে করলো সেই প্রশ্ন উঠলে তাদের ‘ঈমানী’ আন্দোলনের ঈমানের জোর নিয়েও প্রশ্ন উঠতে বাধ্য।
তবে যেই বিষয়টা পরিস্কার করা দরকার তা হলো যে ইসলাম কারো বাপ দাদার সম্পত্তি নয়। তাওহীদের উপর ভিত্তি করে একজন ব্যক্তি মুসলমান হন। এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ নিজের নিজের মতো করে ইসলাম বোঝে, পালন করে, এক্ষেত্রে নানান মতবিরোধ থাকলেও এবং মুসলমানিত্ব নিয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠির মাঝে পুরোপুরি ঐ্ক্যমত্ত্ব না থাকলেও এখন পর্যন্ত কে মুসলমান আর কে মুসলমান নয় সেই প্রশ্নে বড় ধরণের কোন বিরোধ তৈরি হয়নাই। ইসলামের হেফাজতের নামে ইসলামকে নিজেদের সম্পত্তি দাবি করে এই বিরোধ উস্কে দিচ্ছে হেফাজতে ইসলাম। এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান ইসলাম এবং মুসলমানিত্বের উপর হেফাজতে ইসলামের এই মাতবরি মেনে নেবেনা, বরং এই মাতবরি তাদের ধর্মানুভুতিকে প্রবলভাবেই আহত করেছে।
হেফাজতে ইসলামের দাবিদাওয়াগুলো থেকে এটাও পরিস্কার হয় যে দেশের আইন এবং সংবিধানকে নিজেদের মতো ইসলামিকিকরণ করার মাধ্যমে আদতে তারা এদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, আদিবাসী, নাস্তিকসহ বিভিন্ন ধর্মমতের মানুষদের ধর্মীয় অনুভুতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। বাংলাদেশ সকল ধর্মের মানুষের আবাস, এবং নাগরিক হিসাবে তারা সাংবিধানিক আইনের অনুগত, অসাম্প্রদায়িকতার চেতনায় এদেশের মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। হেফাজতে ইসলাম তাদের ‘বাংলাদেশ’ বিরোধী দাবিদাওয়ার মাধ্যমে এদেশের কোটি কোটি মানুষের ধর্মানুভুতিকে আহত করেছে এটা তাই নিঃসন্দেহে বলা যায়। সুস্পষ্টভাষাতেই তারা দাবি তুলেছে যে খ্রিষ্ঠান মিশনারীদের ধর্মান্তকরণ কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। ইসলামের হেফাজতের নামে সকল ধর্মের মানুষের ধর্মানুভুতি আহত করা হেফাজতে ইসলামের তাই কোন অধিকার নাই ধর্মানুভুতি আহত হওয়ার বিচার দাবি করার।
হেফাজতের দাবি দাওয়ায় একটা বিশেষ দাবি আছে নারী পুরুষের প্রকাশ্য চলাফেরা নিষিদ্ধ করার। নারী পুরুষের সম্মিলিত আন্দলন, সংগ্রাম এবং যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশ রাষ্ট্র পেয়েছি। নারী পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। হেফাজতে ইসলামের নারী পুরুষের সম্মিলিত অংশগ্রহণের এই বাংলাদেশে আস্থা নাই এটা পরিস্কার। কিন্তু ১৮ দলীয় জোট, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ এই লংমার্চে সমর্থন দিয়ে যে হেফাজতের সাথে একমত হয়ে গেলো তাতে এই প্রশ্ন আমাদের করতেই হবে এ দুই দলের নারী নেতা কর্মীদের রাজনৈতিক অধিকারের ক্ষেত্রে তাদের অবস্থান কি হবে? খালেদা জিয়া কি পুরুষদের মাঝখানে থেকে রাজনীতি চালিয়ে যাবেন? বিএনপির মহিলা সাংসদদের কি হবে? সরকারের প্রতিনিধীরা যেখানে দাবিদাওয়া মেনে নেয়ার কথা বলছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ে তাদের স্বিদ্ধান্ত কি হবে? মতিয়া চৌধুরী, সাজেদা চৌধুরীর মতো রাজনীতিকদের কি আজীবন রাজপথে সংগ্রাম করে এবার ঘরে ফিরতে হবে?
সর্বশেষ হেফাজতে ইসলামের ইমানী আন্দোলনের সবচেয়ে বড় ইমানী পরীক্ষাটা আমাদের নেয়া দরকার। আমাদের প্রশ্ন তুলতে হবে শাহবাগ আন্দোলনের পূর্বে তাদের ঈমান কোথায় ছিল? এদেশের সুদি ব্যাংক ব্যবস্থা বিষয়ে তাদের অবস্থান কি? বিদেশী স্যাটেলাইট চ্যানেলে নারী পুরুষের বেলাল্লাপানা নিয়া তাদের কোন কথা নাই কেনো? ইন্টারনেটে নাস্তিকদের লেখা নিয়া তারা সোচ্চার, তাইলে ইন্টারনেটে পর্ণগ্রাফি নিয়ে তারা নিশ্চুপ কেনো? গোপন ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিয় নিয়ে ইন্টারনেটে যে সাইবার ক্রাইম হয়ে আসছে এতোদিন ধরে তাতে কি তাদের কাছে ইসলাম, ধর্ম ইত্যাদি বিপন্ন মনে হয়নাই? তখন কোথায় ছিল তাদের ইমানী আন্দোলন? শাহবাগ আন্দলনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি ওঠার পরেই কেনো তাদের ধর্মানুভুতি আহত হলো, তাদের ইমান জেগে উঠলো? এইসব প্রশ্নের উত্তর আমরা দেখতে পাবো সামনের নির্বাচনে। যখন আদর্শহীণ রাজনৈতিক দলগুলোর জোটে হেফাজতে ইসলাম নিজেদের অবস্থান করে নিয়ে কোন না কোন নারী নেতৃত্বের অধীনেই নির্বাচনে অংশ নেবে। ঈতিপূর্বে জামাত ইসলামী নারী নেতৃত্ব হারাম বলেও নারী নেতৃত্বের অধীনে ক্ষমতায় গেছে। জামাতকে বাঁচাতে ইসলামের নামে ভন্ডামি করতে নামা হেফাজতে ইসলামও ভবিষ্যতে তাই করবে। ধর্ম ব্যাবসায়, ভন্ডামিতে হেফাজতে ইসলামের ‘ইমানী আন্দলনের’ তাবৎ তাৎপর্য নিহীত। ইতিহাস এটা প্রমান করবে। তবে সেই ইতিহাস আমরা রচিত হতে দেবো কিনা সেই প্রশ্নের মোকাবেলা আমাদের সবার আগে করতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫১